রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে ২২ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের বিলুপ্ত প্রজাতির একটি বড় ঢাই মাছ। গত বৃহস্পতিবার সকালে জেলে জীবন হালদার দৌলতদিয়া মাছ বাজারের আনু খাঁর আড়তে মাছটি নিয়ে এলে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হয়। বিশাল এই মাছটি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার টাকায়। জানা গেছে, জীবন হালদারের ছেলে সকালে মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া মাছ বাজারে আনু খাঁর আড়তে নিয়ে আসেন। পরে উন্মুক্ত নিলামে মাছটি ৪ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে মোট ১ লাখ ৩ হাজার ৯৬০ টাকা দিয়ে কিনে নেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাজাহান শেখ।
শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের মালিক সম্রাট শাজাহান শেখ জানান, ঢাই মাছটি প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। মাছটি বিক্রির জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। মাছটি খেতে খুবই সুস্বাদু, তাই এই মাছের চাহিদা রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, পদ্মার এ ধরনের বড় আকারের ঢাই মাছ খুবই বিরল। সাধারণত এত বড় ঢাই মাছ খুবই কম দেখা যায়। পলাশের জজ মিয়া নিজেই করে দিলেন অবহেলিত গ্রামের রাস্তাটি। পলাশ উপজেলার জিনারদি ইউনিয়ন ও নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাদ বরাব গ্রামে অবশেষে উন্নয়নের চিহ্ন ফুটেছে। এই অঞ্চলটির প্রায় ১৫০ পরিবারের ১২শ মানুষের জন্য দীর্ঘকাল ধরে কোনো সহজ যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল না। এর ফলে দেড় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে তাদেরকে প্রতি দিন প্রায় ৮ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো। এ পরিস্থিতিতে ঐ গ্রামের প্রবাসী জজ মিয়ার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও অর্থায়নে গ্রামের রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ ও ৬ ফুট প্রস্থের এই রাস্তার নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্থানীয় মানুষের চাহিদা পূরণ হওয়ায় গ্রামে এখন আনন্দ ও উৎসাহের জোয়ার বইছে। প্রবাসী জজ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন অবহেলিত এই গ্রামের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লুকিয়ে রাখতে পারিনি, তাই নিজ উদ্যোগে রাস্তাটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। আমাকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে, এমনকি জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু যখন দেখি এলাকার মানুষের মুখে হাসি, তখন মনে হয় আমার শ্রম সার্থক হয়েছে। এই রাস্তাটি ফলে এখন থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে, অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো সম্ভব হবে এবং বাজারের পণ্যমালা পরিবহনও সহজ হবে। অতিরিক্তভাবে আট কিলোমিটার ঘুরপথের পরিবর্তে মাত্র ১০ মিনিটে জয়নগর হয়ে পাঁচদোনা মেইন রোডে পৌঁছানো যাবে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, আজকের রাস্তাটির কাজ শুরু হলো, যা আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এই অবহেলিত গ্রামটির জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কিন্তু প্রবাসী জজ মিয়া নিজ উদ্যেগে রাস্তা নির্মাণ শুরু করার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে ২২ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের বিলুপ্ত প্রজাতির একটি বড় ঢাই মাছ। গত বৃহস্পতিবার সকালে জেলে জীবন হালদার দৌলতদিয়া মাছ বাজারের আনু খাঁর আড়তে মাছটি নিয়ে এলে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হয়। বিশাল এই মাছটি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার টাকায়। জানা গেছে, জীবন হালদারের ছেলে সকালে মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া মাছ বাজারে আনু খাঁর আড়তে নিয়ে আসেন। পরে উন্মুক্ত নিলামে মাছটি ৪ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে মোট ১ লাখ ৩ হাজার ৯৬০ টাকা দিয়ে কিনে নেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাজাহান শেখ।
শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের মালিক সম্রাট শাজাহান শেখ জানান, ঢাই মাছটি প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। মাছটি বিক্রির জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। মাছটি খেতে খুবই সুস্বাদু, তাই এই মাছের চাহিদা রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, পদ্মার এ ধরনের বড় আকারের ঢাই মাছ খুবই বিরল। সাধারণত এত বড় ঢাই মাছ খুবই কম দেখা যায়। পলাশের জজ মিয়া নিজেই করে দিলেন অবহেলিত গ্রামের রাস্তাটি। পলাশ উপজেলার জিনারদি ইউনিয়ন ও নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাদ বরাব গ্রামে অবশেষে উন্নয়নের চিহ্ন ফুটেছে। এই অঞ্চলটির প্রায় ১৫০ পরিবারের ১২শ মানুষের জন্য দীর্ঘকাল ধরে কোনো সহজ যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল না। এর ফলে দেড় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে তাদেরকে প্রতি দিন প্রায় ৮ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো। এ পরিস্থিতিতে ঐ গ্রামের প্রবাসী জজ মিয়ার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও অর্থায়নে গ্রামের রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ ও ৬ ফুট প্রস্থের এই রাস্তার নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্থানীয় মানুষের চাহিদা পূরণ হওয়ায় গ্রামে এখন আনন্দ ও উৎসাহের জোয়ার বইছে। প্রবাসী জজ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন অবহেলিত এই গ্রামের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লুকিয়ে রাখতে পারিনি, তাই নিজ উদ্যোগে রাস্তাটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। আমাকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে, এমনকি জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু যখন দেখি এলাকার মানুষের মুখে হাসি, তখন মনে হয় আমার শ্রম সার্থক হয়েছে। এই রাস্তাটি ফলে এখন থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে, অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো সম্ভব হবে এবং বাজারের পণ্যমালা পরিবহনও সহজ হবে। অতিরিক্তভাবে আট কিলোমিটার ঘুরপথের পরিবর্তে মাত্র ১০ মিনিটে জয়নগর হয়ে পাঁচদোনা মেইন রোডে পৌঁছানো যাবে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, আজকের রাস্তাটির কাজ শুরু হলো, যা আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এই অবহেলিত গ্রামটির জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কিন্তু প্রবাসী জজ মিয়া নিজ উদ্যেগে রাস্তা নির্মাণ শুরু করার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।