গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৮৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩৬ হাজার ৬শ’ ৮২ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৪৫ জন। এভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যু প্রতিদিন বেড়েই চলছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১০৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৪৪জন,ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৪ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন।
নিহত ৬ জনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩ জন, ময়মনসিংহে ১ জন,রাজশাহীতে ১ জন মারা গেছেন।
গত ৯ মাসে নিহতের তথ্য মতে, জানুয়ারি মাসে ১০ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ জন, এপ্রিল মাসে ৭ জন, মে মাসে ৩ জন, জুন মাসে ১৯ জন, জুলাই মাসে ৪১ জন, আগস্ট মাসে ৩৯ জন, চলতি মাসের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৩ জন মারা গেছেন। এভাবে প্রতি মাসে ডেঙ্গুতে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার মারাও যাচ্ছেন।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞরা জানান, ঢাকায় প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেয় ১৯৬৩ সালে। তখন এ রোগকে ঢাকা ফিভার হিসেবে চিহ্নিত করা বা নাম দেয়া হয়েছিল। ডেঙ্গুর প্রথম আউট ব্রেক হয় ২০০০ সালে। তখন বিজ্ঞানীরা একে ডেঙ্গু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ওই বছর বাংলাদেশে ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরপর থেকে প্রতি বছর কম-বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু এপিডেমিক আকার ধারণ করে। ওই বছর সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭৯ জন মারা যায়। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম চিকুনগুনিয়া ধরা পড়ে। যা ডেঙ্গুর মতো একটি রোগ। এ রোগটি চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। ২০১১-২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া রোগ শনাক্ত হয়। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয় ২০১৬-২০১৭ সালে। সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্যর জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, মশা নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের। এ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলো মশা নিয়ন্ত্রণে উপযোগী। তবে এখানে প্রশিক্ষিত জনবলের দরকার।
মশাবাহিত এ রোগ থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো, জনদুর্ভোগ ও আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে টেকসই পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন দরকার। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৮৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩৬ হাজার ৬শ’ ৮২ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৪৫ জন। এভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যু প্রতিদিন বেড়েই চলছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১০৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৪৪জন,ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৪ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন।
নিহত ৬ জনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩ জন, ময়মনসিংহে ১ জন,রাজশাহীতে ১ জন মারা গেছেন।
গত ৯ মাসে নিহতের তথ্য মতে, জানুয়ারি মাসে ১০ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ জন, এপ্রিল মাসে ৭ জন, মে মাসে ৩ জন, জুন মাসে ১৯ জন, জুলাই মাসে ৪১ জন, আগস্ট মাসে ৩৯ জন, চলতি মাসের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৩ জন মারা গেছেন। এভাবে প্রতি মাসে ডেঙ্গুতে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার মারাও যাচ্ছেন।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞরা জানান, ঢাকায় প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেয় ১৯৬৩ সালে। তখন এ রোগকে ঢাকা ফিভার হিসেবে চিহ্নিত করা বা নাম দেয়া হয়েছিল। ডেঙ্গুর প্রথম আউট ব্রেক হয় ২০০০ সালে। তখন বিজ্ঞানীরা একে ডেঙ্গু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ওই বছর বাংলাদেশে ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরপর থেকে প্রতি বছর কম-বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু এপিডেমিক আকার ধারণ করে। ওই বছর সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭৯ জন মারা যায়। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম চিকুনগুনিয়া ধরা পড়ে। যা ডেঙ্গুর মতো একটি রোগ। এ রোগটি চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। ২০১১-২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া রোগ শনাক্ত হয়। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয় ২০১৬-২০১৭ সালে। সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্যর জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, মশা নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের। এ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলো মশা নিয়ন্ত্রণে উপযোগী। তবে এখানে প্রশিক্ষিত জনবলের দরকার।
মশাবাহিত এ রোগ থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো, জনদুর্ভোগ ও আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে টেকসই পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন দরকার। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।