টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের ঐতিহ্যবাহী ডাকাতিয়া বিলে এখন উড়ছে শঙ্খচিল। শঙ্খচিল বাংলাদেশে একটি অতি পরিচিত পাখি। পাখিটি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত উপমহাদেশে সর্বত্র, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় পাখিটি পরিচিত। বিভিন্ন পাখির তথ্য থেকে জানা গেছে, ভারতের কেরালায় শঙ্খ চিল অ্যাক্সিপিট্রিডি পরিবারের সদস্য। দৈর্ঘ্য ৭৬-৮৪ সে.মি.হয়ে থাকে। নদী-নালা, জলাশয়ের আশেপাশে বেশি দেখা যায়।
শঙ্খের মত সাদা মাথা, ঘাড়, বুক, পেটের তলা’র পালক যার উপর মরিচা ধরা খাড়া ছোট রেখা থাকে এবং কেবল প্রাথমিক পালক কাল; ঠোঁট ছোট, লেজ সবসময় গোলাকার ডগাযুক্ত; ডানায় থাকে লাল, সর-রং, বাদামি এবং কাল আর দেহের নিচের দিক বহু রেখা সংবলিত; সব সময় লেজ ও ডানা একই দৈর্ঘ্যের। এ রকম বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে শঙ্খচিল! কিন্তু ডানা দু’টি ও শরীরের অন্যান্য অংশ খয়েরী হয়ে থাকে বরে জানা গেছে। এ পাখিটি বড় আকারের গাছের ডালে বড় আকৃতির বাসা তৈরি করে থাকে। মাছ বা জলজ প্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করা পাখিটি ছোট সাপ হাঁস মুরগির বাচ্চা খেতে পছন্দ করে বলেও জানা গেছে। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাসে প্রজনন করে থাকে।
দক্ষিণপূর্ব অস্ট্রেলিয়াতেতে অগাস্ট-অক্টোবর ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াাতে এপ্রিল-জুন। এঁরা উঁচু স্থানে বাসা বাঁধে, যা মূলত ছোট ছোট ডাল ও শুঁকনো পাতা দিয়ে তৈরি হয়। একই বাসা এঁরা বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করে। শঙ্খ চিল দুটো করে ডিম দিয়ে।
মা বাবা দুজনে মিলে বাচ্চা বড় করে যদিও ডিমে তা দেয় শুধু স্ত্রী পাখিটি। ২৬-২৯ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এসব তথ্য পাখিদের জীবন চক্র ও পাখি প্রেমীদের থেকে পাওয়া গেছে। জোড়ায় জোড়ায় বাস করা পাখিটি হাওর বড় নদী সুন্দর বন ও নগর বন্দরের বড় বড় ঝাঁকে চলে থাকে।
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের ঐতিহ্যবাহী ডাকাতিয়া বিলে এখন উড়ছে শঙ্খচিল। শঙ্খচিল বাংলাদেশে একটি অতি পরিচিত পাখি। পাখিটি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত উপমহাদেশে সর্বত্র, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় পাখিটি পরিচিত। বিভিন্ন পাখির তথ্য থেকে জানা গেছে, ভারতের কেরালায় শঙ্খ চিল অ্যাক্সিপিট্রিডি পরিবারের সদস্য। দৈর্ঘ্য ৭৬-৮৪ সে.মি.হয়ে থাকে। নদী-নালা, জলাশয়ের আশেপাশে বেশি দেখা যায়।
শঙ্খের মত সাদা মাথা, ঘাড়, বুক, পেটের তলা’র পালক যার উপর মরিচা ধরা খাড়া ছোট রেখা থাকে এবং কেবল প্রাথমিক পালক কাল; ঠোঁট ছোট, লেজ সবসময় গোলাকার ডগাযুক্ত; ডানায় থাকে লাল, সর-রং, বাদামি এবং কাল আর দেহের নিচের দিক বহু রেখা সংবলিত; সব সময় লেজ ও ডানা একই দৈর্ঘ্যের। এ রকম বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে শঙ্খচিল! কিন্তু ডানা দু’টি ও শরীরের অন্যান্য অংশ খয়েরী হয়ে থাকে বরে জানা গেছে। এ পাখিটি বড় আকারের গাছের ডালে বড় আকৃতির বাসা তৈরি করে থাকে। মাছ বা জলজ প্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করা পাখিটি ছোট সাপ হাঁস মুরগির বাচ্চা খেতে পছন্দ করে বলেও জানা গেছে। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাসে প্রজনন করে থাকে।
দক্ষিণপূর্ব অস্ট্রেলিয়াতেতে অগাস্ট-অক্টোবর ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াাতে এপ্রিল-জুন। এঁরা উঁচু স্থানে বাসা বাঁধে, যা মূলত ছোট ছোট ডাল ও শুঁকনো পাতা দিয়ে তৈরি হয়। একই বাসা এঁরা বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করে। শঙ্খ চিল দুটো করে ডিম দিয়ে।
মা বাবা দুজনে মিলে বাচ্চা বড় করে যদিও ডিমে তা দেয় শুধু স্ত্রী পাখিটি। ২৬-২৯ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এসব তথ্য পাখিদের জীবন চক্র ও পাখি প্রেমীদের থেকে পাওয়া গেছে। জোড়ায় জোড়ায় বাস করা পাখিটি হাওর বড় নদী সুন্দর বন ও নগর বন্দরের বড় বড় ঝাঁকে চলে থাকে।