ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়ার অনিয়ম- দুর্নীতি থেমে নেই। গত ২৪ জুন দৈনিক সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কাজের কাজ হয়নি কিছুই। দিন দিন তার অনিয়ম- দুর্নীতির মাত্রা বেড়েই চলছে । সূত্র মতে,দক্ষ ও যোগ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে বাদ রেখে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ওই অফিসের ইলেকট্রিশিয়ান ও নকশাকারকে দিয়ে করানো হচ্ছে বড় প্রকল্পগুলোর তদারকি কাজ। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট অফিসের স্টাফদের মধ্যে বইছে সমালোচনার ঝড়।
এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.মহাবুল ইসলাম ১২ বছর যাবত একই স্টেশন সিংগাইর অফিসে কর্মরত আছেন। সর্বশেষ গত ২৭ জুলাই তাকে জেলার শিবালয় উপজেলা প্রকৌশল অফিসে বদলি করা হয়। কিন্তু উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের আশীর্বাদপুষ্ট এবং তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হওয়ায় মহাবুল ইসলামকে বদলি ঠেকাতে বেগ পেতে হয়নি
এর আগে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়ার পছন্দের ইলেকট্রিশিয়ান মোয়াজ্জেম হোসেন ও নকশাকার শাহরিয়ার ইমনের প্রকল্প তদারকির কাজ নিয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। যাকে খুশি তাকে দিয়ে কাজ করাবেন বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
এদিকে, চলমান ও বন্ধ বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে কোথাও লাগানো হয়নি কোনো স্কিম তথ্য বোর্ড। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি আশ্বস্ত করেন কিন্তু বাস্তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাইনবোর্ড দৃশ্যমান হয়নি। এ নিয়ে ইতিপূর্বে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের কাছে একাধিকবার জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ২ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার বাইমাইল থেকে বলধারা বাজার সড়কের ২৪ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ ও ৭ মিটার স্লাব নির্মাণের কাজ এবং প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চান্দহর বাজার সংলগ্ন ৩১৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটির কাজের গুণগতমান নিয়ে জনমনে ওঠেছে নানা প্রশ্ন। এ ছাড়া উপজেলায় ব্রিজ ও রাস্তার একাধিক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন যাবত রয়েছে বন্ধ।
কখনো প্রকল্পের ফান্ড সংকট আবার কোনো কাজের ঠিকাদার টাকার অভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে ওই সমস্ত এলাকার লোকজনও পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। সূত্র জানায়, এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মহাবুল ইসলাম ১২ বছর যাবত একই স্টেশন সিংগাইর অফিসে কর্মরত আছেন।
সর্বশেষ গত ২৭ জুলাই তাকে জেলার শিবালয় উপজেলা প্রকৌশল অফিসে বদলি করা হয়। কিন্তু উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের আশীর্বাদপুষ্ট এবং তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হওয়ায় মহাবুল ইসলামকে বদলি ঠেকাতে বেগ পেতে হয়নি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে রিলিজ না দিয়ে তদবির করে এ স্টেশনেই রাখা হয়েছে। আর তাকে দিয়েই উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অনিয়ম-দুর্নীতির কলকাঠি নাড়ছেন বলে জানা গেছে। কোনো স্টাফ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়ার মনপুত না হলে এ স্টেশনে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
সম্প্রতি প্রকৌশল অফিসের বদলিকৃত ওয়ার্ক অ্যাসিসট্যান্ট কেএম আব্দুল খালেক অভিযোগ করে বলেন,দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মনোমালিন্যের বিষয়টি নিয়ে অহেতুক আমাকে দোষারোপ করা হয়।
আর এজন্যই আড়াই বছরের মাথায় আমাকে অন্যায়ভাবে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। অথচ আমার সহকর্মী আরেক ওয়ার্ক অ্যাসিসট্যান্ট এনামূল হক গত ১৮ বছর যাবত একই স্টেশনে থাকলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীলীগের লোকজনই তাদের লাইসেন্সে এখনো কাজ পায়।
উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প তদারকি কর্মকর্তার মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন। একটা কাজে ভ্যাট- ট্যাক্সসহ অন্যান্য খাতে ২৫ থেকে ৩০% টাকা খরচ চলে যায়। বাকি টাকা দিয়ে ভালো মানের কাজ করে লাভ খুঁজে পাই না। সিংগাইর উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ফান্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাকার অভাবে কাজ শেষ করতে পারছেন না।
প্রকল্পস্থানে সাইনবোর্ড অর্ডার দেয়া হয়েছে আগামী মাসে লাগানো হবে। এ ছাড়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.মহাবুল ইসলামের বদলি স্টে করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়ার অনিয়ম- দুর্নীতি থেমে নেই। গত ২৪ জুন দৈনিক সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কাজের কাজ হয়নি কিছুই। দিন দিন তার অনিয়ম- দুর্নীতির মাত্রা বেড়েই চলছে । সূত্র মতে,দক্ষ ও যোগ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে বাদ রেখে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ওই অফিসের ইলেকট্রিশিয়ান ও নকশাকারকে দিয়ে করানো হচ্ছে বড় প্রকল্পগুলোর তদারকি কাজ। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট অফিসের স্টাফদের মধ্যে বইছে সমালোচনার ঝড়।
এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.মহাবুল ইসলাম ১২ বছর যাবত একই স্টেশন সিংগাইর অফিসে কর্মরত আছেন। সর্বশেষ গত ২৭ জুলাই তাকে জেলার শিবালয় উপজেলা প্রকৌশল অফিসে বদলি করা হয়। কিন্তু উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের আশীর্বাদপুষ্ট এবং তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হওয়ায় মহাবুল ইসলামকে বদলি ঠেকাতে বেগ পেতে হয়নি
এর আগে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়ার পছন্দের ইলেকট্রিশিয়ান মোয়াজ্জেম হোসেন ও নকশাকার শাহরিয়ার ইমনের প্রকল্প তদারকির কাজ নিয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। যাকে খুশি তাকে দিয়ে কাজ করাবেন বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
এদিকে, চলমান ও বন্ধ বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে কোথাও লাগানো হয়নি কোনো স্কিম তথ্য বোর্ড। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি আশ্বস্ত করেন কিন্তু বাস্তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাইনবোর্ড দৃশ্যমান হয়নি। এ নিয়ে ইতিপূর্বে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের কাছে একাধিকবার জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ২ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার বাইমাইল থেকে বলধারা বাজার সড়কের ২৪ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ ও ৭ মিটার স্লাব নির্মাণের কাজ এবং প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চান্দহর বাজার সংলগ্ন ৩১৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটির কাজের গুণগতমান নিয়ে জনমনে ওঠেছে নানা প্রশ্ন। এ ছাড়া উপজেলায় ব্রিজ ও রাস্তার একাধিক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন যাবত রয়েছে বন্ধ।
কখনো প্রকল্পের ফান্ড সংকট আবার কোনো কাজের ঠিকাদার টাকার অভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে ওই সমস্ত এলাকার লোকজনও পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। সূত্র জানায়, এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মহাবুল ইসলাম ১২ বছর যাবত একই স্টেশন সিংগাইর অফিসে কর্মরত আছেন।
সর্বশেষ গত ২৭ জুলাই তাকে জেলার শিবালয় উপজেলা প্রকৌশল অফিসে বদলি করা হয়। কিন্তু উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের আশীর্বাদপুষ্ট এবং তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হওয়ায় মহাবুল ইসলামকে বদলি ঠেকাতে বেগ পেতে হয়নি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে রিলিজ না দিয়ে তদবির করে এ স্টেশনেই রাখা হয়েছে। আর তাকে দিয়েই উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অনিয়ম-দুর্নীতির কলকাঠি নাড়ছেন বলে জানা গেছে। কোনো স্টাফ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়ার মনপুত না হলে এ স্টেশনে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
সম্প্রতি প্রকৌশল অফিসের বদলিকৃত ওয়ার্ক অ্যাসিসট্যান্ট কেএম আব্দুল খালেক অভিযোগ করে বলেন,দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মনোমালিন্যের বিষয়টি নিয়ে অহেতুক আমাকে দোষারোপ করা হয়।
আর এজন্যই আড়াই বছরের মাথায় আমাকে অন্যায়ভাবে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। অথচ আমার সহকর্মী আরেক ওয়ার্ক অ্যাসিসট্যান্ট এনামূল হক গত ১৮ বছর যাবত একই স্টেশনে থাকলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীলীগের লোকজনই তাদের লাইসেন্সে এখনো কাজ পায়।
উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প তদারকি কর্মকর্তার মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন। একটা কাজে ভ্যাট- ট্যাক্সসহ অন্যান্য খাতে ২৫ থেকে ৩০% টাকা খরচ চলে যায়। বাকি টাকা দিয়ে ভালো মানের কাজ করে লাভ খুঁজে পাই না। সিংগাইর উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ফান্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাকার অভাবে কাজ শেষ করতে পারছেন না।
প্রকল্পস্থানে সাইনবোর্ড অর্ডার দেয়া হয়েছে আগামী মাসে লাগানো হবে। এ ছাড়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.মহাবুল ইসলামের বদলি স্টে করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি ।