ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ঘিরে শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ঘটে গেল এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। রামু বনাম টেকনাফের বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচ দেখতে ভিড় জমায় হাজারো দর্শক। কিন্তু শুরুতে টিকেট সংকট আর কালোবাজারির অভিযোগই মুহূর্তে আনন্দঘন পরিবেশকে রূপ দেয় চরম বিশৃঙ্খলায়।
দর্শকদের অভিযোগ, সাধারণ আসনের ৫০ টাকার টিকেট একশ্রেণীর দালালের হাতে চলে যায়। পরে সেই টিকেট বিক্রি হয় ৫০০ টাকায়। এতে মাঠে ঢুকতে না পেরে ক্ষুব্ধ দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। গ্যালারিতে ভাঙচুর ও জোরপূর্বক মাঠে প্রবেশের চেষ্টা হয়। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা হস্তক্ষেপ করেন। তবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের কয়েকজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অসীম কুমার দাশ জানান, আহতদের মধ্যে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রয়েছেন।
ঘটনার সময় গ্যালারি, আসন ও কাচপত্র ভাঙচুর হয়। সাময়িকভাবে খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন আয়োজকরা। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই স্টেডিয়াম এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। টিকেট কালোবাজারি ও বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশের খেলাধুলায় দর্শকের আগ্রহ যেমন বাড়ছে, তেমনি বেড়েছে মাঠ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, নিরাপত্তার ঘাটতি আর টিকেট কালোবাজারির মতো অনিয়ম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কক্সবাজারের ঘটনা শুধু একটি উদাহরণ; সঠিক ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। খেলাকে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বাসকে যেন কেউই অব্যবস্থাপনার সুযোগ না নেয়, এমন প্রত্যাশাই এখন ক্রীড়াপ্রেমীদের।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ঘিরে শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ঘটে গেল এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। রামু বনাম টেকনাফের বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচ দেখতে ভিড় জমায় হাজারো দর্শক। কিন্তু শুরুতে টিকেট সংকট আর কালোবাজারির অভিযোগই মুহূর্তে আনন্দঘন পরিবেশকে রূপ দেয় চরম বিশৃঙ্খলায়।
দর্শকদের অভিযোগ, সাধারণ আসনের ৫০ টাকার টিকেট একশ্রেণীর দালালের হাতে চলে যায়। পরে সেই টিকেট বিক্রি হয় ৫০০ টাকায়। এতে মাঠে ঢুকতে না পেরে ক্ষুব্ধ দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। গ্যালারিতে ভাঙচুর ও জোরপূর্বক মাঠে প্রবেশের চেষ্টা হয়। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা হস্তক্ষেপ করেন। তবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের কয়েকজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অসীম কুমার দাশ জানান, আহতদের মধ্যে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রয়েছেন।
ঘটনার সময় গ্যালারি, আসন ও কাচপত্র ভাঙচুর হয়। সাময়িকভাবে খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন আয়োজকরা। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই স্টেডিয়াম এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। টিকেট কালোবাজারি ও বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশের খেলাধুলায় দর্শকের আগ্রহ যেমন বাড়ছে, তেমনি বেড়েছে মাঠ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, নিরাপত্তার ঘাটতি আর টিকেট কালোবাজারির মতো অনিয়ম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কক্সবাজারের ঘটনা শুধু একটি উদাহরণ; সঠিক ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। খেলাকে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বাসকে যেন কেউই অব্যবস্থাপনার সুযোগ না নেয়, এমন প্রত্যাশাই এখন ক্রীড়াপ্রেমীদের।