ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম বাদুরতলীতে আমেরিকা প্রবাসী গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার তিনজন আসামিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালীর ডিবি পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হচ্ছে কাওসার, আশীষ গাইন ও রিপন। গত শুক্রবার সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে বাউফল সার্কেলের এএসপি আরিফ মুহাম্মদ শাকুর এ সভায় ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও তাদের স্বীকারোক্তিমূলক তথ্য সাংবাদিকদের মাঝে তুলে ধরেন।
এ সময় এএসপি আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, চলতি বছরের গত ১৪ জুলাই গভীর রাতে কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলীতে তরিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ডাকাতদলের স্বীকোরক্তিমূলক জবানবন্দীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, ঘটনার দিন রাতে ৬/৭ জনের ডাকাত দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির সামনে একটি পরিত্যাক্ত বিল্ডিংএ অবস্থান নেন। রাত দেড়টার দিকে ডাকাতদলের কয়েকজন স্লাইরেঞ্জ, শাবল স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে বাড়ির বেলকনির গ্রীল কেটে ভিতরের দরজা খুলে দিলে বাকিরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। ডাকাতদল প্রথমে তরিকুল ইসলামের মা, বোনকে বেঁধে ফেললে রুমে থাকা বোনের বাচ্চাদের চিৎকারে তরিকুল তার রুম থেকে বের হয়ে আসলে তাকেও বেঁধে ফেলে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল লুট করে। পরে ডাকাত কাওসার ও রিপনকে বাড়ির সামনে দুই রুমের সামনে পাহারায় রেখে ডাকাত আশিষ গাইনসহ অন্য ডাকাতরা তরিকুলের বাংলাভাষী মার্কিন নাগরিক স্ত্রীকে একটি কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দিয়ে রাতেই ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা যৌথভাবে অভিযান শুরু করেন।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার কৃত কাওসারকে ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর থানাধীন শ্যামকুড় বর্ডার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। ডিবি পুলিশ তার তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে ঢাকার দারুসসালাম থানাধীন টেকনিক্যাল মোড়ের একটি বস্তি থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করে এবং ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে কলাপাড়া পৌর এলাকা থেকে আশিষ গাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী শেষে বিকেলে পটুয়াখালী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান । এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জসিম, কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুয়েল ইসলাম।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম বাদুরতলীতে আমেরিকা প্রবাসী গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার তিনজন আসামিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালীর ডিবি পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হচ্ছে কাওসার, আশীষ গাইন ও রিপন। গত শুক্রবার সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে বাউফল সার্কেলের এএসপি আরিফ মুহাম্মদ শাকুর এ সভায় ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও তাদের স্বীকারোক্তিমূলক তথ্য সাংবাদিকদের মাঝে তুলে ধরেন।
এ সময় এএসপি আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, চলতি বছরের গত ১৪ জুলাই গভীর রাতে কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলীতে তরিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ডাকাতদলের স্বীকোরক্তিমূলক জবানবন্দীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, ঘটনার দিন রাতে ৬/৭ জনের ডাকাত দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির সামনে একটি পরিত্যাক্ত বিল্ডিংএ অবস্থান নেন। রাত দেড়টার দিকে ডাকাতদলের কয়েকজন স্লাইরেঞ্জ, শাবল স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে বাড়ির বেলকনির গ্রীল কেটে ভিতরের দরজা খুলে দিলে বাকিরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। ডাকাতদল প্রথমে তরিকুল ইসলামের মা, বোনকে বেঁধে ফেললে রুমে থাকা বোনের বাচ্চাদের চিৎকারে তরিকুল তার রুম থেকে বের হয়ে আসলে তাকেও বেঁধে ফেলে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল লুট করে। পরে ডাকাত কাওসার ও রিপনকে বাড়ির সামনে দুই রুমের সামনে পাহারায় রেখে ডাকাত আশিষ গাইনসহ অন্য ডাকাতরা তরিকুলের বাংলাভাষী মার্কিন নাগরিক স্ত্রীকে একটি কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দিয়ে রাতেই ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা যৌথভাবে অভিযান শুরু করেন।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার কৃত কাওসারকে ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর থানাধীন শ্যামকুড় বর্ডার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। ডিবি পুলিশ তার তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে ঢাকার দারুসসালাম থানাধীন টেকনিক্যাল মোড়ের একটি বস্তি থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করে এবং ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে কলাপাড়া পৌর এলাকা থেকে আশিষ গাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী শেষে বিকেলে পটুয়াখালী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান । এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জসিম, কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুয়েল ইসলাম।