চাটখিল উপজেলা পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বের অবহেলার কারণে ডাক বিভাগের কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না এলাকাবাসী। এতে করে অনেককে বিভিন্নভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ডাক বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন নিবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। তাই মানুষ ক্রমান্বয়ে এ বিভাগ থেকে আস্থা হারাতে বসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাটখিল উপজেলা পোস্ট অফিসের অধীনে ৫টি সাব-পোস্ট অফিস রয়েছে। এ সকল পোস্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। বিশেষ করে পোস্টম্যান/ডাক পিয়নরা সময়মতো গ্রাহকদের কাছে চিঠি/ডকুমেন্ট যথাসময়ে বিলি না করার কারণে প্রাপকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গত কিছুদিন আগে উপজেলার ৬নং পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান এর একটি পরিবারিক চিঠি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের থেকে চাটখিল পোস্ট অফিসে পৌঁছার ১০ দিন পর প্রাপকের হাতে পৌঁছে গত ৬ জুলাই। চিঠিতে লিখা ছিলো ৫ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের শুনানীতে অংশগ্রহণ করার জন্য। কিন্তু সময়মতো তারা শুনানীতে অংশগ্রহণ করতে না পারায় তারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। একই ভাবে গত ২১ আগস্ট ঢাকার জিপিও থেকে পোস্ট করা একটি চিঠি চাটখিল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বরাবর পাঠানো হয়।
ঐ চিঠি চাটখিল পোস্ট অফিসের পোস্টম্যান ১০ সেপ্টেম্বর সভাপতির হাতে পৌঁছায়। চিঠি খুলে দেখা যায়, ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে সভাপতিকে সম্মাননা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু চিঠিটি দেরিতে পৌঁছানোর জন্য তিনি সম্মাননা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। চিঠিতে জিপিও পোস্ট অফিসের সীল থাকলেও চাটখিল পোস্ট অফিসে পৌঁছার পর কোন সীল নেই। এতেই প্রমাণিত হয় চাটখিল পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এলাকাবাসীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
চিঠি বিলিকারী ডাকপিয়ন মনির আহম্মদ বলেন, চিঠিটি ৯ সেপ্টেম্বর তার হাতে এসে পৌঁছেছে, একদিন পর তিনি বিলি করেছেন। চিঠিতে চাটখিল পোস্ট অফিসের কোনো সীল নেই কেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এই ব্যাপারে চাটখিল পোস্ট অফিসের পোস্ট মাষ্টার জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এলাকাবাসী চাটখিল পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডাক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চাটখিল উপজেলা পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বের অবহেলার কারণে ডাক বিভাগের কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না এলাকাবাসী। এতে করে অনেককে বিভিন্নভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ডাক বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন নিবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। তাই মানুষ ক্রমান্বয়ে এ বিভাগ থেকে আস্থা হারাতে বসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাটখিল উপজেলা পোস্ট অফিসের অধীনে ৫টি সাব-পোস্ট অফিস রয়েছে। এ সকল পোস্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। বিশেষ করে পোস্টম্যান/ডাক পিয়নরা সময়মতো গ্রাহকদের কাছে চিঠি/ডকুমেন্ট যথাসময়ে বিলি না করার কারণে প্রাপকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গত কিছুদিন আগে উপজেলার ৬নং পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান এর একটি পরিবারিক চিঠি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের থেকে চাটখিল পোস্ট অফিসে পৌঁছার ১০ দিন পর প্রাপকের হাতে পৌঁছে গত ৬ জুলাই। চিঠিতে লিখা ছিলো ৫ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের শুনানীতে অংশগ্রহণ করার জন্য। কিন্তু সময়মতো তারা শুনানীতে অংশগ্রহণ করতে না পারায় তারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। একই ভাবে গত ২১ আগস্ট ঢাকার জিপিও থেকে পোস্ট করা একটি চিঠি চাটখিল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বরাবর পাঠানো হয়।
ঐ চিঠি চাটখিল পোস্ট অফিসের পোস্টম্যান ১০ সেপ্টেম্বর সভাপতির হাতে পৌঁছায়। চিঠি খুলে দেখা যায়, ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে সভাপতিকে সম্মাননা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু চিঠিটি দেরিতে পৌঁছানোর জন্য তিনি সম্মাননা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। চিঠিতে জিপিও পোস্ট অফিসের সীল থাকলেও চাটখিল পোস্ট অফিসে পৌঁছার পর কোন সীল নেই। এতেই প্রমাণিত হয় চাটখিল পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এলাকাবাসীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
চিঠি বিলিকারী ডাকপিয়ন মনির আহম্মদ বলেন, চিঠিটি ৯ সেপ্টেম্বর তার হাতে এসে পৌঁছেছে, একদিন পর তিনি বিলি করেছেন। চিঠিতে চাটখিল পোস্ট অফিসের কোনো সীল নেই কেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এই ব্যাপারে চাটখিল পোস্ট অফিসের পোস্ট মাষ্টার জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এলাকাবাসী চাটখিল পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডাক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।