সারাদেশে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ১৮শ’র বেশি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বুধবার,(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত সারাদেশে ৩৬ হাজার ৯৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৩৯ জন।
বিভাগভিত্তিক আক্রান্ত: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১২ জন, ঢাকা বিভাগে ১১৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৮৭ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৩০ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৭ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন।
বয়সভেদে: ৫ বছর বয়সের শিশু ২৭টি, ৬-১০ বছর বয়সের ২৯টি, ১১-১৫ বছর বয়সের ৪২ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৬৯ জন, ৮০ বছর বয়সের ৪ জন, ৭১-৭৫ বছর বয়সের ৪ জন।
মৃত্যুর শীর্ষে রাজধানী: ডেঙ্গুতে নিহতদের মধ্যে ৭১ জন ঢাকা দক্ষিণে ও ১২ জন ঢাকা উত্তরে।
হাসপাতালের তথ্য: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৫ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১০ জন, সোহ্রাওয়ার্দীতে ৪২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৯ জন, কুর্মিটোলায় ৫২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৭৯ জন। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৪৭৭ জন ভর্তি আছে।
সারাদেশে হাসপাতালে এখনও মোট ভর্তি আছে ১৮২১ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডা. জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানালেও যারা হাসপাতালের বাইরে বাসা-বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের তথ্য জানা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তো বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক মানুষ ডেঙ্গু ঝুঁকিতে আছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মশা প্রজননের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। মশার ঘনত্ব ও প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বেশি বাংলাদেশে।
ঢাকায় প্রায় ১৪-১৬ প্রজাতির মশা রয়েছে। মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও জাপানিজ অ্যানসেফালাইটিস প্রজাতির মশাও আছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাশার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, মশা নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা, জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের। সেখানে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানোর জন্য পদ থাকলেও অজানা কারণে সে পদগুলো ফাঁকাই থাকে।
বর্তমানে ডেঙ্গু মৌসুম। তাই মশাবাহিত রোগ থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো, জনদুর্ভোগ ও আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে টেকসই পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন দরকার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কীটতত্ত্ব¡বিদ, গবেষক এবং অন্যান্য অংশীজনের সম্মিলিত চেষ্টায় মশাবাহিত রোগ থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব বলে এই বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন।
সারাদেশে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ১৮শ’র বেশি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বুধবার,(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত সারাদেশে ৩৬ হাজার ৯৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৩৯ জন।
বিভাগভিত্তিক আক্রান্ত: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১২ জন, ঢাকা বিভাগে ১১৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৮৭ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৩০ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৭ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন।
বয়সভেদে: ৫ বছর বয়সের শিশু ২৭টি, ৬-১০ বছর বয়সের ২৯টি, ১১-১৫ বছর বয়সের ৪২ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৬৯ জন, ৮০ বছর বয়সের ৪ জন, ৭১-৭৫ বছর বয়সের ৪ জন।
মৃত্যুর শীর্ষে রাজধানী: ডেঙ্গুতে নিহতদের মধ্যে ৭১ জন ঢাকা দক্ষিণে ও ১২ জন ঢাকা উত্তরে।
হাসপাতালের তথ্য: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৫ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১০ জন, সোহ্রাওয়ার্দীতে ৪২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৯ জন, কুর্মিটোলায় ৫২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৭৯ জন। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৪৭৭ জন ভর্তি আছে।
সারাদেশে হাসপাতালে এখনও মোট ভর্তি আছে ১৮২১ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডা. জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানালেও যারা হাসপাতালের বাইরে বাসা-বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের তথ্য জানা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তো বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক মানুষ ডেঙ্গু ঝুঁকিতে আছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মশা প্রজননের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। মশার ঘনত্ব ও প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বেশি বাংলাদেশে।
ঢাকায় প্রায় ১৪-১৬ প্রজাতির মশা রয়েছে। মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও জাপানিজ অ্যানসেফালাইটিস প্রজাতির মশাও আছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাশার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, মশা নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা, জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের। সেখানে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানোর জন্য পদ থাকলেও অজানা কারণে সে পদগুলো ফাঁকাই থাকে।
বর্তমানে ডেঙ্গু মৌসুম। তাই মশাবাহিত রোগ থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো, জনদুর্ভোগ ও আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে টেকসই পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন দরকার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কীটতত্ত্ব¡বিদ, গবেষক এবং অন্যান্য অংশীজনের সম্মিলিত চেষ্টায় মশাবাহিত রোগ থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব বলে এই বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন।