ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শেখ হাসিনা সরকারের সময় ২৩টি জেলায় নতুন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সেজন্য ২০১৮ সালে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ওই সময়কার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। কিন্তু ‘ড্রয়িং-ডিজাইন’ প্রণয়নে বিলম্ব হলে সেটি আটকে যায়। এবার ব্যয় বাড়িয়ে সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, প্রতিটি ইনস্টিটিউটের জন্য দুই কোটি টাকার বেশি ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্পের ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপাইল) সংশোধনের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখন একটি পক্ষ তাড়াতাড়ি সেটি অনুমোদন করাতে নিয়মিত তদবির করছেন। অন্য একটি পক্ষ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রকল্প হওয়ায় সেটি ঠেকাতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ একর করে ভূমি উন্নয়ন ও জমি অধিগ্রহণ করার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের নামে একটি করে এবং দাপ্তরিক কাজের জন্য ২টি মোট ২৫টি মাইক্রোবাস কেনার কথাও রয়েছে।
‘২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’ প্রকল্পটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- দেশের ২৩টি জেলায় নতুন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা ও বেকারত্ব কমানো।
এ প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন ইইডির প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য জমি বুঝে না পাওয়ার কারণে প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে বলে তার দাবি।
প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতির বিষয়ে রফিকুল ইসলাম সংবাদকে বলেছেন, ‘কাজ শুরু হয়েছে রিভিশনের জন্য আটকে আছে। মোট ১৬টির জমি পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৯টি জায়গায় কাজ শুরু করার অনুমোদন আমরা পেয়েছি প্লানিং কমিশন থেকে। এখনও ৭টির জমি প্রক্রিয়াধীন আছে...পাওয়া যাবে হয়তো।’
প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেরি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কারণে বিলম্ব হয়নি। প্রকল্পটি ওনাদের (কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের); তারা জমি বুঝিয়ে দিতে পারেনি। আমরা ১৬টির জমি বুঝে পেয়েছি। তারমধ্যে কাজ ছিল ২০১৮ সালের রেইটের; এখন নতুন রেইটে হবে....২০২২ সালের রেইটে।’ এতে প্রকল্প ব্যয় সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বাড়বে বলেও রফিকুল ইসলামের দাবি।
যদিও ইইডির দু’জন ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকে বলেন, ২০১৮ সালের পর ২০২২ সালে অবকাঠামো নির্মাণে যে রেইট (বাজার দর) নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে ৩৫ শতাংশ থেকে ক্ষেত্রবিশেষ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় বেড়েছে।
এ প্রকল্পের অধীনে ২৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জন্য ৬ তলা বিশিষ্ট অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, ৬ তলাবিশিষ্ট ওয়ার্কশপ, ১টি সেমিপাকা ওয়ার্কশপ নির্মাণ এবং ছাত্রদের জন্য ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি ৬ তলা হোস্টেল ও ছাত্রীদের জন্য ২০০ শয্যাবিশিষ্ট ৬ তলা হোস্টেল নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া অধ্যক্ষের জন্য ২ তলাবিশিষ্ট একটি ভবন, ৬ তলা শিক্ষক ডরমেটরি ও স্টাফ কোয়ার্টার স্থাপন, ২ তলা মাল্টিপারপাস বিল্ডিং, ৩ তলা ডিমনেসিয়াম, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক সেন্টার, ৩ তলা করে একটি অডিটরিয়াম, সেমিনার ও এক্সিভিশন হল নির্মাণের কথা রয়েছে।
এর বাইরে ইনস্টিটিউটের জন্য গ্রিন বাউন্ডারি ওয়াল, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, গার্ড রুম, অনাভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক কাজ সমাধানে ৫০০ কেভিএ সাব-স্টেশন, গভীর নলকূপ ও পানির পাইপ লাইন স্থাপন, আন্ডার গ্রাউন্ড রিজার্ভ, ওভারহেড ওয়াটার ট্যাঙ্ক, অভ্যন্তরীণ ভূগর্ভস্থ ড্রেন, শহীদ মিনার, পুকুর খনন ও বৃক্ষ রোপণ, গ্রাস লাইন সংযোগ স্থাপনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ‘২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব সামসুর রহমান খান সংবাদকে বলেছেন, ‘প্রজেক্টটি যখন নেয়া হয়, তখন বাজার দর ছিল ২০১৮-এর। আর এটির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে ২০২০ সালের শেষের দিকে। এখন এটি ২০২২ সালের রেইট অনুযায়ী দরপত্র
আহ্বান করা হবে।’
এতে কী পরিমাণ খরচ বাড়ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খরচ সেভাবে বাড়ছে না। আরও ৪০-৫০ কোটি টাকা কমছে। কারণ অপ্রয়োজনীয় কিছু ভবন-অবকাঠামো, যেগুলো পরে করলেও হবে সেগুলো ডিপিপি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।’
শুরুর দিকে প্রকল্পের আওতায় নতুন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভৌত অবকঠামো উন্নয়নে দুই হাজার ৩৪২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং প্রকল্প কার্যালয়ের জনবল নিয়োগসহ বিভিন্ন ভাতাদি ও জমি অধিগ্রহণ বাবদ এক হাজার ২২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়।
বর্তমানে সারাদেশে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বিভাগে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ (গ্রাফিক আর্টস, সার্ভে, গ্যাস অ্যান্ড সিরামিকস এবং কম্পিউটার) মোট ৮টি বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট রয়েছে।
বিধ্যমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বাইরেও দেশের ২৩টি জেলায় কোনো সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নেই। সেসব জেলায় একটি করে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।
২৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চার বছরমেয়াদি মোট ২৯টি ট্রেড বিষয় চালু করা হবে। প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রতি বছর ৯ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। প্রতি শিফটে টেকনোলজিতে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে।
যে ২৩টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে এগুলোর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫টি, চট্টগ্রামে ৩টি, রাজশাহীতে ২টি, খুলনায় ৪টি, বরিশালে ২টি, সিলেটে ১টি, রংপুরে ৪টি এবং ময়মনসিংহে ২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর হচ্ছে- গাজীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মানিকগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মাদারীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নারায়ণগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রাজবাড়ী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নেত্রেকোনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, জামালপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বান্দরবান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নোয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নাটোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, জয়পুরহাট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বাগেরহাট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, চুয়াডাঙ্গা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মেহেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নড়াইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পিরোজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঝালকাঠি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সুনামগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, গাইবান্ধা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, লালমনিরহাট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নীলফামারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পঞ্চগড় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শেখ হাসিনা সরকারের সময় ২৩টি জেলায় নতুন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সেজন্য ২০১৮ সালে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ওই সময়কার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। কিন্তু ‘ড্রয়িং-ডিজাইন’ প্রণয়নে বিলম্ব হলে সেটি আটকে যায়। এবার ব্যয় বাড়িয়ে সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, প্রতিটি ইনস্টিটিউটের জন্য দুই কোটি টাকার বেশি ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্পের ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপাইল) সংশোধনের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখন একটি পক্ষ তাড়াতাড়ি সেটি অনুমোদন করাতে নিয়মিত তদবির করছেন। অন্য একটি পক্ষ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রকল্প হওয়ায় সেটি ঠেকাতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ একর করে ভূমি উন্নয়ন ও জমি অধিগ্রহণ করার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের নামে একটি করে এবং দাপ্তরিক কাজের জন্য ২টি মোট ২৫টি মাইক্রোবাস কেনার কথাও রয়েছে।
‘২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’ প্রকল্পটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- দেশের ২৩টি জেলায় নতুন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা ও বেকারত্ব কমানো।
এ প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন ইইডির প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য জমি বুঝে না পাওয়ার কারণে প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে বলে তার দাবি।
প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতির বিষয়ে রফিকুল ইসলাম সংবাদকে বলেছেন, ‘কাজ শুরু হয়েছে রিভিশনের জন্য আটকে আছে। মোট ১৬টির জমি পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৯টি জায়গায় কাজ শুরু করার অনুমোদন আমরা পেয়েছি প্লানিং কমিশন থেকে। এখনও ৭টির জমি প্রক্রিয়াধীন আছে...পাওয়া যাবে হয়তো।’
প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেরি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কারণে বিলম্ব হয়নি। প্রকল্পটি ওনাদের (কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের); তারা জমি বুঝিয়ে দিতে পারেনি। আমরা ১৬টির জমি বুঝে পেয়েছি। তারমধ্যে কাজ ছিল ২০১৮ সালের রেইটের; এখন নতুন রেইটে হবে....২০২২ সালের রেইটে।’ এতে প্রকল্প ব্যয় সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বাড়বে বলেও রফিকুল ইসলামের দাবি।
যদিও ইইডির দু’জন ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকে বলেন, ২০১৮ সালের পর ২০২২ সালে অবকাঠামো নির্মাণে যে রেইট (বাজার দর) নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে ৩৫ শতাংশ থেকে ক্ষেত্রবিশেষ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় বেড়েছে।
এ প্রকল্পের অধীনে ২৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জন্য ৬ তলা বিশিষ্ট অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, ৬ তলাবিশিষ্ট ওয়ার্কশপ, ১টি সেমিপাকা ওয়ার্কশপ নির্মাণ এবং ছাত্রদের জন্য ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি ৬ তলা হোস্টেল ও ছাত্রীদের জন্য ২০০ শয্যাবিশিষ্ট ৬ তলা হোস্টেল নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া অধ্যক্ষের জন্য ২ তলাবিশিষ্ট একটি ভবন, ৬ তলা শিক্ষক ডরমেটরি ও স্টাফ কোয়ার্টার স্থাপন, ২ তলা মাল্টিপারপাস বিল্ডিং, ৩ তলা ডিমনেসিয়াম, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক সেন্টার, ৩ তলা করে একটি অডিটরিয়াম, সেমিনার ও এক্সিভিশন হল নির্মাণের কথা রয়েছে।
এর বাইরে ইনস্টিটিউটের জন্য গ্রিন বাউন্ডারি ওয়াল, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, গার্ড রুম, অনাভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক কাজ সমাধানে ৫০০ কেভিএ সাব-স্টেশন, গভীর নলকূপ ও পানির পাইপ লাইন স্থাপন, আন্ডার গ্রাউন্ড রিজার্ভ, ওভারহেড ওয়াটার ট্যাঙ্ক, অভ্যন্তরীণ ভূগর্ভস্থ ড্রেন, শহীদ মিনার, পুকুর খনন ও বৃক্ষ রোপণ, গ্রাস লাইন সংযোগ স্থাপনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ‘২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব সামসুর রহমান খান সংবাদকে বলেছেন, ‘প্রজেক্টটি যখন নেয়া হয়, তখন বাজার দর ছিল ২০১৮-এর। আর এটির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে ২০২০ সালের শেষের দিকে। এখন এটি ২০২২ সালের রেইট অনুযায়ী দরপত্র
আহ্বান করা হবে।’
এতে কী পরিমাণ খরচ বাড়ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খরচ সেভাবে বাড়ছে না। আরও ৪০-৫০ কোটি টাকা কমছে। কারণ অপ্রয়োজনীয় কিছু ভবন-অবকাঠামো, যেগুলো পরে করলেও হবে সেগুলো ডিপিপি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।’
শুরুর দিকে প্রকল্পের আওতায় নতুন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভৌত অবকঠামো উন্নয়নে দুই হাজার ৩৪২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং প্রকল্প কার্যালয়ের জনবল নিয়োগসহ বিভিন্ন ভাতাদি ও জমি অধিগ্রহণ বাবদ এক হাজার ২২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়।
বর্তমানে সারাদেশে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বিভাগে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ (গ্রাফিক আর্টস, সার্ভে, গ্যাস অ্যান্ড সিরামিকস এবং কম্পিউটার) মোট ৮টি বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট রয়েছে।
বিধ্যমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বাইরেও দেশের ২৩টি জেলায় কোনো সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নেই। সেসব জেলায় একটি করে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।
২৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চার বছরমেয়াদি মোট ২৯টি ট্রেড বিষয় চালু করা হবে। প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রতি বছর ৯ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। প্রতি শিফটে টেকনোলজিতে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে।
যে ২৩টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে এগুলোর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫টি, চট্টগ্রামে ৩টি, রাজশাহীতে ২টি, খুলনায় ৪টি, বরিশালে ২টি, সিলেটে ১টি, রংপুরে ৪টি এবং ময়মনসিংহে ২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর হচ্ছে- গাজীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মানিকগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মাদারীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নারায়ণগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রাজবাড়ী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নেত্রেকোনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, জামালপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বান্দরবান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নোয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নাটোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, জয়পুরহাট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বাগেরহাট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, চুয়াডাঙ্গা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মেহেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নড়াইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পিরোজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঝালকাঠি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সুনামগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, গাইবান্ধা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, লালমনিরহাট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নীলফামারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পঞ্চগড় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।