সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) : বাঁশের ফাঁদে ইদুর নিধনের চেষ্টা -সংবাদ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মাঠপর্যায়ে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিচর্যা শেষে প্রাথমিক সার-কিটশান প্রয়োগে এই খেত এখন সবুজে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে বেড়েছে ইঁদুরের উপদ্রব। এসব ইঁদুরের দাপটে নষ্ট হচ্ছে ধানখেত। ফলে কৃষকের কপালে পড়ছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে- ইঁদুরের হানায় নষ্ট হওয়া ধানখেতের চিত্র।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভশীল। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পুরণে চেষ্টা করেন। এসবের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল হচ্ছে রোপা আমন ধান। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর খরাসহ নানা প্রতিকুলতা পেরিয়ে আমন ধানচাষ করা হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক বাড়তি খরচে সেচ দিয়ে রোপণ করেছেন এই ধানচারা। এরই মধ্যে এই খেতগুলো গাঢ় সবুজে উপনিত হয়। কারও কারও খেত থোড় হওয়া শুরু হয়েছে। এতে করে কৃষকরা আশা করছিলেন অধিক ফলন ঘরে তোলার। কিন্তু বিধিবাম! বেশ কিছু মাঠে পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ইঁদুরের উৎপাত। ধানগাছ কেটে সাবাড় করছে রাক্ষসে এই গেছো ইঁদুরের দল। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ধানখেত নষ্ট হওয়া মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের।
কৃষক মোজা মিয়া জানান, ইঁদুরের কবল থেকে খেত রক্ষায় বিভিন্ন ধরণের কিটনাশক প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আরেক কৃষক মাসুদ মিয়া বলেন, নিজের জমি না থাকায় অন্যের ৩০ শতক জমি বর্গা নিয়েছে। সেখানে রোপা আমন ধান আবাদ করেছি। এ থেকে ভালো ফলন নিয়ে ঘরের চালের ভাত খাওয়ার স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু ইঁদুরের আক্রমণে সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হতে চলেছে। এ সমস্যা সমাধানে কৃষি বিভাগে পরামর্শ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে বাঁশের ডোঙ্গা ফাঁদ দিয়ে ইঁদুর নিধনের চেষ্টা করছি।
কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি রুহুল আমিন বলেন, খুব বেশি পরিমাণ খেতে ইঁদুরের আক্রমণ নেই। তবে ইঁদুর নিধনের জন্য দেশিয় পদ্ধতিতে খেতে বাঁশের ফাঁদ ও কলাগাছ স্থাপন করা যেতে পারে। এছাড়া ‘লানির্যাট’ নামের গ্যাস ট্যাবলেট খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতের বিভিন্ন জায়গা রাখলে ইঁদুর দমন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) : বাঁশের ফাঁদে ইদুর নিধনের চেষ্টা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মাঠপর্যায়ে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিচর্যা শেষে প্রাথমিক সার-কিটশান প্রয়োগে এই খেত এখন সবুজে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে বেড়েছে ইঁদুরের উপদ্রব। এসব ইঁদুরের দাপটে নষ্ট হচ্ছে ধানখেত। ফলে কৃষকের কপালে পড়ছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে- ইঁদুরের হানায় নষ্ট হওয়া ধানখেতের চিত্র।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভশীল। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পুরণে চেষ্টা করেন। এসবের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল হচ্ছে রোপা আমন ধান। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর খরাসহ নানা প্রতিকুলতা পেরিয়ে আমন ধানচাষ করা হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক বাড়তি খরচে সেচ দিয়ে রোপণ করেছেন এই ধানচারা। এরই মধ্যে এই খেতগুলো গাঢ় সবুজে উপনিত হয়। কারও কারও খেত থোড় হওয়া শুরু হয়েছে। এতে করে কৃষকরা আশা করছিলেন অধিক ফলন ঘরে তোলার। কিন্তু বিধিবাম! বেশ কিছু মাঠে পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ইঁদুরের উৎপাত। ধানগাছ কেটে সাবাড় করছে রাক্ষসে এই গেছো ইঁদুরের দল। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ধানখেত নষ্ট হওয়া মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের।
কৃষক মোজা মিয়া জানান, ইঁদুরের কবল থেকে খেত রক্ষায় বিভিন্ন ধরণের কিটনাশক প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আরেক কৃষক মাসুদ মিয়া বলেন, নিজের জমি না থাকায় অন্যের ৩০ শতক জমি বর্গা নিয়েছে। সেখানে রোপা আমন ধান আবাদ করেছি। এ থেকে ভালো ফলন নিয়ে ঘরের চালের ভাত খাওয়ার স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু ইঁদুরের আক্রমণে সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হতে চলেছে। এ সমস্যা সমাধানে কৃষি বিভাগে পরামর্শ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে বাঁশের ডোঙ্গা ফাঁদ দিয়ে ইঁদুর নিধনের চেষ্টা করছি।
কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি রুহুল আমিন বলেন, খুব বেশি পরিমাণ খেতে ইঁদুরের আক্রমণ নেই। তবে ইঁদুর নিধনের জন্য দেশিয় পদ্ধতিতে খেতে বাঁশের ফাঁদ ও কলাগাছ স্থাপন করা যেতে পারে। এছাড়া ‘লানির্যাট’ নামের গ্যাস ট্যাবলেট খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতের বিভিন্ন জায়গা রাখলে ইঁদুর দমন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।