alt

বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার

প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার) : শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চকরিয়া (কক্সবাজার) : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করছেন জনগণ, (ইনসেটে) রাজাখালী ছনুয়া জলকদর খালের ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকো -সংবাদ

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় রাজাখালী ইউনিয়ন ও পাশের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগকারী জলকদর খালের ওপর ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এখনো মেরামত করা হয়নি। ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। বিশেষ করে নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীকে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, রাজাখালী জলকদর খালের ওপর ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটি গত ২৯ জুন রাতে ভেঙে যায়। আগের বছর আমিরুল হক এমরুল কায়েস নামে এক বাসিন্দার অর্থায়নে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছিল। জলকদর খাল লাগোয়া পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীতে গড়ে উঠেছে বেশারাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা, ফৈজুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ফৈজুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। তারা সাঁকোটি পার হয়ে পেকুয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় নিয়মিত যাতায়াত করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজাখালী ইউনিয়নের ভাঁখালী এলাকায় সাঁকোটির ভাঙা অংশ পড়ে রয়েছে। সাকোঁর পশ্চিমে ডিঙি নৌকায় করে স্থানীয় বাসিন্দারা খাল পার হচ্ছেন। খালের দুই পাড়ে কোনো পাকা সিঁড়ি না থাকায় নৌকায় উঠতে গিয়ে তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

স্কুল ছুটির পর বাড়ী ফেরার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে ফৈজুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিজা মনি বলেন, প্রতিদিন নৌকা নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করি। বৃষ্টি হলে খুব কষ্ট হয়। পোশাকে কাদা লেগে যায়। আলাদা কাপড় নিয়ে অনেক সময় স্কুলে যাই। পানি বাড়লে খাল পার হতে বেশি ভয় লাগে।

রাজাখালী বেশারাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ফাজিল তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে হাফসা বলেন, সাঁকো যখন ছিল, তখন খুব সহজে যাতায়াত করা যেত। প্রতিদিন ক্লাস করা সম্ভব হতো। এখন সাঁকো না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে। এ কারণে নিয়মিত ক্লাস করা সম্ভব হয় না।

ডিঙি নৌকার চালক ওসমান গণি ছনুয়া ইউনিয়নের ছেলবন এলাকার বাসিন্দা। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাল পারাপারের জন্য পাঁচ টাকা করে নেন বলে জানান। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাঁকোটি নির্মাণের পর দুই পারের মানুষের যোগাযোগ সহজ হয়ে ওঠে। বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ছেলবন, তুতুকখালী, মৌলভীপাড়া, মধুখালী, নোয়াপাড়া, আবাহখালী, টেকপাড়া, বালুখালী ও ছোট ছনুয়া গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীরা রাজাখালীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বিঘেœ যাতায়াত করে আসছে। একইভাবে রাজাখালীর মানুষও ছনুয়ায় মাছের ঘের ও লবণের মাঠে কাজ করে যেকোনো সময় সহজে বাড়িতে ফিরতে পারতেন।

ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আরফাতুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তাঁর ওয়ার্ডের সব শিক্ষার্থী ওপারে রাজাখালীর তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। ছনুয়ার উচ্চবিদ্যালয়টির অবস্থান অন্তত সাড়ে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে, যাতায়াতব্যবস্থাও খুবই খারাপ। এ কারণে সবাই রাজাখালীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝুঁকেছে।

রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের আইসিটি শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম বলেন, ছনুয়াখালের পাড়েই রাজাখালী অংশে ফৈজুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফৈজুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, রাজাখালী বেশারাতুল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অবস্থান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী বাঁশখালী থেকে সাঁকো পার হয়ে আসে।

জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করে সাঁকোটি একবছর আগে তৈরি করে দিয়েছেন ছনুয়ার বাসিন্দা আমিরুল হক ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন, সাঁকোটি খালের পানি থেকে অনেক উঁচু ছিল। পারাপারের সময় যাতে শিশুরা ভয় না পায়, সে জন্য ফাঁক না রেখে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ ফুটের ৪৯৭টি বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছিল। একটি লবণের ট্রলারের কারণে সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে এটি কেউ ইচ্ছা করে ভেঙে দিয়েছেন।

রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউপি সচিব আল আমিন বলেন, বাঁশের সাঁকোটি ব্যবহার করে পাশাপাশি দুটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষের অন্যতম যাতায়াতের মাধ্যম ছিল। হঠাৎ সাঁকোটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যাওয়ায় মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, সাঁকোটি দুই উপজেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। সেখানে স্থায়ী কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যায় কি না, সে ব্যাপারে বাঁশখালীর ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে দেখবো। আশাকরি একটি ব্যবস্থা হবে যাবে।

ছবি

পীরগঞ্জ সরকারী আব্দুর রউফ কলেজে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তোলপাড়

ছবি

দুমকি প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল, সম্পাদক সাইদুর

ছবি

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রত্যাহার

ছবি

ভালুকায় দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫

ছবি

বোয়ালখালীতে গৃহবধূর মৃত্যু

ছবি

ভুটভুটির ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত

ছবি

ডিমলা থানা পুলিশের কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে

ছবি

জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

ছবি

চাঁদপুরে জেলা প্রশাসক কাপ সাঁতার প্রতিযোগিতা

ছবি

বাল্কহেড চলাচলে ধলেশ্বরীর দুই তীরে ভাঙন

ছবি

শেরপুরে অটোরিকশা চালক আবু বক্কর হত্যার রহস্য উন্মোচন

ছবি

রায়গঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মবিরতি, গ্রাহকদের ভোগান্তি

ছবি

রাজবাড়ীতে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন ২

ছবি

ঝিনাইগাতীতে কৃষকের কাকরুল গাছ কেটে ফেলল প্রতিপক্ষরা

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনায় আওয়ামীলীগের ঝটিকা মিছিল

ছবি

রাণীনগরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ

ছবি

শেরপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ইমামকে হত্যাচেষ্টা, বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

ছবি

শেরপুরে দুর্নীতির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে রাতের আঁধারে কৃষকের আখ কর্তন ও চুরি

ছবি

সুন্দরগঞ্জে সেতু আছে সংযোগ সড়ক নেই

ছবি

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পলি অপসারণ শুরু

ছবি

কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে ‘সরকারবিরোধী’ মিছিল: ছাত্রলীগের দুই কর্মীসহ চারজন গ্রেপ্তার

ছবি

নিহত নারীর মাথা উদ্ধার

ছবি

৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন বিএনপি নেতা শাহাফুজ আলম

ছবি

শারদীয় দুর্গোৎসব মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ

ছবি

ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় আলোকিত মওলানা ভাসানী সেতু

ছবি

দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে

ছবি

মোরেলগঞ্জে রাস্তার বেহালদশা ৮ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

ভৈরবে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে দুই পরিবারের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ছবি

সুনামগঞ্জ কার মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ২

ছবি

ভৈরব জনতা ব্যাংকের ম্যানেজরসহ দুইজন বরখাস্ত

ছবি

মহেশপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের সংবর্ধনা

ছবি

সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত

ছবি

সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত

ছবি

বাগেরহাটে মাছের ঘেরের পাড়ে মাচায় তরমুজ চাষে ব্যপক লাভ

ছবি

নরসিংদী থেকে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে কাশবন

tab

news » bangladesh

বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার

প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার)

চকরিয়া (কক্সবাজার) : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করছেন জনগণ, (ইনসেটে) রাজাখালী ছনুয়া জলকদর খালের ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকো -সংবাদ

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় রাজাখালী ইউনিয়ন ও পাশের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগকারী জলকদর খালের ওপর ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এখনো মেরামত করা হয়নি। ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। বিশেষ করে নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীকে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, রাজাখালী জলকদর খালের ওপর ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটি গত ২৯ জুন রাতে ভেঙে যায়। আগের বছর আমিরুল হক এমরুল কায়েস নামে এক বাসিন্দার অর্থায়নে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছিল। জলকদর খাল লাগোয়া পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীতে গড়ে উঠেছে বেশারাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা, ফৈজুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ফৈজুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। তারা সাঁকোটি পার হয়ে পেকুয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় নিয়মিত যাতায়াত করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজাখালী ইউনিয়নের ভাঁখালী এলাকায় সাঁকোটির ভাঙা অংশ পড়ে রয়েছে। সাকোঁর পশ্চিমে ডিঙি নৌকায় করে স্থানীয় বাসিন্দারা খাল পার হচ্ছেন। খালের দুই পাড়ে কোনো পাকা সিঁড়ি না থাকায় নৌকায় উঠতে গিয়ে তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

স্কুল ছুটির পর বাড়ী ফেরার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে ফৈজুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিজা মনি বলেন, প্রতিদিন নৌকা নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করি। বৃষ্টি হলে খুব কষ্ট হয়। পোশাকে কাদা লেগে যায়। আলাদা কাপড় নিয়ে অনেক সময় স্কুলে যাই। পানি বাড়লে খাল পার হতে বেশি ভয় লাগে।

রাজাখালী বেশারাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ফাজিল তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে হাফসা বলেন, সাঁকো যখন ছিল, তখন খুব সহজে যাতায়াত করা যেত। প্রতিদিন ক্লাস করা সম্ভব হতো। এখন সাঁকো না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে। এ কারণে নিয়মিত ক্লাস করা সম্ভব হয় না।

ডিঙি নৌকার চালক ওসমান গণি ছনুয়া ইউনিয়নের ছেলবন এলাকার বাসিন্দা। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাল পারাপারের জন্য পাঁচ টাকা করে নেন বলে জানান। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাঁকোটি নির্মাণের পর দুই পারের মানুষের যোগাযোগ সহজ হয়ে ওঠে। বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ছেলবন, তুতুকখালী, মৌলভীপাড়া, মধুখালী, নোয়াপাড়া, আবাহখালী, টেকপাড়া, বালুখালী ও ছোট ছনুয়া গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীরা রাজাখালীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বিঘেœ যাতায়াত করে আসছে। একইভাবে রাজাখালীর মানুষও ছনুয়ায় মাছের ঘের ও লবণের মাঠে কাজ করে যেকোনো সময় সহজে বাড়িতে ফিরতে পারতেন।

ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আরফাতুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তাঁর ওয়ার্ডের সব শিক্ষার্থী ওপারে রাজাখালীর তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। ছনুয়ার উচ্চবিদ্যালয়টির অবস্থান অন্তত সাড়ে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে, যাতায়াতব্যবস্থাও খুবই খারাপ। এ কারণে সবাই রাজাখালীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝুঁকেছে।

রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের আইসিটি শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম বলেন, ছনুয়াখালের পাড়েই রাজাখালী অংশে ফৈজুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফৈজুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, রাজাখালী বেশারাতুল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অবস্থান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী বাঁশখালী থেকে সাঁকো পার হয়ে আসে।

জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করে সাঁকোটি একবছর আগে তৈরি করে দিয়েছেন ছনুয়ার বাসিন্দা আমিরুল হক ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন, সাঁকোটি খালের পানি থেকে অনেক উঁচু ছিল। পারাপারের সময় যাতে শিশুরা ভয় না পায়, সে জন্য ফাঁক না রেখে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ ফুটের ৪৯৭টি বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছিল। একটি লবণের ট্রলারের কারণে সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে এটি কেউ ইচ্ছা করে ভেঙে দিয়েছেন।

রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউপি সচিব আল আমিন বলেন, বাঁশের সাঁকোটি ব্যবহার করে পাশাপাশি দুটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষের অন্যতম যাতায়াতের মাধ্যম ছিল। হঠাৎ সাঁকোটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যাওয়ায় মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, সাঁকোটি দুই উপজেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। সেখানে স্থায়ী কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যায় কি না, সে ব্যাপারে বাঁশখালীর ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে দেখবো। আশাকরি একটি ব্যবস্থা হবে যাবে।

back to top