alt

news » bangladesh

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস সোমবার

দেশে নিরক্ষতার হার ২২ দশমিক ১ শতাংশ

‘প্রকৃত’ সাক্ষরতার হার আরও কম হতে পারে- গণশিক্ষা উপদেষ্টা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

‘দেশের সাত বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার বর্তমানে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ (অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪)। সেই হিসেবে প্রায় ২২ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনও নিরক্ষর, যারা কখনও বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বরাত দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ তথ্য জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে রোববার,(০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবস প্রতিবছর ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’।

‘সত্যিকার অর্থে’ সাক্ষরতার হার আরও কম হতে পারে মন্তব্য করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আগের সরকার প্রকৃত সাক্ষরতার হার চেপে রেখেছিল। স্কুলে স্কুলে ভিজিট করে দেখা গেছে, প্রকৃত স্বাক্ষর নয় অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে।’

নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর বিষয়ে তিনি বলেন, এ জনগোষ্ঠী মূলত বিদ্যালয়-বহির্ভূত বা ঝরে পড়া শিশু এবং শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য তাদের সাক্ষরজ্ঞান ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এ বিষয়ে কাজ করছে বলেও জানান উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল কাজই হচ্ছে সাক্ষরতা।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪ অনুযায়ী ১০-১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান এবং ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতা, জীবিকায়ন দক্ষতা ও জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

যেসব শিক্ষার্থী পিছিয়ে রয়েছে, তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় সাক্ষর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে বিধান রঞ্জন রায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার বর্তমান লক্ষ্যই হলো শিশুকে সাক্ষর করে তোলা। প্রকৃত সাক্ষর না হয়ে শিক্ষার্থীরা হাইস্কুলে যাওয়ায়, তাদের শিক্ষার মাঝে একটি বড় গ্যাপ থেকে যাচ্ছে।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হওয়া বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৬৩ জেলায় ২৫ হাজার ৮১৫টি শিখন কেন্দ্রে আট লাখ দুই হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৬ জন শিক্ষার্থী মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষালাভ করেছে।

অক্টোবর থেকে ১৫০ উপজেলায় ‘মিড ডে মিল’

দেশের ১৫০ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী অক্টোবর থেকে ‘মিড ডে মিল’ চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি জানান, ‘মিড ডে মিল’ কর্মসূচিতে ডিম, মৌসুমি ফল, বিস্কুট, দুধসহ পাঁচ ধরনের খাবার থাকবে।

‘মিড ডে মিল’ কর্মসূচি চালু হতে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ডিপিপি তৈরি করলাম, সেটি আগের বিবিএসের রিপোর্ট অনুযায়ী তৈরি হলো।

এরপর প্রক্রিয়া মেনে আমরা এটি একনেকে উপস্থাপন করলাম, তখন বিবিএসের নতুন পরিসংখ্যান বের হলো। তখন আমাদেরকে বলা হলো আপনারা এই অনুযায়ী করেন। একটা জেলার মধ্যে কোন অঞ্চলগুলো বেশি দরিদ্র সেটি তো পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে আবার এটিকে ঠিক করে পাস করাতে হলো। এজন্য কিছুটা বিলম্ব হলো।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘আর যে প্রক্রিয়াগুলো- প্রকিউরমেন্টে প্রক্রিয়া, ট্রেনিংয়ের বিষয়গুলো, সেগুলো চালু আছে, আমরা আশা করি আমরা পারবো। অক্টোবরের শুরুতে দেশের ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড ডে মিল চালু করতে পারবো।’

ছুটি কমবে প্রাথমিকে

শিক্ষার মান বাড়াতে এবং সাক্ষরতা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি কমিয়ে আনা হবে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়।

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ছুটি যাতে কিছু কমিয়ে নিয়ে আনা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজটা করতে চাই। কারণ বিচ্ছিন্নভাবে এটা করলে হবে না।’

এক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন থেকে কমিয়ে একদিন করার ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে গণশিক্ষা শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আপাতত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ক্যালেন্ডারে ছুটি কিছুটা কমানো। আমরা যদি সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিনকে একদিন করতে চাই, সেটা সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু একই রকম- তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদাভাবে করা কঠিন।

আমাদের ক্যালেন্ডারে যে ছুটি আছে সেক্ষেত্রে আমরা কিছুটা কমিয়ে আনবো।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘পড়াশোনা যদি স্কুলের হতে হয়- তবে প্রয়োজনীয় একটি শর্ত হচ্ছে কন্ট্রাক্ট আওয়ার, একজন শিক্ষক ছাত্রকে কতটুকু সময় দিতে পারছেন।’

এই কন্ট্রাক্ট আওয়ার প্রথমত কতদিন স্কুল খোলা থাকে সেটির ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা ক্যালেন্ডার দেখেন- ৩৬৫ দিনের মধ্যে আমার স্কুল খোলা থাকে ১৮০ দিন। পড়াশোনাটা যে হবে, স্কুল কতো দিন খোলা পাচ্ছি! এর মানে আমাদের অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি রয়ে গেছে।’

ছবি

হিলি স্থলবন্দর: ৩ মাসে ভারতে ৩,১০০ টন পণ্য রপ্তানি, ৩০ কোটি টাকা আয়

ছবি

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫৮০, ৩ জনের মৃত্যু

ছবি

৫৪৬ মায়ানমার নাগরিককে ফেরত পাঠালো বিজিবি

ছবি

বেপরোয়া আরাকান আর্মির দাপট এখন নাফ নদে

ছবি

এবার সংসদ ভবন এলাকায় নিষিদ্ধ আ’লীগের মিছিল

সিরাতুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা

ধোবাউড়ায় সোনালী ব্যাংকে গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা ঝাড়–দার

ছবি

জামালপুরে গণপিটুনিতে চোর নিহত

ছবি

অবৈধ সংযোগ কর্তন করতে গিয়ে বৈধ সংযোগও বন্ধ

ছবি

মুন্সীগঞ্জে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

কুবির দ্বিতীয় সমাবর্তন ৭ ডিসেম্বর

ছবি

নারায়ণগঞ্জে রেডিমিক্স সিমেন্ট কারখানায় যুবক পিটিয়ে হত্যা

ছবি

বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালক গ্রেপ্তার

ছবি

কলাপাড়ায় গৃহবধূকে ডাকাতি শেষে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি

ভেঙে যাওয়া সুইস গেইট নির্মাণের খবরে স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়

ছবি

চলন বিলে শামুকে জীবিকা নির্বাহ হাজারো মানুষের

ছবি

ধামরাইয়ে সাদ হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

গাইবান্ধায় আউশের ফলনে খুশি কৃষক

ছবি

বোয়ালমারীতে পাগলা ঘোড়ার আক্রমনে আহত ১০

ছবি

খানা খন্দে ভরা চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়ক

ছবি

দুর্গাপুরের হাট-বাজার পলিথিনে সয়লাব

ছবি

চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান মাদকসহ আটক ১১

ছবি

রাউজানে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া, আটক ১

ছবি

ডলফিন রক্ষায় সুন্দরবন অভয়ারণ্যে লাল ফ্ল্যাগ, মাছ ধরায় বিধি নিষেধ

ছবি

বাসর রাতে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দিল নববধূ

ছবি

জলদস্যুর আস্তানায় মিলল অস্ত্র-গুলি

ছবি

কুষ্টিয়ার লালন আখড়াবাড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

ছবি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যারা জুটমিলগুলো ধ্বংস করেছে তাদের বিচার করা হবে -ড. মঈন খান

ছবি

চিরিরবন্দরে সাপের কামড়ে মৃত্যু ১

ছবি

জয়পুরহাটে ৩৩ বছরেও জমি দখল না পেয়ে ভুক্তভোগীর মানববন্ধন

ছবি

বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৫

ছবি

বাঞ্ছারামপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

ছবি

লালপুরে অপরিকল্পিত নদী খননে গ্রামীণ সড়ক, ঘরবাড়ি নদীগর্ভে

ছবি

বসতভিটা উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

দাবদাহে বিপর্যস্ত শ্রীমঙ্গল

ছবি

হিলি-ঘোড়াঘাট মহাসড়কের কাজ ৩ বছরেও শেষ হয়নি

tab

news » bangladesh

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস সোমবার

দেশে নিরক্ষতার হার ২২ দশমিক ১ শতাংশ

‘প্রকৃত’ সাক্ষরতার হার আরও কম হতে পারে- গণশিক্ষা উপদেষ্টা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘দেশের সাত বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার বর্তমানে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ (অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪)। সেই হিসেবে প্রায় ২২ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনও নিরক্ষর, যারা কখনও বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বরাত দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ তথ্য জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে রোববার,(০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবস প্রতিবছর ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’।

‘সত্যিকার অর্থে’ সাক্ষরতার হার আরও কম হতে পারে মন্তব্য করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আগের সরকার প্রকৃত সাক্ষরতার হার চেপে রেখেছিল। স্কুলে স্কুলে ভিজিট করে দেখা গেছে, প্রকৃত স্বাক্ষর নয় অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে।’

নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর বিষয়ে তিনি বলেন, এ জনগোষ্ঠী মূলত বিদ্যালয়-বহির্ভূত বা ঝরে পড়া শিশু এবং শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য তাদের সাক্ষরজ্ঞান ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এ বিষয়ে কাজ করছে বলেও জানান উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল কাজই হচ্ছে সাক্ষরতা।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪ অনুযায়ী ১০-১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান এবং ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতা, জীবিকায়ন দক্ষতা ও জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

যেসব শিক্ষার্থী পিছিয়ে রয়েছে, তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় সাক্ষর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে বিধান রঞ্জন রায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার বর্তমান লক্ষ্যই হলো শিশুকে সাক্ষর করে তোলা। প্রকৃত সাক্ষর না হয়ে শিক্ষার্থীরা হাইস্কুলে যাওয়ায়, তাদের শিক্ষার মাঝে একটি বড় গ্যাপ থেকে যাচ্ছে।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হওয়া বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৬৩ জেলায় ২৫ হাজার ৮১৫টি শিখন কেন্দ্রে আট লাখ দুই হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৬ জন শিক্ষার্থী মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষালাভ করেছে।

অক্টোবর থেকে ১৫০ উপজেলায় ‘মিড ডে মিল’

দেশের ১৫০ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী অক্টোবর থেকে ‘মিড ডে মিল’ চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি জানান, ‘মিড ডে মিল’ কর্মসূচিতে ডিম, মৌসুমি ফল, বিস্কুট, দুধসহ পাঁচ ধরনের খাবার থাকবে।

‘মিড ডে মিল’ কর্মসূচি চালু হতে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ডিপিপি তৈরি করলাম, সেটি আগের বিবিএসের রিপোর্ট অনুযায়ী তৈরি হলো।

এরপর প্রক্রিয়া মেনে আমরা এটি একনেকে উপস্থাপন করলাম, তখন বিবিএসের নতুন পরিসংখ্যান বের হলো। তখন আমাদেরকে বলা হলো আপনারা এই অনুযায়ী করেন। একটা জেলার মধ্যে কোন অঞ্চলগুলো বেশি দরিদ্র সেটি তো পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে আবার এটিকে ঠিক করে পাস করাতে হলো। এজন্য কিছুটা বিলম্ব হলো।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘আর যে প্রক্রিয়াগুলো- প্রকিউরমেন্টে প্রক্রিয়া, ট্রেনিংয়ের বিষয়গুলো, সেগুলো চালু আছে, আমরা আশা করি আমরা পারবো। অক্টোবরের শুরুতে দেশের ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড ডে মিল চালু করতে পারবো।’

ছুটি কমবে প্রাথমিকে

শিক্ষার মান বাড়াতে এবং সাক্ষরতা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি কমিয়ে আনা হবে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়।

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ছুটি যাতে কিছু কমিয়ে নিয়ে আনা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজটা করতে চাই। কারণ বিচ্ছিন্নভাবে এটা করলে হবে না।’

এক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন থেকে কমিয়ে একদিন করার ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে গণশিক্ষা শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আপাতত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ক্যালেন্ডারে ছুটি কিছুটা কমানো। আমরা যদি সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিনকে একদিন করতে চাই, সেটা সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু একই রকম- তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদাভাবে করা কঠিন।

আমাদের ক্যালেন্ডারে যে ছুটি আছে সেক্ষেত্রে আমরা কিছুটা কমিয়ে আনবো।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘পড়াশোনা যদি স্কুলের হতে হয়- তবে প্রয়োজনীয় একটি শর্ত হচ্ছে কন্ট্রাক্ট আওয়ার, একজন শিক্ষক ছাত্রকে কতটুকু সময় দিতে পারছেন।’

এই কন্ট্রাক্ট আওয়ার প্রথমত কতদিন স্কুল খোলা থাকে সেটির ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা ক্যালেন্ডার দেখেন- ৩৬৫ দিনের মধ্যে আমার স্কুল খোলা থাকে ১৮০ দিন। পড়াশোনাটা যে হবে, স্কুল কতো দিন খোলা পাচ্ছি! এর মানে আমাদের অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি রয়ে গেছে।’

back to top