শিবালয় (মানিকগঞ্জ) : পুলিশের বিচার চেয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
পুলিশি হয়রানির অভিযোগে শিবালয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছে এক যুবক। একই কারণে ঐ যুবকের পক্ষে এলাকাবাসী পুলিশের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন এবং জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগও করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের ধুতরাবাড়ী গ্রামে ।
এলাকাবাসী বলেন, বসতবাড়ির জমি সংক্রান্ত বিষয়ে রফিকুল ইসলামের বড় ভাইয়ের স্ত্রী সালমা আক্তার রফিকের বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ তদন্ত না করেই পুলিশ গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রফিককে থানায় ডেকে তার কোন কথা না শুনেই তার পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এতে সে রাজি না হলে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ ও মারধরের ভয়সহ নানাবিধ হুমকি দিয়ে হাজত খানায় আটকে রাখা হয় । সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে রাত গভীরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
বক্তারা আরো বলেছেন, রফিকুল এলাকার ভাল ও সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ। তার ভাবি ছালমা থানা পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এ হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আদালতের দু’টি রায় আমাদের পক্ষে থাকলেও জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রী সালমা আক্তার থানায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর শিবালয় থানার এসআই নুরুল ইসলাম আমাকে ফোন দিয়ে সন্ধ্যায় থানায় ডেকে নিয়ে আমাকে ওসির সাহেবের রুমে বসিয়ে
এবং আমাকে ধমক দিয়ে হাজত খানায় আটকে রাখে। এসময় আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদানসহ মানসিকভাবে নির্যাতন চালায়। তিনি আরো জানান, রাত ১২টার পর হাজত থেকে আবারও ওসির রুমে নিয়ে জোরপূর্বক মুচলেকায় স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে বিকেল ৫টার মধ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। বাড়ি ছেড়ে না গেলে থানা পুুলিশ আমার নামে ১০/১২টি মিথ্যা মামলা ও হাত-পা ভেঙে জেল হাজতে ঢুকিয়ে রাখবে বলেও হুমকি দেন। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে এ বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ করি।
জানা যায়, রফিকুল ছাদে উঠে মাইকে শিবালয় থানার ওসি ও দারোগার নানা ফিরিস্তি তুলে বক্তব্য দিতে থাকেন। সে তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ছাদ থেকে নীচে নামবেন না বলেও ঘোষণা দেয়। মাইকের শব্দে ঘটনাস্থলে উৎসক জনতা ও স্থানীয়রা জড়ো হয়। সেখানে রফিকুলের কথা শুনে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিলে সে ছাদ থেকে নিচে নেমে আসে। এ ঘটনা তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে শিবালয় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেছেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর জামি সংক্রান্ত বিষয়ে সালমা আক্তার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ৮ সেপ্টম্বর এসআই নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সতত্যা পেয়ে অভিযুক্ত রফিকুলকে থানায় আসতে বললে সে সন্ধ্যায় থানায় আসেন। রাতে অভিযোগকারীসহ স্থানীয় জামাতের দুই নেতা বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিমাংসা করবেন বলে আমাকে জানিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলেও দাবি করেন তিনি।
শিবালয় (মানিকগঞ্জ) : পুলিশের বিচার চেয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পুলিশি হয়রানির অভিযোগে শিবালয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছে এক যুবক। একই কারণে ঐ যুবকের পক্ষে এলাকাবাসী পুলিশের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন এবং জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগও করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের ধুতরাবাড়ী গ্রামে ।
এলাকাবাসী বলেন, বসতবাড়ির জমি সংক্রান্ত বিষয়ে রফিকুল ইসলামের বড় ভাইয়ের স্ত্রী সালমা আক্তার রফিকের বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ তদন্ত না করেই পুলিশ গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রফিককে থানায় ডেকে তার কোন কথা না শুনেই তার পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এতে সে রাজি না হলে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ ও মারধরের ভয়সহ নানাবিধ হুমকি দিয়ে হাজত খানায় আটকে রাখা হয় । সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে রাত গভীরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
বক্তারা আরো বলেছেন, রফিকুল এলাকার ভাল ও সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ। তার ভাবি ছালমা থানা পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এ হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আদালতের দু’টি রায় আমাদের পক্ষে থাকলেও জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রী সালমা আক্তার থানায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর শিবালয় থানার এসআই নুরুল ইসলাম আমাকে ফোন দিয়ে সন্ধ্যায় থানায় ডেকে নিয়ে আমাকে ওসির সাহেবের রুমে বসিয়ে
এবং আমাকে ধমক দিয়ে হাজত খানায় আটকে রাখে। এসময় আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদানসহ মানসিকভাবে নির্যাতন চালায়। তিনি আরো জানান, রাত ১২টার পর হাজত থেকে আবারও ওসির রুমে নিয়ে জোরপূর্বক মুচলেকায় স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে বিকেল ৫টার মধ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। বাড়ি ছেড়ে না গেলে থানা পুুলিশ আমার নামে ১০/১২টি মিথ্যা মামলা ও হাত-পা ভেঙে জেল হাজতে ঢুকিয়ে রাখবে বলেও হুমকি দেন। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে এ বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ করি।
জানা যায়, রফিকুল ছাদে উঠে মাইকে শিবালয় থানার ওসি ও দারোগার নানা ফিরিস্তি তুলে বক্তব্য দিতে থাকেন। সে তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ছাদ থেকে নীচে নামবেন না বলেও ঘোষণা দেয়। মাইকের শব্দে ঘটনাস্থলে উৎসক জনতা ও স্থানীয়রা জড়ো হয়। সেখানে রফিকুলের কথা শুনে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিলে সে ছাদ থেকে নিচে নেমে আসে। এ ঘটনা তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে শিবালয় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেছেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর জামি সংক্রান্ত বিষয়ে সালমা আক্তার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ৮ সেপ্টম্বর এসআই নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সতত্যা পেয়ে অভিযুক্ত রফিকুলকে থানায় আসতে বললে সে সন্ধ্যায় থানায় আসেন। রাতে অভিযোগকারীসহ স্থানীয় জামাতের দুই নেতা বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিমাংসা করবেন বলে আমাকে জানিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলেও দাবি করেন তিনি।