নওগাঁর বদলগাছীতে এক হিন্দুর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রধারী ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনদের জিম্মি করে আলমারি ও শোকেস ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল ফোনসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এদিকে ডাকাতির ঘটনায় ঐ গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের বেলায় পর্যাপ্ত টহল না থাকায় এসব ঘটনা ঘটছে
দ্রুত ডাকাতদলকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি গ্রামবাসীর
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া নামক গ্রামের হিন্দু পরিবার পলাশ চন্দ্রের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই বদলগাছী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত দেড়টার দিকে ৮/১০ জনের একটি ডাকাতদল পলাশের বাড়ির প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনসহ ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
ডাকাতির সময় পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করতে চাইলে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান পলাশ চন্দ্র বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কয়েকজন ব্যক্তি আমার দরজার কাছে এসে আমরা পুলিশের লোক থানা থেকে এসেছি বলে ডাকতে থাকে। তাদের কথা শুনে আমি ঘরের দরজা খুলে বারান্দায় পা দিতেই, তারা আমাকে ধারালো হাসুয়া গলায় ধরে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর আমার স্ত্রী ও ছেলেকে অস্ত্র ধরে জিম্মি করে ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ ১৫ হাজার টাকা, ৪ ভরি সোনা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।
এরপর ডাকাতরা আমার স্ত্রীকে দিয়ে ছোট ভাই ও তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। তারা ঘরের দরজা খুলতেই তাদেরকে একইভাবে অস্ত্র ধরে জিম্মি করে তাদের ঘরের শোকেস ভেঙে ৬ ভরি স্বর্ণালংকারসহ আমাদের দুই ভাইয়ের মোট ১০ ভরি সোনা ডাকাতরা লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী একই পরিবারের (ছোট ভাই) পবিত্র বলেন, কয়েকমাস আগে আমি বিয়ে করেছি। এসব স্বর্ণালংকার আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে উপহার পেয়েছিলাম। একেবারে আমি নিঃশেষ হয়ে গেলাম।
এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের বেলায় পর্যাপ্ত টহল না থাকায় এসব ঘটনা ঘটছে।
বদলগাছী থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আজ সকালে পুলিশ সুপার সামিউল সারোয়ার স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। ডাকাতদের শনাক্ত করতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।
পুলিশ সুপার সামিউল সারোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডাকাত দল দেয়াল টপকে বাড়িতে ঢুকে। ডাকাত ধরার জন্য আমরা অলরেডি অপারেশন শুরু করেছি।
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নওগাঁর বদলগাছীতে এক হিন্দুর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রধারী ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনদের জিম্মি করে আলমারি ও শোকেস ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল ফোনসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এদিকে ডাকাতির ঘটনায় ঐ গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের বেলায় পর্যাপ্ত টহল না থাকায় এসব ঘটনা ঘটছে
দ্রুত ডাকাতদলকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি গ্রামবাসীর
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া নামক গ্রামের হিন্দু পরিবার পলাশ চন্দ্রের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই বদলগাছী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত দেড়টার দিকে ৮/১০ জনের একটি ডাকাতদল পলাশের বাড়ির প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনসহ ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
ডাকাতির সময় পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করতে চাইলে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান পলাশ চন্দ্র বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কয়েকজন ব্যক্তি আমার দরজার কাছে এসে আমরা পুলিশের লোক থানা থেকে এসেছি বলে ডাকতে থাকে। তাদের কথা শুনে আমি ঘরের দরজা খুলে বারান্দায় পা দিতেই, তারা আমাকে ধারালো হাসুয়া গলায় ধরে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর আমার স্ত্রী ও ছেলেকে অস্ত্র ধরে জিম্মি করে ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ ১৫ হাজার টাকা, ৪ ভরি সোনা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।
এরপর ডাকাতরা আমার স্ত্রীকে দিয়ে ছোট ভাই ও তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। তারা ঘরের দরজা খুলতেই তাদেরকে একইভাবে অস্ত্র ধরে জিম্মি করে তাদের ঘরের শোকেস ভেঙে ৬ ভরি স্বর্ণালংকারসহ আমাদের দুই ভাইয়ের মোট ১০ ভরি সোনা ডাকাতরা লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী একই পরিবারের (ছোট ভাই) পবিত্র বলেন, কয়েকমাস আগে আমি বিয়ে করেছি। এসব স্বর্ণালংকার আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে উপহার পেয়েছিলাম। একেবারে আমি নিঃশেষ হয়ে গেলাম।
এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের বেলায় পর্যাপ্ত টহল না থাকায় এসব ঘটনা ঘটছে।
বদলগাছী থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আজ সকালে পুলিশ সুপার সামিউল সারোয়ার স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। ডাকাতদের শনাক্ত করতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।
পুলিশ সুপার সামিউল সারোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডাকাত দল দেয়াল টপকে বাড়িতে ঢুকে। ডাকাত ধরার জন্য আমরা অলরেডি অপারেশন শুরু করেছি।