পটুয়াখালী : স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে তালগাছ রোপণ উদ্বোধন -সংবাদ
পরিবেশ সংরক্ষণসহ বজ্রাঘাত, প্রকৃতির ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় পটুয়াখালীতে তালবীজ ও গাছ রোপনের এক মহতি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৫’শটি করে তাল গাছের চারা ও বীজ রোপণের এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ‘ধূমকেতু ইয়ুথ ফাউন্ডেশন ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যুবকরা। গত শুক্রবার বিকালে পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের দুই ধারে তাল গাছের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু করায় এলাকার জনগনের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলেছে। ‘তারুণ্যের আউলিয়াপুর’ সংগঠনের কারিগরি সহায়তায় তালের বীজ রোপণে ধূমকেতু ইয়ূথ ফাউন্ডেশনের উপজেলা কমিটি, স্থানীয় যুবক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন পর্যায়ক্রমে ওই ইউনিয়নের মিলনপট্টি, পচাকোড়ালিয়া, বড় আউলিয়াপুর, ছোট আউলিয়াপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার দুই ধারে এ তালের বীজ বপনও
গাছ রোপণ করা হবে বলে জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনটির উপদেষ্টা মো. রাকিব বলেন, তাল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বজ্রাঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়-ক্ষতি নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া মাটির ক্ষয় রোধ, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় তালগাছের জুড়ি নেই। এর পাশাপাশি ঘরের খুঁটি ও হাতপাখা তৈরিতে তালগাছের ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাল পাতার পাখা আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। তাল গাছের ডালের আঁশ থেকে রকমারি দ্রব্যাদি প্রস্তুত হয়। তবে ইদানিং তাল গাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এমন উপকারী একটি গাছের বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে, আমরা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ধূমকেতু ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আহম্মেদ কাওসার ইবু বলেন, জেলার সকলকে এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই, বাসা-বাড়িতে পরিত্যক্ত তালের বীজ বাড়ির আঙিনা কিংবা আশেপাশে রোপণ করা উচিত।
অথবা সেই বীজ এ সংগঠনের সদস্যদের হাতে তুলে দিলে তারাও উপযুক্ত জায়গায় রোপন করতে পারেন। আমরা সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৫’শটি করে তালের বীজ ও গাছ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও ডেইলি স্টারের সাংবাদিক সোহরাব হোসেন বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় তাল গাছের বিকল্প নেই। ইদানিং সারা দেশে বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় এলাকায় বজ্রপাতের আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব দুর্যোগ প্রশমনে এবং এর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে তালগাছসহ বৃক্ষ রোপনের বিকল্প নেই। তাই তালগাছসহ বৃক্ষ রোপনে
পটুয়াখালী : স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে তালগাছ রোপণ উদ্বোধন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পরিবেশ সংরক্ষণসহ বজ্রাঘাত, প্রকৃতির ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় পটুয়াখালীতে তালবীজ ও গাছ রোপনের এক মহতি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৫’শটি করে তাল গাছের চারা ও বীজ রোপণের এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ‘ধূমকেতু ইয়ুথ ফাউন্ডেশন ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যুবকরা। গত শুক্রবার বিকালে পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের দুই ধারে তাল গাছের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু করায় এলাকার জনগনের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলেছে। ‘তারুণ্যের আউলিয়াপুর’ সংগঠনের কারিগরি সহায়তায় তালের বীজ রোপণে ধূমকেতু ইয়ূথ ফাউন্ডেশনের উপজেলা কমিটি, স্থানীয় যুবক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন পর্যায়ক্রমে ওই ইউনিয়নের মিলনপট্টি, পচাকোড়ালিয়া, বড় আউলিয়াপুর, ছোট আউলিয়াপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার দুই ধারে এ তালের বীজ বপনও
গাছ রোপণ করা হবে বলে জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনটির উপদেষ্টা মো. রাকিব বলেন, তাল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বজ্রাঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়-ক্ষতি নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া মাটির ক্ষয় রোধ, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় তালগাছের জুড়ি নেই। এর পাশাপাশি ঘরের খুঁটি ও হাতপাখা তৈরিতে তালগাছের ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাল পাতার পাখা আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। তাল গাছের ডালের আঁশ থেকে রকমারি দ্রব্যাদি প্রস্তুত হয়। তবে ইদানিং তাল গাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এমন উপকারী একটি গাছের বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে, আমরা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ধূমকেতু ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আহম্মেদ কাওসার ইবু বলেন, জেলার সকলকে এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই, বাসা-বাড়িতে পরিত্যক্ত তালের বীজ বাড়ির আঙিনা কিংবা আশেপাশে রোপণ করা উচিত।
অথবা সেই বীজ এ সংগঠনের সদস্যদের হাতে তুলে দিলে তারাও উপযুক্ত জায়গায় রোপন করতে পারেন। আমরা সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৫’শটি করে তালের বীজ ও গাছ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও ডেইলি স্টারের সাংবাদিক সোহরাব হোসেন বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় তাল গাছের বিকল্প নেই। ইদানিং সারা দেশে বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় এলাকায় বজ্রপাতের আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব দুর্যোগ প্রশমনে এবং এর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে তালগাছসহ বৃক্ষ রোপনের বিকল্প নেই। তাই তালগাছসহ বৃক্ষ রোপনে