রাজধানীর মিরপুরে ডিওএইচএস ও স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে দখলে থাকা প্রায় ৩ একর জমি উদ্ধার করেছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
গত চার বছর ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র এই জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করে রেখেছিল এবং সেখানে বহুতল ভবন, হাউজিং প্রকল্প ও বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল তাদের। সম্প্রতি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমিটি দখলমুক্ত করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধারকৃত জমির বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি বলে জানায় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে মিরপুর এলাকা থেকেই আরও প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছিল।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেগুনবাগিচাস্থ প্রধান কার্যালয় এবং মিরপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনের বাউনিয়া মৌজায় সরকারের পক্ষে তৎকালীন গৃহ সংস্থান অধিদপ্তর (বর্তমানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ) মোট ১৬৮ একর জমি অধিগ্রহণ করে।
এই জমির গেজেট প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালের ২৯ জানুয়ারি, ১৯৭৪ সালের ৩১ অক্টোবর এবং ১৯৯০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর।
এর ধারাবাহিকতায় বাউনিয়া মৌজার ৩১২৪ নম্বর দাগভুক্ত ১৪.৫৮ একর জমি তিন ধাপে অধিগ্রহণ করে গেজেটভুক্ত করা হয়। এই দাগের মধ্যে অধিগ্রহণের বাইরে কোনো জমি নেই।
১৯৯০ সালের ২৩ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অধিগ্রহণকৃত জমির নকশা চিহ্নিত করে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে আধুনিক ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয় এবং ২০১৫ সালের ১০ মার্চ দুই ধাপে সীমানা পিলার স্থাপন করে জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
তবে গত চার বছর ধরে ওই জমি দখল করে সেখানে বহুতল হাউজিং প্রকল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। এই ৩ একর জমি পুনরুদ্ধারে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি উচ্চপর্যায়ের উচ্ছেদ কমিটি গঠন করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে জায়গাটি বাউন্ডারি করে রাষ্ট্রের অনুকূলে পুনরুদ্ধার করা হয়।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) এস. এম. সোহরাব হোসেন, পরিচালক আজীয় হায়দার ভূঁইয়া, উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর. এম. সেলিম শাহনেওয়াজ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারিজুর রহমান, সচিব মনদীপ ঘরাই, আইন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এবং ঢাকা ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু হোরায়রাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বুধবার,(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, অবৈধ দখলদাররা বিগত চার বছর ধরে ওই জমি দখলে রেখে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেছিল। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে তারা ভবনের নকশাও অনুমোদন করিয়ে নেয়।
ইতোমধ্যে ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দের নামে বুকিং নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানীর মিরপুরে ডিওএইচএস ও স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে দখলে থাকা প্রায় ৩ একর জমি উদ্ধার করেছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
গত চার বছর ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র এই জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করে রেখেছিল এবং সেখানে বহুতল ভবন, হাউজিং প্রকল্প ও বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল তাদের। সম্প্রতি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমিটি দখলমুক্ত করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধারকৃত জমির বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি বলে জানায় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে মিরপুর এলাকা থেকেই আরও প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছিল।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেগুনবাগিচাস্থ প্রধান কার্যালয় এবং মিরপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনের বাউনিয়া মৌজায় সরকারের পক্ষে তৎকালীন গৃহ সংস্থান অধিদপ্তর (বর্তমানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ) মোট ১৬৮ একর জমি অধিগ্রহণ করে।
এই জমির গেজেট প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালের ২৯ জানুয়ারি, ১৯৭৪ সালের ৩১ অক্টোবর এবং ১৯৯০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর।
এর ধারাবাহিকতায় বাউনিয়া মৌজার ৩১২৪ নম্বর দাগভুক্ত ১৪.৫৮ একর জমি তিন ধাপে অধিগ্রহণ করে গেজেটভুক্ত করা হয়। এই দাগের মধ্যে অধিগ্রহণের বাইরে কোনো জমি নেই।
১৯৯০ সালের ২৩ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অধিগ্রহণকৃত জমির নকশা চিহ্নিত করে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে আধুনিক ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয় এবং ২০১৫ সালের ১০ মার্চ দুই ধাপে সীমানা পিলার স্থাপন করে জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
তবে গত চার বছর ধরে ওই জমি দখল করে সেখানে বহুতল হাউজিং প্রকল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। এই ৩ একর জমি পুনরুদ্ধারে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি উচ্চপর্যায়ের উচ্ছেদ কমিটি গঠন করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে জায়গাটি বাউন্ডারি করে রাষ্ট্রের অনুকূলে পুনরুদ্ধার করা হয়।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) এস. এম. সোহরাব হোসেন, পরিচালক আজীয় হায়দার ভূঁইয়া, উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর. এম. সেলিম শাহনেওয়াজ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারিজুর রহমান, সচিব মনদীপ ঘরাই, আইন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এবং ঢাকা ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু হোরায়রাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বুধবার,(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, অবৈধ দখলদাররা বিগত চার বছর ধরে ওই জমি দখলে রেখে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেছিল। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে তারা ভবনের নকশাও অনুমোদন করিয়ে নেয়।
ইতোমধ্যে ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দের নামে বুকিং নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।