ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সোনালী বাংক ধোবাউড়া শাখায় গ্রাহকের একাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা ঝাড়–দার। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। গ্রাহকের অভিযোগ ব্যাংকের বর্তমান ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেনের যোগসাজশে গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়েছে ঝাড়–দার শাহীন আলম। গ্রাহকদের কাছ থেকে জানা যায়, সোনালী ব্যাংক ধোবাউড়া শাখায় ধোবাউড়া সদর গ্রামের শাহিন আলম দীর্ঘদিন ধরে ঝাঁড়–দারের চাকরি করছেন। বর্তমান ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন যোগদানের পর ঝাঁড়–দার শাহীন আলমকে ম্যানেজারের পাশেই চেয়ার টেবিল দিয়ে বসিয়ে দেন। আর এতে শাহীন আলম ঝাড়–দার থেকে বনে যান একজন কর্মকর্তা। গ্রাহকরা ম্যানেজারের কাছে কোন কাজে গেলে তিনি শাহিনের কাছে পাঠিয়ে দেন। এভাবে শাহিন বড় অফিসার বনে গিয়ে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করা শুরু করেন। কিছুদিন পূর্বে জনতা ব্যাংক ধোবাউড়া শাখা থেকে পোড়াকান্দুলিয়ার হরিদাস নামে এক ব্যাক্তির পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক সোনালী ব্যাংকে কালেকশনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার তা শাহিনের মাধ্যমে অন্য একাউন্টে কালেকশন করে দেন। কিন্তু গ্রাহক টাকা পায়নি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর ধোবাউড়া উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিন বোন মদিনা, মর্জিনা এবং খালেদা আক্তার তাদের নামে ৫ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র জমার বিষয়টি চেক করতে যান ব্যাংকে। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে দেখেন তাদের একাউন্টে কোন টাকা নেই। তারা জানান, ২০২৩ সালে তারা তিন বোন পাঁচ বছর মেয়াদি তিনটি সঞ্চয়পত্র জমা করেন। বর্তমান ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেনের কাছে গেলে এই তিন বোনকে শাহিনের কাছে পাঠান ম্যানেজার। শাহীন তাদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে টাকা জমা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। টাকা জমা দেওয়ার পর তিন বোন তাদের লভ্যাংশের টাকাও উত্তোলন করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে ব্যাংকে গিয়ে দেখেন তাদের একাউন্টে টাকা নেই। এ ঘটনা জানার পর চরম হতাশা বিরাজ করছে তাদের পরিবারের মাঝে। মর্জিনা আক্তারের ভাই আইনুল হক জানান, আমাদের সারাজীবনের সঞ্চয় এভাবে নিয়ে গেছে, আমার আম্মা খুবই হতাশায় ভোগছেন। দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথেও ঘটেছে এমন ঘটনা। ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকারও হদিস মেলেনি। এভাবে গ্রাহকের একাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি ঘটনা সামনে আসার পর পালিয়েছে ব্যাংকের ঝাঁড়–দার শাহীন। এব্যাপারে খালেদা, মদিনা এবং মর্জিনা তিন বোন সোনালী ব্যাংক ময়মনসিংহ জেলা শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্ত করেন সোনালী ব্যাংক ময়মনসিংহ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার তুহিন। তদন্ত চলাকালে খালেদা আক্তারের ৫ লাখ টাকা উদ্বার করে দেন। গ্রাহকের টাকা নিয়ে গেলেও এই বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই ব্যাংক ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেনের। এব্যাপারে ব্যাংক ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন শাহীন পলাতক আছে এই বিষয়ে আমার কি করার আছে। আমরা চেষ্টা করেছি।
রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সোনালী বাংক ধোবাউড়া শাখায় গ্রাহকের একাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা ঝাড়–দার। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। গ্রাহকের অভিযোগ ব্যাংকের বর্তমান ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেনের যোগসাজশে গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়েছে ঝাড়–দার শাহীন আলম। গ্রাহকদের কাছ থেকে জানা যায়, সোনালী ব্যাংক ধোবাউড়া শাখায় ধোবাউড়া সদর গ্রামের শাহিন আলম দীর্ঘদিন ধরে ঝাঁড়–দারের চাকরি করছেন। বর্তমান ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন যোগদানের পর ঝাঁড়–দার শাহীন আলমকে ম্যানেজারের পাশেই চেয়ার টেবিল দিয়ে বসিয়ে দেন। আর এতে শাহীন আলম ঝাড়–দার থেকে বনে যান একজন কর্মকর্তা। গ্রাহকরা ম্যানেজারের কাছে কোন কাজে গেলে তিনি শাহিনের কাছে পাঠিয়ে দেন। এভাবে শাহিন বড় অফিসার বনে গিয়ে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করা শুরু করেন। কিছুদিন পূর্বে জনতা ব্যাংক ধোবাউড়া শাখা থেকে পোড়াকান্দুলিয়ার হরিদাস নামে এক ব্যাক্তির পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক সোনালী ব্যাংকে কালেকশনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার তা শাহিনের মাধ্যমে অন্য একাউন্টে কালেকশন করে দেন। কিন্তু গ্রাহক টাকা পায়নি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর ধোবাউড়া উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিন বোন মদিনা, মর্জিনা এবং খালেদা আক্তার তাদের নামে ৫ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র জমার বিষয়টি চেক করতে যান ব্যাংকে। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে দেখেন তাদের একাউন্টে কোন টাকা নেই। তারা জানান, ২০২৩ সালে তারা তিন বোন পাঁচ বছর মেয়াদি তিনটি সঞ্চয়পত্র জমা করেন। বর্তমান ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেনের কাছে গেলে এই তিন বোনকে শাহিনের কাছে পাঠান ম্যানেজার। শাহীন তাদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে টাকা জমা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। টাকা জমা দেওয়ার পর তিন বোন তাদের লভ্যাংশের টাকাও উত্তোলন করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে ব্যাংকে গিয়ে দেখেন তাদের একাউন্টে টাকা নেই। এ ঘটনা জানার পর চরম হতাশা বিরাজ করছে তাদের পরিবারের মাঝে। মর্জিনা আক্তারের ভাই আইনুল হক জানান, আমাদের সারাজীবনের সঞ্চয় এভাবে নিয়ে গেছে, আমার আম্মা খুবই হতাশায় ভোগছেন। দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথেও ঘটেছে এমন ঘটনা। ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকারও হদিস মেলেনি। এভাবে গ্রাহকের একাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি ঘটনা সামনে আসার পর পালিয়েছে ব্যাংকের ঝাঁড়–দার শাহীন। এব্যাপারে খালেদা, মদিনা এবং মর্জিনা তিন বোন সোনালী ব্যাংক ময়মনসিংহ জেলা শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্ত করেন সোনালী ব্যাংক ময়মনসিংহ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার তুহিন। তদন্ত চলাকালে খালেদা আক্তারের ৫ লাখ টাকা উদ্বার করে দেন। গ্রাহকের টাকা নিয়ে গেলেও এই বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই ব্যাংক ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেনের। এব্যাপারে ব্যাংক ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন শাহীন পলাতক আছে এই বিষয়ে আমার কি করার আছে। আমরা চেষ্টা করেছি।