ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আক্তার সরকারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার তিতাস থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার সরকার মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের সরকারবাড়ি এলাকার আ. মজিদ সরকারের ছেলে।
আক্তারের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, দাউদকান্দি, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন থানায় মোট ২৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪টি হত্যা, ২টি ডাকাতি, ১টি অপহরণ, ১টি চাঁদাবাজি, ৪টি বিস্ফোরক আইনে, ১টি মাদক এবং ১৪টি হত্যা চেষ্টার মামলা।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত ২৫ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় জামালপুর এলাকার মেঘনা নদীর তীরবর্তী স্থানে পৌঁছামাত্র পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে নয়ন, পিয়াস ও আক্তারের নেতৃত্বে প্রায় ৪০-৫০ জন ডাকাত সদস্য ৪-৫টি হাই-স্পিড ট্রলারযোগে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ এবং চারদিক থেকে গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের বাধার মুখে ডাকাত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা এবং নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছে নয়ন, পিয়াস ও আক্তার বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে নদীতে কয়েক দফা গোলাগুলিতে স্থানীয় কয়েকজন নিহত হন, এবং তাদের ভয়ে এলাকার শতাধিক পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর সদর কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ-এর একটি দল গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার তিতাস থানা এলাকা থেকে আক্তার সরকারকে গ্রেপ্তার করে। তিনি পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলা, গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
পরবর্তীতে আক্তারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোল্লাকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় ব্যবহৃত বিশেষ ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ৫টি পিতলের তৈরি নৌকার পাখা, ২টি চুম্বক, ১টি বাইনোকুলার, ১টি ছোরাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও, গত ২৮ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর পৃথক দুটি অভিযানে এই ঘটনার সাথে জড়িত আরও ৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আক্তার সরকারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার তিতাস থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার সরকার মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের সরকারবাড়ি এলাকার আ. মজিদ সরকারের ছেলে।
আক্তারের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, দাউদকান্দি, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন থানায় মোট ২৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪টি হত্যা, ২টি ডাকাতি, ১টি অপহরণ, ১টি চাঁদাবাজি, ৪টি বিস্ফোরক আইনে, ১টি মাদক এবং ১৪টি হত্যা চেষ্টার মামলা।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত ২৫ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় জামালপুর এলাকার মেঘনা নদীর তীরবর্তী স্থানে পৌঁছামাত্র পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে নয়ন, পিয়াস ও আক্তারের নেতৃত্বে প্রায় ৪০-৫০ জন ডাকাত সদস্য ৪-৫টি হাই-স্পিড ট্রলারযোগে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ এবং চারদিক থেকে গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের বাধার মুখে ডাকাত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা এবং নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছে নয়ন, পিয়াস ও আক্তার বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে নদীতে কয়েক দফা গোলাগুলিতে স্থানীয় কয়েকজন নিহত হন, এবং তাদের ভয়ে এলাকার শতাধিক পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর সদর কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ-এর একটি দল গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার তিতাস থানা এলাকা থেকে আক্তার সরকারকে গ্রেপ্তার করে। তিনি পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলা, গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
পরবর্তীতে আক্তারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোল্লাকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় ব্যবহৃত বিশেষ ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ৫টি পিতলের তৈরি নৌকার পাখা, ২টি চুম্বক, ১টি বাইনোকুলার, ১টি ছোরাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও, গত ২৮ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর পৃথক দুটি অভিযানে এই ঘটনার সাথে জড়িত আরও ৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।