ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার,(০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ সুমনের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ ও ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান। আর সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর সুলতানা পারভীনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন কুড়িগ্রামের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মোসাম্মৎ ইসমত আরা। বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মাদক রাখার অভিযোগে এক বছরের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা ওই অভিযান পরিচালনা করেন। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন এবং সহকারী কমিশনার এস এম রাহাতুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কুড়িগ্রামের ওই সময়কার ডিসি সুলতানা পারভীনের নির্দেশেই আরিফুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয় বলে অভিযোগ করে আরিফের পরিবার।
বিসিএস ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা সুলতানা কুড়িগ্রাম শহরের একটি সরকারি পুকুর সংস্কারের পর নিজের নামানুসারে ওই পুকুরের নাম ‘সুলতানা সরোবর’ রাখতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে বাংলা ট্রিবিউনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আরিফুল। ওই সংবাদ প্রকাশের ১০ মাস পর জেলা প্রশাসন আরিফুলের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে সাজা দেয়।
এ ঘটনায় সমালোচনার পর আরিফকে জামিনে মুক্তি দেয় কুড়িগ্রামের আদালত। পরে তিনি হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পর তাকে ‘বিবস্ত্র করে অমানুষিক নির্যাতন’ করা হয়। চোখ বেঁধে তার কাছ থেকে সইও নেয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ডিসি সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম থেকে অপসারণ করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এরপর ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ডিসি সুলতানা পারভীন, সাবেক তিনজন সহকারী কমিশনারসহ ৩৫-৪০ জনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ করেন সাংবাদিক আরিফুল। হাইকোর্ট ওই অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে দেয়া সাজা স্থগিত করে। এরপর ওই বছরের ২৬ মার্চ সুলতানা পারভীনসহ তার কার্যালয়ের সাবেক তিনজন সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। তদন্ত শেষে পরের বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, সুলতানা পারভীনের বেতন বৃদ্ধি দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার,(০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ সুমনের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ ও ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান। আর সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর সুলতানা পারভীনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন কুড়িগ্রামের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মোসাম্মৎ ইসমত আরা। বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মাদক রাখার অভিযোগে এক বছরের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা ওই অভিযান পরিচালনা করেন। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন এবং সহকারী কমিশনার এস এম রাহাতুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কুড়িগ্রামের ওই সময়কার ডিসি সুলতানা পারভীনের নির্দেশেই আরিফুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয় বলে অভিযোগ করে আরিফের পরিবার।
বিসিএস ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা সুলতানা কুড়িগ্রাম শহরের একটি সরকারি পুকুর সংস্কারের পর নিজের নামানুসারে ওই পুকুরের নাম ‘সুলতানা সরোবর’ রাখতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে বাংলা ট্রিবিউনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আরিফুল। ওই সংবাদ প্রকাশের ১০ মাস পর জেলা প্রশাসন আরিফুলের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে সাজা দেয়।
এ ঘটনায় সমালোচনার পর আরিফকে জামিনে মুক্তি দেয় কুড়িগ্রামের আদালত। পরে তিনি হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পর তাকে ‘বিবস্ত্র করে অমানুষিক নির্যাতন’ করা হয়। চোখ বেঁধে তার কাছ থেকে সইও নেয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ডিসি সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম থেকে অপসারণ করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এরপর ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ডিসি সুলতানা পারভীন, সাবেক তিনজন সহকারী কমিশনারসহ ৩৫-৪০ জনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ করেন সাংবাদিক আরিফুল। হাইকোর্ট ওই অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে দেয়া সাজা স্থগিত করে। এরপর ওই বছরের ২৬ মার্চ সুলতানা পারভীনসহ তার কার্যালয়ের সাবেক তিনজন সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। তদন্ত শেষে পরের বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, সুলতানা পারভীনের বেতন বৃদ্ধি দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।