ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীতে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা ক্ষমতার দাপটের গ্যারাকলে আটকে গেছে স্থানীয় প্রশাসন। চক্রটির করাল গ্রাস থেকে রক্ষার দাবী জানিয়েছেন তিস্তা পাড়ের নদীভাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে দায় সাড়া অবৈধ পাথর জব্দ করলেও সামান্যতম এর প্রভাব পড়েনি অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির ওপড়ে। অসহায় ও নির্বিকারের ভূমিকায় রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। তিস্তা নদী থেকে বালু ও পাথর উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গনের ভয়াবহতা তীব্রতা আকার ধারণ করছে। প্রতিবছর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙ্গন রোধে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও কার্যত তেমন সুফলে আসছে না। স্থানীয় সংশোধন মহলের দাবী,দ্রুততম সময়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট ভাঙতে যথাযথ ভাবে কঠোর আইন প্রয়োগ করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। নইলে ভাঙ্গন রোধ কল্পে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, তিস্তা নদী হতে অবৈধ হয়ে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির নেপথ্যে থাকা নেতারা এতই শক্তিশালী ও বেপরোয়া যে তারা স্থানীয় প্রশাসনকে তোয়াক্কাই করে না। ক্ষমতার দাপটে তিস্তা নদী পাড়ের হাজার হাজার নদী ভাঙ্গা মানুষগুলো সীমাহীন ক্ষতির শিকার হলেও তাদের কোন যায় আসে না ।
স্থানীয়রা বলছেন, একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে নদী থেকে পাথর তুলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। নির্বিচারে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে নদীভাঙনে আকস্মিক বন্যা ও নদী ভাঙ্গন দেখা দেয় প্রতিবছর । আবাদী জমি, ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে দেধারছে । পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ ও জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নিজ নিজ গা এড়িয়ে চলছে। ইতিপূর্বে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় একাধিক সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করা হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো দায় সারা অভিযান চালানো হলেও তেমন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি।
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা না রাখায় পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি আরো বেশী চরম বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত তিস্তা নদী ও সংলগ্ন এলাকায় মহা ধুম ধামের সাথে চলছে পাথর উত্তোলন । অবৈধ এই কর্মকা-ের প্রতিবাদ করায় চক্রটির চক্রের হাতে শারীরিক লাঞ্ছিত সহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন । প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রকার প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
সর্বোপরি তিস্তা নদীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনে অভয় স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পাথর খেকো ওই চক্রটি দুর্দান্ত ক্ষমতার দাপটে স্থানীয় প্রশাসন অসহায় ও নির্বিকারের ভূমিকা পালন করছে । তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের কথা বললেই তারা জড়সড় হযেে? প্রসঙ্গ পরিবর্তন করেন। ডিমলার সচেতন মহলের প্রশ্ন? অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির ক্ষমতার উৎস কোথায় আর কোন ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা পর্দার আড়ালে থেকে অবৈধ কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ডিমলা বাসীর দাবী, পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির দুর্দান্ত ক্ষমতার দাপট গুড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের সরকারের প্রচলিত আইন যথাযথ প্রয়োগ করে দ্রুততম সময়ে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে স্থানীয় প্রশাসন।
উপজেলার তিস্তা নদীর ডানতীর ভাঙ্গন রোধ সহ তিস্তা বিধৌত এলাকা তীর রক্ষায় প্রতিবছর শতশত কোটি টাকা সরকারের খরচ করছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পউবো) কর্তৃপক্ষ। ভাঙ্গন রোধে প্রচুর পরিমাণ সরকারের অর্থ খরচ করলেও প্রতিবছর নতুন নতুন এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তিস্তা নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি তিস্তার চ্যানেল তৈরি হয়ে খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোট খাতা সুপরিটরি গ্রামের শত শত একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গিয়ে নতুন নদীর সৃষ্টি হয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে । কার্যত তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের বাঁচাতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে তেমন একটা কার্যকরী সুফল হচ্ছে না।
উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৬ টি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। তিস্তা নদীর দুই পাড়ের গ্রামগুলো নদীভাঙনের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে । ভাঙন এলাকায় শ্যলো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছে এলাকার একাধিক প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় শ্রমিকরা । নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার , চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনে প্রায় ১৫ টি প্রভাবশালী চক্র জড়িত রয়েছে ।
তিস্তা ব্যারেজের উজানে তেলির বাজার, ছোটখাতা ও ভাটিতে ডালিয়া বাইশপুকুর এলাকায় দেখা যায়, শ্রমিকেরা বেলচা, কোদাল ও শাবল ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করে অন্তত অর্ধশতাধিক নৌকায় বোঝাই করেছেন। পরে সে সব পাথর বিক্রির জন্য ট্রাক্ট্ররে করে নিয়ে যাওয়া হয় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে তিস্তা সেচনালার ধারে স্তুুপ করার জন্য । অনেকটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায়।
পাথর উত্তোলনকারীরা জানান, নৌকা চলন্ত অবস্থায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত পাখা দিয়ে নদীর তলদেশের বালু সরিয়ে পাথর তুলে পানির ওপরে নিয়ে আসা হয় । এভাবেই নদীর বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক সক্রিয় টিম পাথর উত্তোলন করছে। উত্তোলিত পাথর ৪০-৫০ টাকা সিএফটি দরে স্থানীয় সিন্ডিকেটটি ক্রয় করে জমজমাট ব্যবসা করে আসছে। আর সিন্ডিকেডটি এসব পাথর চরা মূল্যে ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি করে পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের কাছে বলে জানান পাথর শ্রমিকরা। নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বলছেন, অবৈধভাবে পাথর-বালু উত্তোলণ করে অনেকেই কোটিপতি হয়েছেন। কিন্তু আমরা নি:স্ব সর্বস্বান্ত হয়েিেছ । আমাদের বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে।
তবে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সালামত ফকির ও শাখা কর্মকর্তা মোঃ হাসেম আলী জানান, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর ডানতীর ভাঙ্গন রোধে ইতিমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের উজানে ও ভাটিতে একাধিক ভাঙ্গন স্থানে ৬ টি প্যাকেজের মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলি অমিতাভ চৌধুরী বলেন , নদীর বালু,পাথর উত্তোলন বন্ধ করার দায়-দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের । আমাদের কাজ হল তিস্তা নদীর তীর সংরক্ষণ ও ভাঙ্গন রোধ করা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান জানান , তিস্তা নদী বা মাটির তলদেশ থেকে পাথর উত্তোলনের আইনগতভাবে কোন সুযোগ নেই । অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন বন্ধে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বিপুল পরিমাণ পাথর জব্দ করা হয়েছে। অভিযান চলমান আছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীতে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা ক্ষমতার দাপটের গ্যারাকলে আটকে গেছে স্থানীয় প্রশাসন। চক্রটির করাল গ্রাস থেকে রক্ষার দাবী জানিয়েছেন তিস্তা পাড়ের নদীভাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে দায় সাড়া অবৈধ পাথর জব্দ করলেও সামান্যতম এর প্রভাব পড়েনি অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির ওপড়ে। অসহায় ও নির্বিকারের ভূমিকায় রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। তিস্তা নদী থেকে বালু ও পাথর উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গনের ভয়াবহতা তীব্রতা আকার ধারণ করছে। প্রতিবছর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙ্গন রোধে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও কার্যত তেমন সুফলে আসছে না। স্থানীয় সংশোধন মহলের দাবী,দ্রুততম সময়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট ভাঙতে যথাযথ ভাবে কঠোর আইন প্রয়োগ করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। নইলে ভাঙ্গন রোধ কল্পে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, তিস্তা নদী হতে অবৈধ হয়ে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির নেপথ্যে থাকা নেতারা এতই শক্তিশালী ও বেপরোয়া যে তারা স্থানীয় প্রশাসনকে তোয়াক্কাই করে না। ক্ষমতার দাপটে তিস্তা নদী পাড়ের হাজার হাজার নদী ভাঙ্গা মানুষগুলো সীমাহীন ক্ষতির শিকার হলেও তাদের কোন যায় আসে না ।
স্থানীয়রা বলছেন, একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে নদী থেকে পাথর তুলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। নির্বিচারে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে নদীভাঙনে আকস্মিক বন্যা ও নদী ভাঙ্গন দেখা দেয় প্রতিবছর । আবাদী জমি, ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে দেধারছে । পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ ও জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নিজ নিজ গা এড়িয়ে চলছে। ইতিপূর্বে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় একাধিক সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করা হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো দায় সারা অভিযান চালানো হলেও তেমন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি।
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা না রাখায় পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি আরো বেশী চরম বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত তিস্তা নদী ও সংলগ্ন এলাকায় মহা ধুম ধামের সাথে চলছে পাথর উত্তোলন । অবৈধ এই কর্মকা-ের প্রতিবাদ করায় চক্রটির চক্রের হাতে শারীরিক লাঞ্ছিত সহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন । প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রকার প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
সর্বোপরি তিস্তা নদীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনে অভয় স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পাথর খেকো ওই চক্রটি দুর্দান্ত ক্ষমতার দাপটে স্থানীয় প্রশাসন অসহায় ও নির্বিকারের ভূমিকা পালন করছে । তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের কথা বললেই তারা জড়সড় হযেে? প্রসঙ্গ পরিবর্তন করেন। ডিমলার সচেতন মহলের প্রশ্ন? অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির ক্ষমতার উৎস কোথায় আর কোন ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা পর্দার আড়ালে থেকে অবৈধ কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ডিমলা বাসীর দাবী, পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির দুর্দান্ত ক্ষমতার দাপট গুড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের সরকারের প্রচলিত আইন যথাযথ প্রয়োগ করে দ্রুততম সময়ে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে স্থানীয় প্রশাসন।
উপজেলার তিস্তা নদীর ডানতীর ভাঙ্গন রোধ সহ তিস্তা বিধৌত এলাকা তীর রক্ষায় প্রতিবছর শতশত কোটি টাকা সরকারের খরচ করছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পউবো) কর্তৃপক্ষ। ভাঙ্গন রোধে প্রচুর পরিমাণ সরকারের অর্থ খরচ করলেও প্রতিবছর নতুন নতুন এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তিস্তা নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি তিস্তার চ্যানেল তৈরি হয়ে খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোট খাতা সুপরিটরি গ্রামের শত শত একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গিয়ে নতুন নদীর সৃষ্টি হয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে । কার্যত তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের বাঁচাতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে তেমন একটা কার্যকরী সুফল হচ্ছে না।
উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৬ টি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। তিস্তা নদীর দুই পাড়ের গ্রামগুলো নদীভাঙনের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে । ভাঙন এলাকায় শ্যলো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছে এলাকার একাধিক প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় শ্রমিকরা । নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার , চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনে প্রায় ১৫ টি প্রভাবশালী চক্র জড়িত রয়েছে ।
তিস্তা ব্যারেজের উজানে তেলির বাজার, ছোটখাতা ও ভাটিতে ডালিয়া বাইশপুকুর এলাকায় দেখা যায়, শ্রমিকেরা বেলচা, কোদাল ও শাবল ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করে অন্তত অর্ধশতাধিক নৌকায় বোঝাই করেছেন। পরে সে সব পাথর বিক্রির জন্য ট্রাক্ট্ররে করে নিয়ে যাওয়া হয় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে তিস্তা সেচনালার ধারে স্তুুপ করার জন্য । অনেকটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায়।
পাথর উত্তোলনকারীরা জানান, নৌকা চলন্ত অবস্থায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত পাখা দিয়ে নদীর তলদেশের বালু সরিয়ে পাথর তুলে পানির ওপরে নিয়ে আসা হয় । এভাবেই নদীর বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক সক্রিয় টিম পাথর উত্তোলন করছে। উত্তোলিত পাথর ৪০-৫০ টাকা সিএফটি দরে স্থানীয় সিন্ডিকেটটি ক্রয় করে জমজমাট ব্যবসা করে আসছে। আর সিন্ডিকেডটি এসব পাথর চরা মূল্যে ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি করে পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের কাছে বলে জানান পাথর শ্রমিকরা। নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বলছেন, অবৈধভাবে পাথর-বালু উত্তোলণ করে অনেকেই কোটিপতি হয়েছেন। কিন্তু আমরা নি:স্ব সর্বস্বান্ত হয়েিেছ । আমাদের বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে।
তবে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সালামত ফকির ও শাখা কর্মকর্তা মোঃ হাসেম আলী জানান, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর ডানতীর ভাঙ্গন রোধে ইতিমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের উজানে ও ভাটিতে একাধিক ভাঙ্গন স্থানে ৬ টি প্যাকেজের মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলি অমিতাভ চৌধুরী বলেন , নদীর বালু,পাথর উত্তোলন বন্ধ করার দায়-দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের । আমাদের কাজ হল তিস্তা নদীর তীর সংরক্ষণ ও ভাঙ্গন রোধ করা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান জানান , তিস্তা নদী বা মাটির তলদেশ থেকে পাথর উত্তোলনের আইনগতভাবে কোন সুযোগ নেই । অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন বন্ধে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বিপুল পরিমাণ পাথর জব্দ করা হয়েছে। অভিযান চলমান আছে।