ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রবীন্দ্র সঙ্গীতের ভাণ্ডারী খ্যাত শৈলজারঞ্জন মজুমদার ১৯০০ সালের ১৯ জুলাই নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা রমনী কিশোর দত্ত মজুমদার, মাতা সরলা সুন্দরী। ১৯১৮ সালে নেত্রকোনার দত্ত হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। ১৯২৪ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে রসায়ন শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
পরবর্তীতে কলকাতার ল কলেজ থেকে আইন পাস করেন। কলকাতার আশুতোষ কলেজে অধ্যাপনা জীবন আরম্ভ করলেও ১৯৩২ সালে তিনি শান্তি নিকেতনে যান। বিশ্বভারতীতে রসায়ন শাস্ত্র পড়াতে শুরু করেন। এদিকে তাঁর হৃদয়ে তান তোলে সঙ্গীত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কাছে সঙ্গীতের মর্মার্থ জেনে সুর করা আরম্ভ করেন।কিছু দিনের মধ্যেই হয়ে উঠেন রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্য। তাঁকে শান্তিনিকেতনের সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়। রবীন্দ্র স্বরলিপিকার,রবীন্দ্রসংঙ্গীত আচার্য, অবিকৃত সুর উচ্চারণে রবীন্দ্রসঙ্গীত গানের প্রচার ছিল তাঁর ধ্যান ও তপস্যা। ১৯৯২ সালের ২৪ মে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সমঝদার, রবীন্দ্র রসিক শৈলজারঞ্জন মজুমদার মৃত্যুবরন করেন। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে মোহনগঞ্জ পৌরশহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে বাহাম গ্রামে তাঁর জন্মভিটায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় নান্দনিক কারুকার্যে চিত্রায়িত ৩ তলা বিশিষ্ট শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ২০২৩ সালের ১১ মার্চ এটি উদ্বোধন করা হয়। ভেতরে রয়েছে তাঁর ম্যুরাল, একাডেমি ভবন,লাইব্রেরি, যাদুঘর, ৩১০ আসন বিশিষ্ট নান্দনিক অডিটোরিয়াম,মুক্তমঞ্চ, সুদৃশ্য লেক,লেকপাড়ে কবি, লোককবিগণের বাণী খচিত বর্ণিল চিত্র। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নেই। স্তিমিত সাংস্কৃতিক কার্যক্রম।
অযত্ন, অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে অনেক কিছু। আয়ের উৎস দর্শনার্থীদের প্রবেশমূল্য। প্রতিজনে ২০টাকা প্রবেশমূল্য নির্ধারিত আছে। দর্শনার্থীর সংখ্যাও আশানুরূপ নয়। সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এতবড় চত্বরে ৪/৫ জন দর্শনার্থী রয়েছেন। ফলে এর মাসিক ব্যয়ভার নির্বাহ কঠিন বলে জানা যায়।
সাংস্কৃতিক স্হাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নেই। নান্দনিক শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিকে সরব ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্ট চালু করা প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মত পোষণ করেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রবীন্দ্র সঙ্গীতের ভাণ্ডারী খ্যাত শৈলজারঞ্জন মজুমদার ১৯০০ সালের ১৯ জুলাই নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা রমনী কিশোর দত্ত মজুমদার, মাতা সরলা সুন্দরী। ১৯১৮ সালে নেত্রকোনার দত্ত হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। ১৯২৪ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে রসায়ন শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
পরবর্তীতে কলকাতার ল কলেজ থেকে আইন পাস করেন। কলকাতার আশুতোষ কলেজে অধ্যাপনা জীবন আরম্ভ করলেও ১৯৩২ সালে তিনি শান্তি নিকেতনে যান। বিশ্বভারতীতে রসায়ন শাস্ত্র পড়াতে শুরু করেন। এদিকে তাঁর হৃদয়ে তান তোলে সঙ্গীত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কাছে সঙ্গীতের মর্মার্থ জেনে সুর করা আরম্ভ করেন।কিছু দিনের মধ্যেই হয়ে উঠেন রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্য। তাঁকে শান্তিনিকেতনের সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়। রবীন্দ্র স্বরলিপিকার,রবীন্দ্রসংঙ্গীত আচার্য, অবিকৃত সুর উচ্চারণে রবীন্দ্রসঙ্গীত গানের প্রচার ছিল তাঁর ধ্যান ও তপস্যা। ১৯৯২ সালের ২৪ মে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সমঝদার, রবীন্দ্র রসিক শৈলজারঞ্জন মজুমদার মৃত্যুবরন করেন। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে মোহনগঞ্জ পৌরশহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে বাহাম গ্রামে তাঁর জন্মভিটায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় নান্দনিক কারুকার্যে চিত্রায়িত ৩ তলা বিশিষ্ট শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ২০২৩ সালের ১১ মার্চ এটি উদ্বোধন করা হয়। ভেতরে রয়েছে তাঁর ম্যুরাল, একাডেমি ভবন,লাইব্রেরি, যাদুঘর, ৩১০ আসন বিশিষ্ট নান্দনিক অডিটোরিয়াম,মুক্তমঞ্চ, সুদৃশ্য লেক,লেকপাড়ে কবি, লোককবিগণের বাণী খচিত বর্ণিল চিত্র। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নেই। স্তিমিত সাংস্কৃতিক কার্যক্রম।
অযত্ন, অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে অনেক কিছু। আয়ের উৎস দর্শনার্থীদের প্রবেশমূল্য। প্রতিজনে ২০টাকা প্রবেশমূল্য নির্ধারিত আছে। দর্শনার্থীর সংখ্যাও আশানুরূপ নয়। সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এতবড় চত্বরে ৪/৫ জন দর্শনার্থী রয়েছেন। ফলে এর মাসিক ব্যয়ভার নির্বাহ কঠিন বলে জানা যায়।
সাংস্কৃতিক স্হাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নেই। নান্দনিক শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিকে সরব ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্ট চালু করা প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মত পোষণ করেন।