সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : মওলানা ভাসানী সেতুর রাতের দৃশ্য। ছবিটি গতকাল তোলা -সংবাদ
অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ একমাস পর মওলানা ভাসানী সেতুর ল্যাম্পপোষ্ট আলো জ্বলতে শুরু করেছে।সেতু কর্তৃপক্ষ টানা এক সপ্তাহ ধরে কাজ করে ল্যাম্পপোষ্টের চুরি হওয়া তার পুনঃসংযোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার হতে আলো জ্বালাতে শুরু করেছেন। সেতুর দুই পাড়ের ব্যবসায়ী, পথচারী ও এলাকাবাসীরা অনেকটা খুশি। নির্বিঘ্নে সারা রাত চলাচল করছেন পথচারীগণ। উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চুরি হওয়া তার পুনঃরায় সংযোগ দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হতে ল্যাম্পপোষ্টে আলো জ্বলতে শুরু করেছে। তবে ত্রুটি জনিত কারনে ৪৫টি লাইটে এখনো আলো জ্বালানো সম্ভব হয়নি। কাজ চলছে, অল্প সময়ের মধ্যে ঠিক হে যাবে। ২০ আগষ্ট খুলে দেয়া হয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চিলমারি তিস্তা নদীর ওপর মওলানা ভাসানী সেতু। উদ্বোধনের দিন দিবাগত রাতে চুরি হয় সেতুর ল্যাম্পপোষ্টের তার। সে কারনে দীর্ঘ এক মাস বন্ধ ছিল লাইটিং ব্যবস্থা। এছাড়া গত ১ সেপ্টেম্বর হতে সেতুর হরিপুর এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। রংপুর আরআরএফ এর ১৫ জন পুলিশ সদস্য সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় দিন রাত টহল দিচ্ছেন। উপজেলার পাঁচপীর বাজারস্থ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এস এ এস এর নিবার্হী পরিচালক এ বি এম নূরুল আকতার মজনু বলেন, ল্যাম্পপোষ্টে আলো জ্বালায় রাতে সেতুর দৃশ্যটি অনেক চমৎকার হয়ে উঠেছে। পথচারীগণ নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন। সেতুর দুই পাড়ের দোকানপাটগুলো এখন সারা রাত ধরে খোলা পাওয়া যাচ্ছে। সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত টহল পুলিশের ইনচার্জ এএসআই মো. মামুন মিয়া বলেন, রাতে টহল দিতে আর কোন সমস্যা হচ্ছে না। ল্যাম্পপোষ্টে আলো জ্বালায় সেতু এলাকার রাতের অবস্থান দিনের মত হয়েছে। ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওফিড) অর্থায়েন এলজিইডির বাস্তবায়েন সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেতুতে মোট ৩১টি স্প্যান রয়েছে। সংযোগ সড়ক ও নদীশাসনসহ প্রকল্পে প্রায় ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক করা হয়েছে ৮৬ কিলোমিটার।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : মওলানা ভাসানী সেতুর রাতের দৃশ্য। ছবিটি গতকাল তোলা -সংবাদ
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ একমাস পর মওলানা ভাসানী সেতুর ল্যাম্পপোষ্ট আলো জ্বলতে শুরু করেছে।সেতু কর্তৃপক্ষ টানা এক সপ্তাহ ধরে কাজ করে ল্যাম্পপোষ্টের চুরি হওয়া তার পুনঃসংযোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার হতে আলো জ্বালাতে শুরু করেছেন। সেতুর দুই পাড়ের ব্যবসায়ী, পথচারী ও এলাকাবাসীরা অনেকটা খুশি। নির্বিঘ্নে সারা রাত চলাচল করছেন পথচারীগণ। উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চুরি হওয়া তার পুনঃরায় সংযোগ দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হতে ল্যাম্পপোষ্টে আলো জ্বলতে শুরু করেছে। তবে ত্রুটি জনিত কারনে ৪৫টি লাইটে এখনো আলো জ্বালানো সম্ভব হয়নি। কাজ চলছে, অল্প সময়ের মধ্যে ঠিক হে যাবে। ২০ আগষ্ট খুলে দেয়া হয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চিলমারি তিস্তা নদীর ওপর মওলানা ভাসানী সেতু। উদ্বোধনের দিন দিবাগত রাতে চুরি হয় সেতুর ল্যাম্পপোষ্টের তার। সে কারনে দীর্ঘ এক মাস বন্ধ ছিল লাইটিং ব্যবস্থা। এছাড়া গত ১ সেপ্টেম্বর হতে সেতুর হরিপুর এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। রংপুর আরআরএফ এর ১৫ জন পুলিশ সদস্য সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় দিন রাত টহল দিচ্ছেন। উপজেলার পাঁচপীর বাজারস্থ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এস এ এস এর নিবার্হী পরিচালক এ বি এম নূরুল আকতার মজনু বলেন, ল্যাম্পপোষ্টে আলো জ্বালায় রাতে সেতুর দৃশ্যটি অনেক চমৎকার হয়ে উঠেছে। পথচারীগণ নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন। সেতুর দুই পাড়ের দোকানপাটগুলো এখন সারা রাত ধরে খোলা পাওয়া যাচ্ছে। সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত টহল পুলিশের ইনচার্জ এএসআই মো. মামুন মিয়া বলেন, রাতে টহল দিতে আর কোন সমস্যা হচ্ছে না। ল্যাম্পপোষ্টে আলো জ্বালায় সেতু এলাকার রাতের অবস্থান দিনের মত হয়েছে। ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওফিড) অর্থায়েন এলজিইডির বাস্তবায়েন সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেতুতে মোট ৩১টি স্প্যান রয়েছে। সংযোগ সড়ক ও নদীশাসনসহ প্রকল্পে প্রায় ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক করা হয়েছে ৮৬ কিলোমিটার।