কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন উপকূলে বাংলাদেশি জেলেদের জীবন এখন চরম ঝুঁকির মুখে। মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) অস্ত্রের মুখে জেলেদের ট্রলার থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত অন্তত ২৫০ জেলে অপহরণের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৮৯ জনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। শুধু আগস্ট ২০২৫-এর ২৬ দিনে ৮১ জেলে ও ১৩ ট্রলার অপহৃত হয়। জানা গেছে, রাখাইনের কয়েকটি এলাকা এখন এএ’র দখলে। জলসীমারেখা সঠিকভাবে চিহ্নিত না থাকায় জেলেরা অনিচ্ছায় মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করছেন।এ ছাড়া এএ জেলেদের অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে মাছ, ট্রলার ও সরঞ্জাম দখল করছে।
শাহপরী দ্বীপের জেলে রশিদ আহমেদ বলেন, আমার ছেলেকে চোখের সামনে ধরে নিয়ে গেলো। অন্তঃসত্ত্বা পারভীন বেগমের স্বামীসহ পাঁচ জনকে আটক করে পরে মিয়ানমারের ওয়েবসাইটে তাদের ছবি প্রকাশিত হয়।
অপহরণ থেকে ফিরে আসা জেলে আব্দুর রহমান জানান, আমরা ভেবেছিলাম বাংলাদেশের জলসীমায় আছি, কিন্তু তারা বললো আমরা মিয়ানমারে ঢুকে পড়েছি এবং আট দিন বেঁধে রাখলো। স্থানীয় ট্রলার মালিক ও জেলে নেতারা বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করার পাশাপাশি কূটনৈতিক উদ্যোগে অপহরণ বন্ধের দাবি তুলেছেন।
টেকনাফ কায়ুকখালী ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, আরাকান আর্মির এ নৃশংস অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা। তাদের জীবন-জীবিকা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
টেকনাফের ইউএনও এহসান উদ্দিন জানান, সম্প্রতি আরাকান আর্মি বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি জেলেদের ট্রলারসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
টেকনাফ বিজিবি-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরিস্থিতি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে যে, জেলেরা সীমান্ত অতিক্রম করেছিল কি না। জেলেদের পরিচয় নিশ্চিত করে তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণের কোনো সুযোগ নেই। সাগরে মাছ ধরার সময় নির্ধারিত পানিসীমা মেনে চলতে হবে। সীমান্ত অতিক্রম করা জেলেদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
এদিকে, সীমান্তে আরাকান আর্মির শক্তি বৃদ্ধি এবং নাফনদীর অস্পষ্ট সীমারেখা জেলেদের জন্য নিরন্তর আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের জলসীমায় থাকলেও জেলেরা অপহরণের শিকার হচ্ছেন, পরিবারগুলো দিশাহারা। নাফনদী এখন শুধু নদী নয়, জেলেদের জন্য অপহরণ ও অনিশ্চয়তার প্রতীক হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন উপকূলে বাংলাদেশি জেলেদের জীবন এখন চরম ঝুঁকির মুখে। মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) অস্ত্রের মুখে জেলেদের ট্রলার থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত অন্তত ২৫০ জেলে অপহরণের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৮৯ জনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। শুধু আগস্ট ২০২৫-এর ২৬ দিনে ৮১ জেলে ও ১৩ ট্রলার অপহৃত হয়। জানা গেছে, রাখাইনের কয়েকটি এলাকা এখন এএ’র দখলে। জলসীমারেখা সঠিকভাবে চিহ্নিত না থাকায় জেলেরা অনিচ্ছায় মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করছেন।এ ছাড়া এএ জেলেদের অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে মাছ, ট্রলার ও সরঞ্জাম দখল করছে।
শাহপরী দ্বীপের জেলে রশিদ আহমেদ বলেন, আমার ছেলেকে চোখের সামনে ধরে নিয়ে গেলো। অন্তঃসত্ত্বা পারভীন বেগমের স্বামীসহ পাঁচ জনকে আটক করে পরে মিয়ানমারের ওয়েবসাইটে তাদের ছবি প্রকাশিত হয়।
অপহরণ থেকে ফিরে আসা জেলে আব্দুর রহমান জানান, আমরা ভেবেছিলাম বাংলাদেশের জলসীমায় আছি, কিন্তু তারা বললো আমরা মিয়ানমারে ঢুকে পড়েছি এবং আট দিন বেঁধে রাখলো। স্থানীয় ট্রলার মালিক ও জেলে নেতারা বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করার পাশাপাশি কূটনৈতিক উদ্যোগে অপহরণ বন্ধের দাবি তুলেছেন।
টেকনাফ কায়ুকখালী ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, আরাকান আর্মির এ নৃশংস অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা। তাদের জীবন-জীবিকা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
টেকনাফের ইউএনও এহসান উদ্দিন জানান, সম্প্রতি আরাকান আর্মি বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি জেলেদের ট্রলারসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
টেকনাফ বিজিবি-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরিস্থিতি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে যে, জেলেরা সীমান্ত অতিক্রম করেছিল কি না। জেলেদের পরিচয় নিশ্চিত করে তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণের কোনো সুযোগ নেই। সাগরে মাছ ধরার সময় নির্ধারিত পানিসীমা মেনে চলতে হবে। সীমান্ত অতিক্রম করা জেলেদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
এদিকে, সীমান্তে আরাকান আর্মির শক্তি বৃদ্ধি এবং নাফনদীর অস্পষ্ট সীমারেখা জেলেদের জন্য নিরন্তর আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের জলসীমায় থাকলেও জেলেরা অপহরণের শিকার হচ্ছেন, পরিবারগুলো দিশাহারা। নাফনদী এখন শুধু নদী নয়, জেলেদের জন্য অপহরণ ও অনিশ্চয়তার প্রতীক হয়ে পড়েছে।