ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এবার ফকির লালনের ১৩৫ তম তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠানে প্রাধান্য পাবে লালন সাঁইজি ও সাধু গুরুদের জীবনাচরণ। খাদ্যসেবা থেকে শুরু করে তাদের বসা, হাঁটাচলা সম্পূর্ণ রীতি মেনে পালন করা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। এবার লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস জাতীয় ক শ্রেণীভুক্ত হওয়ায় জাতীয়ভাবে পালন করা হবে। মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে কুষ্টিয়ায় ১৭ অক্টোবর। এখানে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলমান থাকবে। অন্যদিকে ১৮ ও ১৯ অক্টোবর ঢাকায়ও জাতীয়ভাবে অনুষ্ঠান পালন করা হবে।
মহাত্মা লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস পালন উপলক্ষে বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার নব নির্মিত সার্কিট হাউজ অডিটোরিয়ামে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মফিদুর রহমান।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, সেক্রেটারি আবু মনি জুবায়েদ রিপনসহ বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। অংশীজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সেখানে অনেকেই অভিযোগ করেন, লালন সাঁইয়ের আখড়াবাড়িতে প্রবেশে সংকীর্ণ ও ভাঙাচুরা সড়কের বিষয়ে। উঠে আসে ফকির সাধকদের প্রতি নানা অন্যায় অবিচারের কথা। সেইসঙ্গে মাদকের বিস্তার রোধসহ আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে কথা বলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের যে সেবা পদ্ধতি, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সেবা পদ্ধতি। তার সাধনার ধারাটা হলো সেবা পদ্ধতির মধ্যদিয়ে ছড়ায়। সেবা পদ্ধতি একটি নিয়ম, একটি বিধান। এটার একটা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। সেই সেবায় যে নিম্ন মানের খাবার দেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ জন্য আশা করবো এবার সেবাটা একদম লালনের ঘরের রীতিনীতি মেনে পালন করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সচিব মো. মফিদুর রহমান বলেন, এবার অনুষ্ঠানের সবকিছু লালন সাঁই ও তার ভক্তবৃন্দের জীবনাচার মেনে পালন করা হবে। এবার গ্রামীণ মেলা আয়োজন করা হবে না আমাদের এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটি শত শত বছর ধরে চলে আসছে। মেলা বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি, এটা বন্ধের বিষয়ে আমাদের আপাতত কোনো ভাবনা চিন্তা নেই। তা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আমরা উদ্বীগ্ন না।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এবার ফকির লালনের ১৩৫ তম তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠানে প্রাধান্য পাবে লালন সাঁইজি ও সাধু গুরুদের জীবনাচরণ। খাদ্যসেবা থেকে শুরু করে তাদের বসা, হাঁটাচলা সম্পূর্ণ রীতি মেনে পালন করা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। এবার লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস জাতীয় ক শ্রেণীভুক্ত হওয়ায় জাতীয়ভাবে পালন করা হবে। মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে কুষ্টিয়ায় ১৭ অক্টোবর। এখানে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলমান থাকবে। অন্যদিকে ১৮ ও ১৯ অক্টোবর ঢাকায়ও জাতীয়ভাবে অনুষ্ঠান পালন করা হবে।
মহাত্মা লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস পালন উপলক্ষে বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার নব নির্মিত সার্কিট হাউজ অডিটোরিয়ামে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মফিদুর রহমান।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, সেক্রেটারি আবু মনি জুবায়েদ রিপনসহ বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। অংশীজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সেখানে অনেকেই অভিযোগ করেন, লালন সাঁইয়ের আখড়াবাড়িতে প্রবেশে সংকীর্ণ ও ভাঙাচুরা সড়কের বিষয়ে। উঠে আসে ফকির সাধকদের প্রতি নানা অন্যায় অবিচারের কথা। সেইসঙ্গে মাদকের বিস্তার রোধসহ আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে কথা বলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের যে সেবা পদ্ধতি, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সেবা পদ্ধতি। তার সাধনার ধারাটা হলো সেবা পদ্ধতির মধ্যদিয়ে ছড়ায়। সেবা পদ্ধতি একটি নিয়ম, একটি বিধান। এটার একটা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। সেই সেবায় যে নিম্ন মানের খাবার দেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ জন্য আশা করবো এবার সেবাটা একদম লালনের ঘরের রীতিনীতি মেনে পালন করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সচিব মো. মফিদুর রহমান বলেন, এবার অনুষ্ঠানের সবকিছু লালন সাঁই ও তার ভক্তবৃন্দের জীবনাচার মেনে পালন করা হবে। এবার গ্রামীণ মেলা আয়োজন করা হবে না আমাদের এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটি শত শত বছর ধরে চলে আসছে। মেলা বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি, এটা বন্ধের বিষয়ে আমাদের আপাতত কোনো ভাবনা চিন্তা নেই। তা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আমরা উদ্বীগ্ন না।