নওগাঁর রাণীনগরে ‘মার্সেলো’ জাতের কালো রঙের তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন কৃষক নিরাঞ্জন চন্দ্র। উপজেলার কাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের এ চাষী তার বাড়ির পাশে ৩০ শতক জমিতে মাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন ‘মার্সেলো’ জাতের তরমুজ। পরীক্ষামূলক এই তরমুজ চাষ করেই ভাল ফলন পেয়েছেন তিনি।
তরমুজ চাষে তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছে বর্ষাকালীন এই তরমুজ চাষে। তরমুজ চাষী নিরঞ্জন চন্দ্র জানান, কয়েক বছর আগে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করতাম। চাকরি করে আর্থিক স্বচ্ছলতা না পেয়ে চাকরি ছেড়ে দিই। গ্রামের বাড়িতে এসে শুরু করি কৃষি কাজ। বাড়ির সামনে পৈত্রিক জমিতে চাষ শুরু করি বিভিন্ন জাতের সবজি। তবে ব্যাতিক্রমী সবজি চাষ বরাবরই নিরঞ্জনের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তবে চাকুরি ছেড়ে কৃষিতে সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে নিরঞ্জনকে।
তিনি একদিন ইউটিউবে অসময়ে তরমুজ চাষের ভিডিও দেখে তার মনে আগ্রহ জাগে। এরপর শুরু করেন তরমুজ চাষ। মৌসুমকালীন তরমুজের তুলনায় এ জাতের তরমুজে রোগবালাই কম এবং অল্প সময়ে বেশ ভাল ফলন পাওয়ার পাশাপাশি বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে। মাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ সহজ।
কোনো প্রকার রাসায়নিক সার বা বালাইনাশক দিতে হয় না। তরমুজের পাশাপাশি তিনি একই মাচায় উচ্চ ফলনশীল শসাও চাষ করছেন।
বর্তমান বাজারে প্রতিটি তরমুজের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাকিমা খাতুন বলেন, মার্সেলো জাতের এই তরমুজ ভাইরাস সহনশীল। মাত্র ৬০-৬৫ দিনের মধ্যেই ফসল তোলা যায়। লম্বাটে ডিম্বাকৃতির এই তরমুজের ভিতরের মাংসল অংশ আকর্ষণীয় গাঢ় লাল রঙের এবং খেতে খুবই সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হয়।
বর্ষাকালে প্রতিটি তরমুজের গড় ওজন হয় ৩ থেকে ৫ কেজি। তবে শীতকালে মাটিতে চাষ করলে ফলন আরও বাড়ে। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন ও গুণগতমান দুটোই উন্নত হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ১৫শ থেকে ২ হাজারটি তরমুজ পাওয়া সম্ভব।
আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়ায় এই তরমুজ চাষ করা হয়েছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সহায়তায় বর্ষাকালীন এই তরমুজ এখন স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার উৎস হয়ে উঠেছে।
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নওগাঁর রাণীনগরে ‘মার্সেলো’ জাতের কালো রঙের তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন কৃষক নিরাঞ্জন চন্দ্র। উপজেলার কাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের এ চাষী তার বাড়ির পাশে ৩০ শতক জমিতে মাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন ‘মার্সেলো’ জাতের তরমুজ। পরীক্ষামূলক এই তরমুজ চাষ করেই ভাল ফলন পেয়েছেন তিনি।
তরমুজ চাষে তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছে বর্ষাকালীন এই তরমুজ চাষে। তরমুজ চাষী নিরঞ্জন চন্দ্র জানান, কয়েক বছর আগে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করতাম। চাকরি করে আর্থিক স্বচ্ছলতা না পেয়ে চাকরি ছেড়ে দিই। গ্রামের বাড়িতে এসে শুরু করি কৃষি কাজ। বাড়ির সামনে পৈত্রিক জমিতে চাষ শুরু করি বিভিন্ন জাতের সবজি। তবে ব্যাতিক্রমী সবজি চাষ বরাবরই নিরঞ্জনের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তবে চাকুরি ছেড়ে কৃষিতে সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে নিরঞ্জনকে।
তিনি একদিন ইউটিউবে অসময়ে তরমুজ চাষের ভিডিও দেখে তার মনে আগ্রহ জাগে। এরপর শুরু করেন তরমুজ চাষ। মৌসুমকালীন তরমুজের তুলনায় এ জাতের তরমুজে রোগবালাই কম এবং অল্প সময়ে বেশ ভাল ফলন পাওয়ার পাশাপাশি বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে। মাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ সহজ।
কোনো প্রকার রাসায়নিক সার বা বালাইনাশক দিতে হয় না। তরমুজের পাশাপাশি তিনি একই মাচায় উচ্চ ফলনশীল শসাও চাষ করছেন।
বর্তমান বাজারে প্রতিটি তরমুজের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাকিমা খাতুন বলেন, মার্সেলো জাতের এই তরমুজ ভাইরাস সহনশীল। মাত্র ৬০-৬৫ দিনের মধ্যেই ফসল তোলা যায়। লম্বাটে ডিম্বাকৃতির এই তরমুজের ভিতরের মাংসল অংশ আকর্ষণীয় গাঢ় লাল রঙের এবং খেতে খুবই সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হয়।
বর্ষাকালে প্রতিটি তরমুজের গড় ওজন হয় ৩ থেকে ৫ কেজি। তবে শীতকালে মাটিতে চাষ করলে ফলন আরও বাড়ে। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন ও গুণগতমান দুটোই উন্নত হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ১৫শ থেকে ২ হাজারটি তরমুজ পাওয়া সম্ভব।
আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়ায় এই তরমুজ চাষ করা হয়েছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সহায়তায় বর্ষাকালীন এই তরমুজ এখন স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার উৎস হয়ে উঠেছে।