ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২৪৫ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৬ হাজার ৯২৭ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেলেও যারা বাসা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের হিসাব জানা গেলে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে মশার কামড়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ অন্যান্য রোগ ছড়ায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশালে ৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৬ জন, ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, ঢাকা উত্তরে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৬৭ জন, ময়মনসিংহে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছরের শিশু থেকে ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধও রয়েছে। হাসপাতালের তথ্যমতে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৪১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১০ জন, সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১৯ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৬২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১১৬ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ৫৫৭ জন ভর্তি আছে। আর সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ১৭৫৩ জন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ভর্তি আছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক কবিরুল বাসার তার এই প্রতিবেদনে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষ এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে।
মশবাহিত রোগ হাজারো বছর ধরে মানুষের ইতিহাসে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। উনিশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কেউই বুঝতে পারেনি যে, মশা রোগের ভেক্টর ছিল।
প্রথম সাফল্য ১৮৭৭ সালে যখন ব্রিটিশ ডাক্তার প্যাট্রিক ম্যানসন আবিষ্কার করেছিলেন যে, একটি কিউলেক্স প্রজাতির মশা মানুষের ফাইলেরিয়াল রাউন্ডওয়ার্ম বহন করতে পারে।
পরবর্তী দুই দশকে তিনি এবং ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য গবেষক ম্যালেরিয়া গবেষণায় মনোনিবেশ করেন, যা গ্রীষ্মকালীন এবং নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোয় একটি প্রধান ঘাতক। তারা আস্তে আস্তে মানুষ ও মশার মধ্যে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ এবং জীববিজ্ঞানের জটিল সমীকরণ বুঝতে শুরু করেন। এরপর বিশেষজ্ঞরা মশা নিয়ে গবেষণা করেন। ১৯৯৮ সালে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন, অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া পরজীবী বহন করতে পারে।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশে ১২৬ প্রজাতির মশা শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে ঢাকায় ১৪-১৫ প্রজাতির মশা রয়েছে। বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু। থেমে থেমে বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেশি। তবে আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে শীত পড়তে শুরু করলে মশার উপদ্রব কিছুটা কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২৪৫ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৬ হাজার ৯২৭ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেলেও যারা বাসা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের হিসাব জানা গেলে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে মশার কামড়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ অন্যান্য রোগ ছড়ায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশালে ৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৬ জন, ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, ঢাকা উত্তরে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৬৭ জন, ময়মনসিংহে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছরের শিশু থেকে ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধও রয়েছে। হাসপাতালের তথ্যমতে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৪১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১০ জন, সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১৯ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৬২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১১৬ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ৫৫৭ জন ভর্তি আছে। আর সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ১৭৫৩ জন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ভর্তি আছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক কবিরুল বাসার তার এই প্রতিবেদনে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষ এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে।
মশবাহিত রোগ হাজারো বছর ধরে মানুষের ইতিহাসে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। উনিশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কেউই বুঝতে পারেনি যে, মশা রোগের ভেক্টর ছিল।
প্রথম সাফল্য ১৮৭৭ সালে যখন ব্রিটিশ ডাক্তার প্যাট্রিক ম্যানসন আবিষ্কার করেছিলেন যে, একটি কিউলেক্স প্রজাতির মশা মানুষের ফাইলেরিয়াল রাউন্ডওয়ার্ম বহন করতে পারে।
পরবর্তী দুই দশকে তিনি এবং ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য গবেষক ম্যালেরিয়া গবেষণায় মনোনিবেশ করেন, যা গ্রীষ্মকালীন এবং নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোয় একটি প্রধান ঘাতক। তারা আস্তে আস্তে মানুষ ও মশার মধ্যে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ এবং জীববিজ্ঞানের জটিল সমীকরণ বুঝতে শুরু করেন। এরপর বিশেষজ্ঞরা মশা নিয়ে গবেষণা করেন। ১৯৯৮ সালে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন, অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া পরজীবী বহন করতে পারে।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশে ১২৬ প্রজাতির মশা শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে ঢাকায় ১৪-১৫ প্রজাতির মশা রয়েছে। বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু। থেমে থেমে বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেশি। তবে আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে শীত পড়তে শুরু করলে মশার উপদ্রব কিছুটা কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।