দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানার পশ্চিম জানিপুর গ্রামের তরুণ মোহাম্মদ আবু তারেক। বয়স মাত্র ৩০ বছর। একসময় চাকরির খোঁজে নানা প্রতিষ্ঠানে ঘুরেছেন তিনি, কিন্তু মন ভরেনি কোথাও। শেষ পর্যন্ত স্থির করলেন নিজের ঘামঝরানো পরিশ্রমেই গড়বেন ভাগ্যের নতুন দিগন্ত। বন্ধু আবু হেনাকে সঙ্গে নিয়ে ২০২৫ সালের শুরুতে ভাড়া নেন বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর এলাকায় ৩২ শতক জমি।
শুরু করেন হাঁসের খামার। মূলধন দাঁড়ায় ৮ লক্ষ টাকা যার মধ্যে আশ্রয় এনজিওর সহায়তা দেড় লক্ষ, বিসমিল্লাহ ফিডের প্রোপাইটার আরিফুর রহমানের সহযোগিতা ছয় লক্ষ এবং পারিবারিক সমর্থন দেড় লক্ষ টাকা। সেই অর্থেই তারা আনেন ২০ হাজার খাঁকি ক্যাম্বেল জাতের হাঁসের বাচ্চা। প্রতিদিন তিনবেলা খাবার, ওষুধ ও ক্যালসিয়ামের ব্যবস্থা করতে হয় নিয়মিত। প্রায় ২৫০ কেজি খাবার খরচ হয় প্রতিদিন। সব মিলিয়ে প্রতিদিনের ব্যয় প্রায় ১২ হাজার টাকা। খামারের যতেœ নিয়োজিত আছেন স্থানীয় দুইজন সুশান্ত মুর্মু ও মোয়াজ্জেম হোসেন। আজ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫। খামারের হাঁসের বয়স ১৫৪ দিন। বর্তমানে ১,৫০০ হাঁসের মধ্যে ৭০০টি ডিম দিচ্ছে নিয়মিত।
আবু তারেক আশাবাদী, শিগগিরই দিনে ১,৩০০ হাঁস ডিম দেবে এবং তিনি প্রতিদিন ১,৩০০ ডিম বাজারজাত করতে পারবেন। পাইকারি বাজারে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ টাকায়। অনেক সময় ব্যবসায়ীরাই খামার থেকে সরাসরি ডিম কিনে নিয়ে যান। তারেক হিসাব কষে দেখেছেন, এই হাঁসগুলো অন্তত ১৮ মাস পর্যন্ত লালন-পালন করা যাবে। এভাবে চলতে থাকলে ঋণ শোধ করার পরও এ বছর ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি। আবু তারেকের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। ২০১১ সালে এসএসসি ও ২০১৮ সালে বিরামপুর সরকারি কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেন তিনি। এরপর কাজ করেছেন বিভিন্ন খামারে, অর্জন করেছেন অভিজ্ঞতা।
একসময় নিউলাইট যুব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। চাকরির আশায় ঘুরেছেন এসিআই পেস্টিসাইডসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, কিন্তু জীবন বদলায়নি। অবশেষে নিজস্ব উদ্যোগেই গড়লেন ভাগ্যের নতুন ঠিকানা। আজ তার হাঁস খামার শুধু তার স্বপ্নই পূরণ করেনি, আশেপাশের তরুণদের জন্যও তৈরি করেছে অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত।
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানার পশ্চিম জানিপুর গ্রামের তরুণ মোহাম্মদ আবু তারেক। বয়স মাত্র ৩০ বছর। একসময় চাকরির খোঁজে নানা প্রতিষ্ঠানে ঘুরেছেন তিনি, কিন্তু মন ভরেনি কোথাও। শেষ পর্যন্ত স্থির করলেন নিজের ঘামঝরানো পরিশ্রমেই গড়বেন ভাগ্যের নতুন দিগন্ত। বন্ধু আবু হেনাকে সঙ্গে নিয়ে ২০২৫ সালের শুরুতে ভাড়া নেন বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর এলাকায় ৩২ শতক জমি।
শুরু করেন হাঁসের খামার। মূলধন দাঁড়ায় ৮ লক্ষ টাকা যার মধ্যে আশ্রয় এনজিওর সহায়তা দেড় লক্ষ, বিসমিল্লাহ ফিডের প্রোপাইটার আরিফুর রহমানের সহযোগিতা ছয় লক্ষ এবং পারিবারিক সমর্থন দেড় লক্ষ টাকা। সেই অর্থেই তারা আনেন ২০ হাজার খাঁকি ক্যাম্বেল জাতের হাঁসের বাচ্চা। প্রতিদিন তিনবেলা খাবার, ওষুধ ও ক্যালসিয়ামের ব্যবস্থা করতে হয় নিয়মিত। প্রায় ২৫০ কেজি খাবার খরচ হয় প্রতিদিন। সব মিলিয়ে প্রতিদিনের ব্যয় প্রায় ১২ হাজার টাকা। খামারের যতেœ নিয়োজিত আছেন স্থানীয় দুইজন সুশান্ত মুর্মু ও মোয়াজ্জেম হোসেন। আজ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫। খামারের হাঁসের বয়স ১৫৪ দিন। বর্তমানে ১,৫০০ হাঁসের মধ্যে ৭০০টি ডিম দিচ্ছে নিয়মিত।
আবু তারেক আশাবাদী, শিগগিরই দিনে ১,৩০০ হাঁস ডিম দেবে এবং তিনি প্রতিদিন ১,৩০০ ডিম বাজারজাত করতে পারবেন। পাইকারি বাজারে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ টাকায়। অনেক সময় ব্যবসায়ীরাই খামার থেকে সরাসরি ডিম কিনে নিয়ে যান। তারেক হিসাব কষে দেখেছেন, এই হাঁসগুলো অন্তত ১৮ মাস পর্যন্ত লালন-পালন করা যাবে। এভাবে চলতে থাকলে ঋণ শোধ করার পরও এ বছর ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি। আবু তারেকের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। ২০১১ সালে এসএসসি ও ২০১৮ সালে বিরামপুর সরকারি কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেন তিনি। এরপর কাজ করেছেন বিভিন্ন খামারে, অর্জন করেছেন অভিজ্ঞতা।
একসময় নিউলাইট যুব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। চাকরির আশায় ঘুরেছেন এসিআই পেস্টিসাইডসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, কিন্তু জীবন বদলায়নি। অবশেষে নিজস্ব উদ্যোগেই গড়লেন ভাগ্যের নতুন ঠিকানা। আজ তার হাঁস খামার শুধু তার স্বপ্নই পূরণ করেনি, আশেপাশের তরুণদের জন্যও তৈরি করেছে অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত।