ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যৌতুক না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে। হত্যার প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হারাগাছ পৌরসভার গোল্ডেন মোড়ে নিহতের সহপাঠিসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ মানববন্ধন করেন। ওই হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। হত্যার সাত দিনেও আসামি গ্রেপ্তার করেনি থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রংপুর মেট্রোপলিটনের হারাগাছ থানার ঠাকুরদাস গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে আয়েশা পারভীন সুখীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়, জেলার কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল মিয়ার সাথে। গৃহবধূ আয়েশা পারভীন সুখী হারাগাছের ধুমেরপাড় সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। বিয়ের পর হতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশলে জুয়েল আয়েশার বাবার নিকট হতে যৌতুকের টাকা নেন। সাম্প্রতিক সময়ে নিহতের স্বামী জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পাড়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর আয়েশা পারভীন সুখীকে হত্যা করা হয় বলে এজাহার সূত্রে জানা যায়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে হারাগাছায় পৌরসভার গোল্ডেন মোড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, স্বজন ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেন। মানব বন্ধনে সুখীর বাবা আবুল হোসেন জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে তার মেয়ে জামাই জুয়েল মিয়ার বড় ভাই জসিম ফোন করে তাকে জানায়, তাওয়ই, আপনার সুখী মারা গেছে। এ সংবাদ শোনার পর তিনি তার দুই ছেলে সাহেব আলী ও আরমানকে সেখানে পাঠান। তারা গিয়ে দেখতে পান, সুখীর লাশ মাটিতে পড়ে আছে। পরবর্তীতে আবুল হোসেন নিজেও ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আমার মেয়ে যদি সত্যিই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে আমরা আসার আগেই কেন লাশ মাটিতে নামানো হলো? আবুল হোসেনের অভিযোগ তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ শাহ্ বলেন, সুখি হত্যার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অভিযান চলমান রয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যৌতুক না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে। হত্যার প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হারাগাছ পৌরসভার গোল্ডেন মোড়ে নিহতের সহপাঠিসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ মানববন্ধন করেন। ওই হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। হত্যার সাত দিনেও আসামি গ্রেপ্তার করেনি থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রংপুর মেট্রোপলিটনের হারাগাছ থানার ঠাকুরদাস গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে আয়েশা পারভীন সুখীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়, জেলার কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল মিয়ার সাথে। গৃহবধূ আয়েশা পারভীন সুখী হারাগাছের ধুমেরপাড় সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। বিয়ের পর হতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশলে জুয়েল আয়েশার বাবার নিকট হতে যৌতুকের টাকা নেন। সাম্প্রতিক সময়ে নিহতের স্বামী জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পাড়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর আয়েশা পারভীন সুখীকে হত্যা করা হয় বলে এজাহার সূত্রে জানা যায়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে হারাগাছায় পৌরসভার গোল্ডেন মোড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, স্বজন ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেন। মানব বন্ধনে সুখীর বাবা আবুল হোসেন জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে তার মেয়ে জামাই জুয়েল মিয়ার বড় ভাই জসিম ফোন করে তাকে জানায়, তাওয়ই, আপনার সুখী মারা গেছে। এ সংবাদ শোনার পর তিনি তার দুই ছেলে সাহেব আলী ও আরমানকে সেখানে পাঠান। তারা গিয়ে দেখতে পান, সুখীর লাশ মাটিতে পড়ে আছে। পরবর্তীতে আবুল হোসেন নিজেও ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আমার মেয়ে যদি সত্যিই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে আমরা আসার আগেই কেন লাশ মাটিতে নামানো হলো? আবুল হোসেনের অভিযোগ তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ শাহ্ বলেন, সুখি হত্যার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অভিযান চলমান রয়েছে।