বরগুনার বেতাগী উপজেলার বদনীখালী খেয়াঘাট দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনায় পড়ে রয়েছে। উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের বদনীখালী এবং বামনা উপজেলার সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের প্রধান যাতায়াত মাধ্যম এই খেয়াঘাট। প্রতিদিন শত শত যাত্রী, শিক্ষার্থী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ এ ঘাট ব্যবহার করে উপজেলা শহরে যাতায়াত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খেয়াঘাটটি এখন যাত্রীদের জন্য ভোগান্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক, সংবাদের বেতাগী প্রতিনিধি লিটন কুমার ঢালীকে বলেন, চাকুরি করি বিধায় নিয়মিত এই খেয়াঘাট থেকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘাটে কোনো স্থায়ী সিঁড়ি বা পাকা অবকাঠামো নেই।
ফলে নৌকায় উঠা-নামার সময় যাত্রীদের কাদা ও পানিতে হাঁটু ডুবিয়ে নামতে হয়। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন। বর্ষাকালে পানি বেড়ে গেলে ঘাট প্রায় অচল হয়ে পড়ে। আবার শুষ্ক মৌসুমে নৌকা কাদায় আটকে যায়। এতে প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এই বদনীখালী খেয়াঘাট থেকে নিয়মিত যাতায়াতকারী বামনা বেগম ফজিতুলন্নেছা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. শামীম আহমেদ বলেন, খেয়াঘাটে নেই কোনো ছাউনি, নেই বসার ব্যবস্থা বা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। ফলে রাতে যাত্রীদের অন্ধকারে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। ঘাটের বেহাল অবস্থার কারণে বহুবার যাত্রীরা পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ।
খেয়াঘাটের ট্রলার চালক রাসেল বলেন, আমাগো এসব দুর্ভোগের কথা বলে লাভ নেই। আমরা বেতনভুক্ত কর্মচারি। নদীতে স্রোত বেড়ে গেলে নৌকা ভিড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া শীতের মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় ট্রলার বা নৌকা কাদায় আটকে যায়। এতে নৌকার মাঝি ও যাত্রীরা প্রায়ই বিপাকে পড়েন।
বদনীখালী এলাকার বাসিন্দা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে ঘাট সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের দায়িত্ববান ব্যক্তিরা এখনও কার্যকর উদ্যোগ নেননি। জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার বলেন, বদনীখালী খেয়াঘাটের বেহালদশা নিয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক, বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সংস্কার প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে। খেয়াঘাটের যাত্রীদের সুবিধা বাড়াতে শিগগিরই উদ্যোগ নেয়া হবে।
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বরগুনার বেতাগী উপজেলার বদনীখালী খেয়াঘাট দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনায় পড়ে রয়েছে। উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের বদনীখালী এবং বামনা উপজেলার সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের প্রধান যাতায়াত মাধ্যম এই খেয়াঘাট। প্রতিদিন শত শত যাত্রী, শিক্ষার্থী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ এ ঘাট ব্যবহার করে উপজেলা শহরে যাতায়াত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খেয়াঘাটটি এখন যাত্রীদের জন্য ভোগান্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক, সংবাদের বেতাগী প্রতিনিধি লিটন কুমার ঢালীকে বলেন, চাকুরি করি বিধায় নিয়মিত এই খেয়াঘাট থেকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘাটে কোনো স্থায়ী সিঁড়ি বা পাকা অবকাঠামো নেই।
ফলে নৌকায় উঠা-নামার সময় যাত্রীদের কাদা ও পানিতে হাঁটু ডুবিয়ে নামতে হয়। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন। বর্ষাকালে পানি বেড়ে গেলে ঘাট প্রায় অচল হয়ে পড়ে। আবার শুষ্ক মৌসুমে নৌকা কাদায় আটকে যায়। এতে প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এই বদনীখালী খেয়াঘাট থেকে নিয়মিত যাতায়াতকারী বামনা বেগম ফজিতুলন্নেছা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. শামীম আহমেদ বলেন, খেয়াঘাটে নেই কোনো ছাউনি, নেই বসার ব্যবস্থা বা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। ফলে রাতে যাত্রীদের অন্ধকারে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। ঘাটের বেহাল অবস্থার কারণে বহুবার যাত্রীরা পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ।
খেয়াঘাটের ট্রলার চালক রাসেল বলেন, আমাগো এসব দুর্ভোগের কথা বলে লাভ নেই। আমরা বেতনভুক্ত কর্মচারি। নদীতে স্রোত বেড়ে গেলে নৌকা ভিড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া শীতের মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় ট্রলার বা নৌকা কাদায় আটকে যায়। এতে নৌকার মাঝি ও যাত্রীরা প্রায়ই বিপাকে পড়েন।
বদনীখালী এলাকার বাসিন্দা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে ঘাট সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের দায়িত্ববান ব্যক্তিরা এখনও কার্যকর উদ্যোগ নেননি। জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার বলেন, বদনীখালী খেয়াঘাটের বেহালদশা নিয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক, বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সংস্কার প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে। খেয়াঘাটের যাত্রীদের সুবিধা বাড়াতে শিগগিরই উদ্যোগ নেয়া হবে।