ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান কান্দিপাড়া এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় ভাড়াটে খুনি দিয়ে সারফান সর্দার (৫০) নামে একজনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি-পন্থী কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তিনি ওই গ্রামের মৃত হামের সর্দারের ছেলে। গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাগোয়ান কান্দিপাড়া বাজার এলাকায় এ মর্মান্তিক হত্যাকান্ড ঘটে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা বলছেন, এটি রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সারফান সর্দার আওয়ামী লীগপন্থী একটি পরিবারের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি সমর্থক মন্ডল বংশের সোহেল, সাদ্দাম, ওবায়দুল, মনি, নুরুলসহ আরও কয়েকজন তাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছিল। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ৯ সেপ্টেম্বর সারফান সর্দার প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যে দুটি গরু বিক্রি করেন। এরপর থেকেই অভিযুক্তরা ওই টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে সর্দার পরিবারের উপর একটি অতর্কিত হামলা চালানো হয় এবং কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনলেও রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাশের গ্রাম জামালপুর থেকে প্রায় ৫০জন ভাড়াটে খুনি এনে সারফান সর্দারকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে গিয়ে পায়ের রগ কেটে এবং গলা কেটে হত্যা করে তারা। খবর পেয়ে তার স্বজন বাইজিদ সর্দারসহ তার পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এই হামলায় বাইজিদ সর্দারসহ আরোও চারজন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত সারফান সর্দারের মেয়ে মিম খাতুন খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করে বলেন, রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পাশের একটি বাঁশবাগানে আমার বাবাকে পা কেটে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে আমার বাবাকে পা কেটে হত্যা করার হুমকিও দিয়েছিল তারা। তিনি দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুলাইমান শেখ জানান, নিহত সারফান সর্দারের স্ত্রী হাজেরা খাতুন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান কান্দিপাড়া এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় ভাড়াটে খুনি দিয়ে সারফান সর্দার (৫০) নামে একজনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি-পন্থী কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তিনি ওই গ্রামের মৃত হামের সর্দারের ছেলে। গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাগোয়ান কান্দিপাড়া বাজার এলাকায় এ মর্মান্তিক হত্যাকান্ড ঘটে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা বলছেন, এটি রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সারফান সর্দার আওয়ামী লীগপন্থী একটি পরিবারের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি সমর্থক মন্ডল বংশের সোহেল, সাদ্দাম, ওবায়দুল, মনি, নুরুলসহ আরও কয়েকজন তাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছিল। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ৯ সেপ্টেম্বর সারফান সর্দার প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যে দুটি গরু বিক্রি করেন। এরপর থেকেই অভিযুক্তরা ওই টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে সর্দার পরিবারের উপর একটি অতর্কিত হামলা চালানো হয় এবং কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনলেও রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাশের গ্রাম জামালপুর থেকে প্রায় ৫০জন ভাড়াটে খুনি এনে সারফান সর্দারকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে গিয়ে পায়ের রগ কেটে এবং গলা কেটে হত্যা করে তারা। খবর পেয়ে তার স্বজন বাইজিদ সর্দারসহ তার পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এই হামলায় বাইজিদ সর্দারসহ আরোও চারজন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত সারফান সর্দারের মেয়ে মিম খাতুন খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করে বলেন, রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পাশের একটি বাঁশবাগানে আমার বাবাকে পা কেটে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে আমার বাবাকে পা কেটে হত্যা করার হুমকিও দিয়েছিল তারা। তিনি দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুলাইমান শেখ জানান, নিহত সারফান সর্দারের স্ত্রী হাজেরা খাতুন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।