ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) : পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি -সংবাদ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে আবারও বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিগত ০৬দিনের ভাঙ্গনে উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর, হাটখোলাপাড়া এবং বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি ও মাধবপুরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমিসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত শ্মশানঘাটও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ৮৫-৯০ জন পান চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাদের ৩৫০০ পিলি (পান বরজের সারি) পান বরজ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্তিত হয়ে দেখা যায়, উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর, হাটখোলাপাড়া ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি ও মাধবপুরে বিগত ০৬ দিন ধরে পদ্মা নদীতে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে।
জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ভাঙ্গণ কবলিত স্থান থেকে পদ্মা নদী রক্ষা (রায়টা-মহিষকুন্ডি) বেড়িবাঁধের দূরত্ব ৫০ মিটারেরও কম। হুমকিতে রয়েছে অত্র এলাকার বসতবাড়িসহ সরকারি, বে-সরকারি বিভিন্ন স্পাপনা। ভাঙ্গণ আতঙ্কে দিন কাটছে উক্ত অঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের।
স্থানীয়রা বলেন, যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের বিপর্যয়। অপরদিকে মাধবপুরের ভাঙ্গণ কবলিত এলাকায় রয়েছে বিস্তীর্ণ প্রান্তিক চাষিদের পান বরজ। গত কয়েক দিনের ভাঙ্গণে ৮৫- ৯৫জন পান চাষির প্রায় ৩৫০০পিলি পান বরজ নদী গর্ভে বিলীণ হয়েছে। এই অঞ্চলের হিন্দু
সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত একমাত্র শ্মশান ঘাটটিও নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে।
রফিকুল ইসলাম নামের এক কৃষক জানান, পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে ৬-৭ বিঘা জমি নদীতে বিলীণ হয়েছে। এখানে প্রায় ৭০০পিলি পানের বরজ ছিল। একমাত্র উপার্জনের জায়গা হারিয়ে আমি এখন অথৈই সমুদ্রে পড়ে গেছি। উক্ত নদীর ভাঙ্গণে আনেজ, আবু, শিহাব মবির পন্ডিত, রেজাউল, আজগর, জামশেদ, রাব্বি, রহমান, কাশেম, নুরা, নাসির এরা সকলেই
১০০ পিলির বেশি পরিমানে পানের বরজ হারিয়ে এখন দিশেহারা।
কৃষক পান চাষি আবুল হোসেন বলেন, মাধবপুর এলাকায় গত ০২ বছর আগে এই সমস্ত বরজ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। এবার আবার পদ্মা নদী গিলে খাচ্ছে। আমরা কৃষকরা খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ভাঙ্গনের বিষয়টি আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। শীঘ্রই সেখানে
পরিদর্শন করে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুরে নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু হবে। পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য অঞ্চল গুলোতে কাজ শুরু করতে করবো।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীতে ভাঙ্গণের বিষয়টি আমরা জেনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের আবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) : পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে আবারও বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিগত ০৬দিনের ভাঙ্গনে উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর, হাটখোলাপাড়া এবং বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি ও মাধবপুরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমিসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত শ্মশানঘাটও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ৮৫-৯০ জন পান চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাদের ৩৫০০ পিলি (পান বরজের সারি) পান বরজ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্তিত হয়ে দেখা যায়, উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর, হাটখোলাপাড়া ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি ও মাধবপুরে বিগত ০৬ দিন ধরে পদ্মা নদীতে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে।
জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ভাঙ্গণ কবলিত স্থান থেকে পদ্মা নদী রক্ষা (রায়টা-মহিষকুন্ডি) বেড়িবাঁধের দূরত্ব ৫০ মিটারেরও কম। হুমকিতে রয়েছে অত্র এলাকার বসতবাড়িসহ সরকারি, বে-সরকারি বিভিন্ন স্পাপনা। ভাঙ্গণ আতঙ্কে দিন কাটছে উক্ত অঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের।
স্থানীয়রা বলেন, যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের বিপর্যয়। অপরদিকে মাধবপুরের ভাঙ্গণ কবলিত এলাকায় রয়েছে বিস্তীর্ণ প্রান্তিক চাষিদের পান বরজ। গত কয়েক দিনের ভাঙ্গণে ৮৫- ৯৫জন পান চাষির প্রায় ৩৫০০পিলি পান বরজ নদী গর্ভে বিলীণ হয়েছে। এই অঞ্চলের হিন্দু
সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত একমাত্র শ্মশান ঘাটটিও নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে।
রফিকুল ইসলাম নামের এক কৃষক জানান, পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে ৬-৭ বিঘা জমি নদীতে বিলীণ হয়েছে। এখানে প্রায় ৭০০পিলি পানের বরজ ছিল। একমাত্র উপার্জনের জায়গা হারিয়ে আমি এখন অথৈই সমুদ্রে পড়ে গেছি। উক্ত নদীর ভাঙ্গণে আনেজ, আবু, শিহাব মবির পন্ডিত, রেজাউল, আজগর, জামশেদ, রাব্বি, রহমান, কাশেম, নুরা, নাসির এরা সকলেই
১০০ পিলির বেশি পরিমানে পানের বরজ হারিয়ে এখন দিশেহারা।
কৃষক পান চাষি আবুল হোসেন বলেন, মাধবপুর এলাকায় গত ০২ বছর আগে এই সমস্ত বরজ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। এবার আবার পদ্মা নদী গিলে খাচ্ছে। আমরা কৃষকরা খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ভাঙ্গনের বিষয়টি আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। শীঘ্রই সেখানে
পরিদর্শন করে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুরে নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু হবে। পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য অঞ্চল গুলোতে কাজ শুরু করতে করবো।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীতে ভাঙ্গণের বিষয়টি আমরা জেনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের আবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।