ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : নিহত জাহেদা বেগমের লাশ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় -সংবাদ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুত্র ও পুত্রবধূদের সাথে ঝগড়ায় শাশুড়ির রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতের মেয়েদের দাবি ভাই ও ভাইয়ের বউয়েরা মিলে তাদের মাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত শাশুড়ি জাহেদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।
নিহত নারী আগানগর ইউনিয়নের নবীপুর উত্তর পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী জাহেদা বেগম (৪৫)। অভিযুক্তরা হলো, নিহতের ছেলে সেলিম, জুয়েল, রিফাত ও তাদের স্ত্রী চাঁদনী বেগম, শিখা বেগম ও শিমুল বেগম।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত নারী জাহেদা বেগমের চার ছেলে ও তিন মেয়ে। চার ছেলেই প্রবাসে থাকে। তাদের মধ্যে তিন ছেলে অনেক আগে বিয়ে করলেও ছোট ছেলে রিফাত ১ মাস হয়েছে বিয়ে করেছে। সন্তানদের মধ্যে নতুন পুত্রবধূসহ আরো দুই পুত্রবধূর সাথে শাশুড়ি জাহেদা বেগমের প্রায় সময় ঝগড়া হতো। এমন ঝগড়ায় মাকে মারধরও করতো। গত মঙ্গলবার দিনভর ছোট ছেলে রিফাতের স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকার বিষয় নিয়ে মায়ের সাথে ঝগড়া করে। পরে পুত্রবধূ চাঁদনীও রিফাতের সঙ্গ দেয়। গত বুধবার সকালেও ছোট ছেলে রিফাতের সাথে মায়ের ঝগড়া হয়। হঠাৎ সকাল ১১টায় জাহেদা বেগম অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহেদা বেগমকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে পথিমধ্যে জাহেদা বেগমের মৃত্যু হয়।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : নিহত জাহেদা বেগমের লাশ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুত্র ও পুত্রবধূদের সাথে ঝগড়ায় শাশুড়ির রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতের মেয়েদের দাবি ভাই ও ভাইয়ের বউয়েরা মিলে তাদের মাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত শাশুড়ি জাহেদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।
নিহত নারী আগানগর ইউনিয়নের নবীপুর উত্তর পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী জাহেদা বেগম (৪৫)। অভিযুক্তরা হলো, নিহতের ছেলে সেলিম, জুয়েল, রিফাত ও তাদের স্ত্রী চাঁদনী বেগম, শিখা বেগম ও শিমুল বেগম।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত নারী জাহেদা বেগমের চার ছেলে ও তিন মেয়ে। চার ছেলেই প্রবাসে থাকে। তাদের মধ্যে তিন ছেলে অনেক আগে বিয়ে করলেও ছোট ছেলে রিফাত ১ মাস হয়েছে বিয়ে করেছে। সন্তানদের মধ্যে নতুন পুত্রবধূসহ আরো দুই পুত্রবধূর সাথে শাশুড়ি জাহেদা বেগমের প্রায় সময় ঝগড়া হতো। এমন ঝগড়ায় মাকে মারধরও করতো। গত মঙ্গলবার দিনভর ছোট ছেলে রিফাতের স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকার বিষয় নিয়ে মায়ের সাথে ঝগড়া করে। পরে পুত্রবধূ চাঁদনীও রিফাতের সঙ্গ দেয়। গত বুধবার সকালেও ছোট ছেলে রিফাতের সাথে মায়ের ঝগড়া হয়। হঠাৎ সকাল ১১টায় জাহেদা বেগম অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহেদা বেগমকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে পথিমধ্যে জাহেদা বেগমের মৃত্যু হয়।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।