এবার কুয়াকাটায় জেলের জালে উঠে এসেছে এক বিশাল মাছ, যাকে বলা হয় ট্রেভ্যালি ফিশ বা তবলা মাছ। যার ওজন ৩০ কেজি। মাছটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরে।
জানা গেছে, শুক্রবার, (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়ে এই তবলা মাছ। পরে মাছটি ধরা পড়ার পর মহিপুর মৎস্য বন্দরে নিয়ে আসেন এক জেলে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। এ সময় মাছটিকে এক নজর দেখতে হই রই করতে করতে লোকজন ছুটে আসে।
কুয়াকাটা অঞ্চলে এটি ‘তবলা’ ‘বগা’ কিংবা ‘খাঁদিয়া’ মাছ নামেও পরিচিত
নিলামে মাছটি বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার টাকায়
তবলা মাছ স্থানীয়ভাবে ‘ট্রেভ্যালি ফিশ’ নামে পরিচিত। মাছটি খুবই সুস্বাদু, প্রোটিনসমৃদ্ধ। সবচেয়ে বড় কথা, এই মাছের কাঁটা কম থাকে বলে ভোজন রসিকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
কুয়াকাটা অঞ্চলে এটি ‘তবলা’ ‘বগা’ কিংবা ‘খাঁদিয়া’ মাছ নামেও পরিচিত।
ধরা পড়া মাছটির ওজন প্রায় ৩০ কেজি। বাজারে নিলামে মাছটি বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার টাকায়। প্রতি কেজি মাছের দাম ৮০০ টাকা। কারণ এ অঞ্চলে মাছটির তেমন চাহিদা নেই।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র এলাকায় এই প্রজাতির মাছ সচরাচর পাওয়া গেলেও এত বড় আকারের মাছ খুব একটা ধরা পড়ে না। তাই মাছটি দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করলেও নেই ক্রেতা।
এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, জেলের জালে যে মাছটি পাওয়া গিয়েছে এটি ক্যারেনজিট ফ্যামিলির ফ্যাজেলি জাতীয় একটি মাছ। মূলত: এ জাতীয় মাছ আকারে অনেক বড় হয়। মাছটি অনেক সুস্বাদু। এটির অর্থনৈতিক গুরুত্বও রয়েছে অনেক। আশা করছি, এ জাতীয় জেলেদের জালে বেশি বেশি ধরা পড়বে।
এসব মাছ আহরণের মাধ্যমে জেলেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলেও মনে করেন এই মৎস্য কর্মকর্তা।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বরও কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে দুই কেজি ৫শ’ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ উঠে আসে স্থানীয় জেলের জালে। গত জুলাই মাস থেকে প্রায়শই কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বড় বড় মাছ পাচ্ছেন জেলেরা। বিষয়টিকে আশাব্যঞ্জক হিসেবেই দেখছে মৎস্য কর্মকর্তারা। দেখা যাচ্ছে, গভীর সমুদ্রের জেলেদের পাশাপাশি উপকূলের জেলেরাও এখন বড় ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাচ্ছেন।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, মাছ ধরায় ৬০ দিনের অবরোধ সঠিকভাবে পালন হওয়ায় সাগরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যে কিছুদিন বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা ঠিকমতো মাছ ধরতে পারেনি। তবে এখন মাছের পরিমাণও বেড়েছে, আবহাওয়া ঠিক থাকায় জেলেরা মাছও ধরতে পারছে। তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারে মাছের দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি দরকার বলে মনে করেন ক্রেতারা।
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এবার কুয়াকাটায় জেলের জালে উঠে এসেছে এক বিশাল মাছ, যাকে বলা হয় ট্রেভ্যালি ফিশ বা তবলা মাছ। যার ওজন ৩০ কেজি। মাছটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরে।
জানা গেছে, শুক্রবার, (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়ে এই তবলা মাছ। পরে মাছটি ধরা পড়ার পর মহিপুর মৎস্য বন্দরে নিয়ে আসেন এক জেলে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। এ সময় মাছটিকে এক নজর দেখতে হই রই করতে করতে লোকজন ছুটে আসে।
কুয়াকাটা অঞ্চলে এটি ‘তবলা’ ‘বগা’ কিংবা ‘খাঁদিয়া’ মাছ নামেও পরিচিত
নিলামে মাছটি বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার টাকায়
তবলা মাছ স্থানীয়ভাবে ‘ট্রেভ্যালি ফিশ’ নামে পরিচিত। মাছটি খুবই সুস্বাদু, প্রোটিনসমৃদ্ধ। সবচেয়ে বড় কথা, এই মাছের কাঁটা কম থাকে বলে ভোজন রসিকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
কুয়াকাটা অঞ্চলে এটি ‘তবলা’ ‘বগা’ কিংবা ‘খাঁদিয়া’ মাছ নামেও পরিচিত।
ধরা পড়া মাছটির ওজন প্রায় ৩০ কেজি। বাজারে নিলামে মাছটি বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার টাকায়। প্রতি কেজি মাছের দাম ৮০০ টাকা। কারণ এ অঞ্চলে মাছটির তেমন চাহিদা নেই।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র এলাকায় এই প্রজাতির মাছ সচরাচর পাওয়া গেলেও এত বড় আকারের মাছ খুব একটা ধরা পড়ে না। তাই মাছটি দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করলেও নেই ক্রেতা।
এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, জেলের জালে যে মাছটি পাওয়া গিয়েছে এটি ক্যারেনজিট ফ্যামিলির ফ্যাজেলি জাতীয় একটি মাছ। মূলত: এ জাতীয় মাছ আকারে অনেক বড় হয়। মাছটি অনেক সুস্বাদু। এটির অর্থনৈতিক গুরুত্বও রয়েছে অনেক। আশা করছি, এ জাতীয় জেলেদের জালে বেশি বেশি ধরা পড়বে।
এসব মাছ আহরণের মাধ্যমে জেলেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলেও মনে করেন এই মৎস্য কর্মকর্তা।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বরও কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে দুই কেজি ৫শ’ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ উঠে আসে স্থানীয় জেলের জালে। গত জুলাই মাস থেকে প্রায়শই কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বড় বড় মাছ পাচ্ছেন জেলেরা। বিষয়টিকে আশাব্যঞ্জক হিসেবেই দেখছে মৎস্য কর্মকর্তারা। দেখা যাচ্ছে, গভীর সমুদ্রের জেলেদের পাশাপাশি উপকূলের জেলেরাও এখন বড় ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাচ্ছেন।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, মাছ ধরায় ৬০ দিনের অবরোধ সঠিকভাবে পালন হওয়ায় সাগরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যে কিছুদিন বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা ঠিকমতো মাছ ধরতে পারেনি। তবে এখন মাছের পরিমাণও বেড়েছে, আবহাওয়া ঠিক থাকায় জেলেরা মাছও ধরতে পারছে। তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারে মাছের দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি দরকার বলে মনে করেন ক্রেতারা।