নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রাতের আধাঁরে বালু দিয়ে ভরাট করে নদী দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আঃ রউফ ও জলিল নামের বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে। আষাঢ়ীয়ার চর এলাকায় তারা নিজের ও কোম্পানীর জমিতে বালু ভরাটের বাহানায় মারীখালী নদী ও সরকারি জায়গা দখল করছে। নদীতে বালু ভরাটের কারণে বন্ধ হতে চলেছে নৌ চলাচল।
বিএনপির এই দুই নেতার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ও তার আপন ভাই পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল পিরোজপুর ইউপির আষাঢ়ীয়ারচর এলাকায় মারীখালি নদী ও সরকারী জমিতে রাতের আঁধারে ড্রেজারের মাধমে বালু ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে।
আওয়ামী সরকার পতনের পর তারা দুই ভাই বেপরোয়া হয়ে উঠে। সম্প্রতি তারা আল মোস্তফা নামের একটি কোম্পানিকে বালু ভরাট করে দেয়ার নামে মেঘনা নদীর শাখা মারীখালী নদী ও সংলগ্ন সরকারি জমিতে রাতের আঁধারে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আষাঢ়ীয়ারচর, ঝাউচর, প্রতাপেরচর, নয়াগাঁও, ইসলামপুর, ছয়হিস্যা ও কান্দারগাঁওসহ আশপাশের গ্রামগুলোর অনেক পরিবার এই নদীতে নৌকা দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও আসবাবপত্র নৌকা মাধ্যমে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে স্থানান্তরে চলাচলের নদীপথ হচ্ছে আষাঢ়ীয়ারচর এলাকার এই মারীখালী নদী। এই নদীতে বালু ভরাটের কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও কয়েকজনের জমিতেও বালু ভরাট করা হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, রাতের আঁধারে মেঘনা নদীর নলচর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মানুষের ঘুমের ব্যঘাত ঘটিয়ে তারা বালু ভরাট করছে। তাদের রয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। এই দুই নেতার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ এমনকি কথা বলার সাহসও পায়না।
এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ রউফ বলেন, এখানে কোন নদীর জায়গা নেই। আমার নিজের জায়গা ও কোম্পানির কেনা জমিতে বালু ভরাট করা হয়েছে। নদী আমরা ভরাট করছিনা।
এদিকে নদী দখলের অভিযোগে বালু ভরাট কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিকুর রহমান জানান, সরকারি খাস সম্পত্তি ও নদীর জায়গা কাউকে দখল করতে দেয়া হবে না। দখলের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রাতের আধাঁরে বালু দিয়ে ভরাট করে নদী দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আঃ রউফ ও জলিল নামের বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে। আষাঢ়ীয়ার চর এলাকায় তারা নিজের ও কোম্পানীর জমিতে বালু ভরাটের বাহানায় মারীখালী নদী ও সরকারি জায়গা দখল করছে। নদীতে বালু ভরাটের কারণে বন্ধ হতে চলেছে নৌ চলাচল।
বিএনপির এই দুই নেতার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ও তার আপন ভাই পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল পিরোজপুর ইউপির আষাঢ়ীয়ারচর এলাকায় মারীখালি নদী ও সরকারী জমিতে রাতের আঁধারে ড্রেজারের মাধমে বালু ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে।
আওয়ামী সরকার পতনের পর তারা দুই ভাই বেপরোয়া হয়ে উঠে। সম্প্রতি তারা আল মোস্তফা নামের একটি কোম্পানিকে বালু ভরাট করে দেয়ার নামে মেঘনা নদীর শাখা মারীখালী নদী ও সংলগ্ন সরকারি জমিতে রাতের আঁধারে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আষাঢ়ীয়ারচর, ঝাউচর, প্রতাপেরচর, নয়াগাঁও, ইসলামপুর, ছয়হিস্যা ও কান্দারগাঁওসহ আশপাশের গ্রামগুলোর অনেক পরিবার এই নদীতে নৌকা দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও আসবাবপত্র নৌকা মাধ্যমে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে স্থানান্তরে চলাচলের নদীপথ হচ্ছে আষাঢ়ীয়ারচর এলাকার এই মারীখালী নদী। এই নদীতে বালু ভরাটের কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও কয়েকজনের জমিতেও বালু ভরাট করা হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, রাতের আঁধারে মেঘনা নদীর নলচর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মানুষের ঘুমের ব্যঘাত ঘটিয়ে তারা বালু ভরাট করছে। তাদের রয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। এই দুই নেতার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ এমনকি কথা বলার সাহসও পায়না।
এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ রউফ বলেন, এখানে কোন নদীর জায়গা নেই। আমার নিজের জায়গা ও কোম্পানির কেনা জমিতে বালু ভরাট করা হয়েছে। নদী আমরা ভরাট করছিনা।
এদিকে নদী দখলের অভিযোগে বালু ভরাট কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিকুর রহমান জানান, সরকারি খাস সম্পত্তি ও নদীর জায়গা কাউকে দখল করতে দেয়া হবে না। দখলের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।