আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) : কান্দুরিয়া খালের ভাঙা স্লুইসগেটের স্থলে আবারও নতুন স্লুইস গেইট নির্মাণের কাজ শুরু হবে -সংবাদ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ১ বছরের মাথায় ভেঙে যাওয়া সেই কান্দুরিয়া খালের ভাঙা স্লুইসগেটের স্থলে আবারও নতুন স্লুইস গেইট নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এই খবরে দীর্ঘ ৩বছর ধরে দূর্ভোগ পোহানো স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ইছামতি খালের শাখা দক্ষিণ বাকখাইন নোয়ারাস্তা কান্দুরিয়া খালের ওপর ৪কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় স্লুইস গেইট। সেটি নির্মাণের এক বছরের মাথায় ২০২২ সালে জোয়ারের পানির রাতে প্রায় ১০০ মিটার বেড়িবাঁধসহ খালে বিলীন হয়ে যায়। পাশের বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে স্লুইস গেইটের অস্তিত্ব নিঃশেষ হয়ে যায়।
স্লুইস গেইটটি খালের ভিতর তলিয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অন্যদিকে উপজেলার চাতরী, পরৈকোড়া, বারখাইন, আনোয়ারা সদরসহ চারটি ইউনিয়নের হাজার হাজার একর জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এই নিয়ে গত তিন বছর ধরে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার বাসিন্দা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চট্টগ্রাম অঞ্চল সূত্রে জানা যায়, ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ রেগুলেটরের মাধ্যমে স্লুইস গেইটের কাজটি করা হবে। পটুয়াখালীর আবুল কালাম আজাদ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি সম্পন্ন করবে।
স্থানীয় বাসিন্দা পপী বিশ্বাস নামের এক অভিভাবক জানান, স্লুইস গেইটটি ভাঙার পর থেকে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না। নৌকা করে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। গত ৩বছরে কষ্টের সীমা ছিলো না এই দক্ষিণ বাকখাইন এলাকার মানুষদের। স্লুইস গেইটটি হয়ে গেলে আমাদের সুখের দিন আসবে।
স্থানীয় সুরেশ দাশ নামের জানান, গত ৩বছর কত কষ্টে ছিলাম সেটা ভাষায় বুঝানো সম্ভব না। মহিলাদের ডেলিভারি, রোগি সবাইকে ডিঙ্গি নৌকা করে পারাপার করতে হতো। দিনে নৌকা পাওয়া গেলেও সন্ধ্যার পর থেকে নৌকা পাওয়া যেত না। এখন স্লুইস গেইটটি নির্মাণ হওয়ার খবরে খুবই আনন্দিত আমরা।
কাজ শুরু হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ বলেন, স্লুইস গেইটটি নির্মাণের বিষয়ে ওয়ার্কঅর্ডার হয়ে গেছে। পানি কমলে, আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসে কাজ শুরু হবে।
আগের স্লুইস গেইটের রেগুলেটর ছোটো ছিলো যা এই খালের জন্য প্রযোজ্য ছিলো না। চানখালীর সাথে সংযুক্ত যত খাল আছে কর্ণফুলীতে পানির ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়াতে সবগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) : কান্দুরিয়া খালের ভাঙা স্লুইসগেটের স্থলে আবারও নতুন স্লুইস গেইট নির্মাণের কাজ শুরু হবে -সংবাদ
রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ১ বছরের মাথায় ভেঙে যাওয়া সেই কান্দুরিয়া খালের ভাঙা স্লুইসগেটের স্থলে আবারও নতুন স্লুইস গেইট নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এই খবরে দীর্ঘ ৩বছর ধরে দূর্ভোগ পোহানো স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ইছামতি খালের শাখা দক্ষিণ বাকখাইন নোয়ারাস্তা কান্দুরিয়া খালের ওপর ৪কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় স্লুইস গেইট। সেটি নির্মাণের এক বছরের মাথায় ২০২২ সালে জোয়ারের পানির রাতে প্রায় ১০০ মিটার বেড়িবাঁধসহ খালে বিলীন হয়ে যায়। পাশের বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে স্লুইস গেইটের অস্তিত্ব নিঃশেষ হয়ে যায়।
স্লুইস গেইটটি খালের ভিতর তলিয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অন্যদিকে উপজেলার চাতরী, পরৈকোড়া, বারখাইন, আনোয়ারা সদরসহ চারটি ইউনিয়নের হাজার হাজার একর জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এই নিয়ে গত তিন বছর ধরে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার বাসিন্দা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চট্টগ্রাম অঞ্চল সূত্রে জানা যায়, ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ রেগুলেটরের মাধ্যমে স্লুইস গেইটের কাজটি করা হবে। পটুয়াখালীর আবুল কালাম আজাদ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি সম্পন্ন করবে।
স্থানীয় বাসিন্দা পপী বিশ্বাস নামের এক অভিভাবক জানান, স্লুইস গেইটটি ভাঙার পর থেকে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না। নৌকা করে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। গত ৩বছরে কষ্টের সীমা ছিলো না এই দক্ষিণ বাকখাইন এলাকার মানুষদের। স্লুইস গেইটটি হয়ে গেলে আমাদের সুখের দিন আসবে।
স্থানীয় সুরেশ দাশ নামের জানান, গত ৩বছর কত কষ্টে ছিলাম সেটা ভাষায় বুঝানো সম্ভব না। মহিলাদের ডেলিভারি, রোগি সবাইকে ডিঙ্গি নৌকা করে পারাপার করতে হতো। দিনে নৌকা পাওয়া গেলেও সন্ধ্যার পর থেকে নৌকা পাওয়া যেত না। এখন স্লুইস গেইটটি নির্মাণ হওয়ার খবরে খুবই আনন্দিত আমরা।
কাজ শুরু হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ বলেন, স্লুইস গেইটটি নির্মাণের বিষয়ে ওয়ার্কঅর্ডার হয়ে গেছে। পানি কমলে, আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসে কাজ শুরু হবে।
আগের স্লুইস গেইটের রেগুলেটর ছোটো ছিলো যা এই খালের জন্য প্রযোজ্য ছিলো না। চানখালীর সাথে সংযুক্ত যত খাল আছে কর্ণফুলীতে পানির ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়াতে সবগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে।