গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দের জেরে জমিতে রোপণ কৃত ইক্ষু কর্তন ও চুরির অভিযোগ উঠেছে। রাতের আঁধারে জমির ইক্ষু কেটে চুরি আর অবশিষ্ট ইক্ষু জমিতেই ফেলে গেছেন প্রতিপক্ষ। উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের খানসাপাড়া মৌজায় এঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক। অভিযুক্তরা হলেন - উপজেলার তালুক রহিমাপুর গ্রামের মৃত আয়েজউদ্দিনের বড় ছেলে দেছারউদ্দিন (৫৫) ও ছোট ছেলে কয়ছার আলী (৫০), দেছারউদ্দিনের ছেলে শ্রাবন (২০), মৃত চয়নউদ্দিন শেখের ছেলে ছেলে মধু শেখ (৪৬) এবং নুরু মিয়ার ছেলে মজনু (৪০)। অভিযোগও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দরবস্ত ইউনিয়নের খানসাপাড়া মৌজায় ২৬ শতাংশ জমিতে ইক্ষু রোপণ করেন গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের তরফমনু গ্রামের মৃত তছলিমউদ্দিনের ছেলে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৬০)। ওই জমি জোরপূর্বক নিজেদের দাবি করে মারধরও হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন দেছার আলী গং। কৃষক আবু বক্কও সিদ্দিক যতবারই ওই জমিতে ফসল চাষ করেন তত বারই ফসল নষ্ট করেন প্রতিপক্ষেও লোকজন। ইতি পূর্বে অভিযুক্তরা ফসলের ক্ষতিকরলে গত১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ইং তারিখে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি জি.ডি করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিসে অভিযুক্তরা ওই জমির মালিকানা দাবী করবেনা এই মর্মে মৌখিক অঙ্গীকার করে। কিন্তু সালিশের কিছু দিন পরে তারা আবারও মৌখিক ভাবে হুমকিও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। গত ৭সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ওই জমিতে ঢুকে দেছারউদ্দিন সহ তাঁর লোকজন জমিতে লাগানো ইক্ষু কেটে চুরি করেন এবং বাকি অংশ জমিতে ফেলে রেখে যান। রাতে আঁধারে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন পথচারী ওই জমিতে টর্চের আলো ফেলে ইক্ষু কাটা ও নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি দেখেছেন। এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ওই জমিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আবাদ করে আসছি। কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ তাঁরা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। জমিতে ফসল লাগালে তাঁরা নষ্ট করে।
আবু বক্কও সিদ্দিক আরও বলেন, সকালে জমিতে গিয়ে আমরা অবশিষ্ট ইক্ষু কাটা অবস্থায় জমিতে পড়ে থাকতে দেখি। এই জমির উপর বিএসএফআইসি থেকে চাষ উপকরণ ঋণ নিয়ে এবার ইক্ষু চাষ করে ছিলাম। এঘটনায় আমার প্রায় ৬২হাজার ৫০০ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। এর আগেও একবার কলার চারা লাগিয়ে ছিলাম তখনও নষ্ট করেছে। এখন আমি কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবো।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দের জেরে জমিতে রোপণ কৃত ইক্ষু কর্তন ও চুরির অভিযোগ উঠেছে। রাতের আঁধারে জমির ইক্ষু কেটে চুরি আর অবশিষ্ট ইক্ষু জমিতেই ফেলে গেছেন প্রতিপক্ষ। উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের খানসাপাড়া মৌজায় এঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক। অভিযুক্তরা হলেন - উপজেলার তালুক রহিমাপুর গ্রামের মৃত আয়েজউদ্দিনের বড় ছেলে দেছারউদ্দিন (৫৫) ও ছোট ছেলে কয়ছার আলী (৫০), দেছারউদ্দিনের ছেলে শ্রাবন (২০), মৃত চয়নউদ্দিন শেখের ছেলে ছেলে মধু শেখ (৪৬) এবং নুরু মিয়ার ছেলে মজনু (৪০)। অভিযোগও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দরবস্ত ইউনিয়নের খানসাপাড়া মৌজায় ২৬ শতাংশ জমিতে ইক্ষু রোপণ করেন গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের তরফমনু গ্রামের মৃত তছলিমউদ্দিনের ছেলে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৬০)। ওই জমি জোরপূর্বক নিজেদের দাবি করে মারধরও হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন দেছার আলী গং। কৃষক আবু বক্কও সিদ্দিক যতবারই ওই জমিতে ফসল চাষ করেন তত বারই ফসল নষ্ট করেন প্রতিপক্ষেও লোকজন। ইতি পূর্বে অভিযুক্তরা ফসলের ক্ষতিকরলে গত১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ইং তারিখে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি জি.ডি করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিসে অভিযুক্তরা ওই জমির মালিকানা দাবী করবেনা এই মর্মে মৌখিক অঙ্গীকার করে। কিন্তু সালিশের কিছু দিন পরে তারা আবারও মৌখিক ভাবে হুমকিও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। গত ৭সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ওই জমিতে ঢুকে দেছারউদ্দিন সহ তাঁর লোকজন জমিতে লাগানো ইক্ষু কেটে চুরি করেন এবং বাকি অংশ জমিতে ফেলে রেখে যান। রাতে আঁধারে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন পথচারী ওই জমিতে টর্চের আলো ফেলে ইক্ষু কাটা ও নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি দেখেছেন। এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ওই জমিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আবাদ করে আসছি। কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ তাঁরা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। জমিতে ফসল লাগালে তাঁরা নষ্ট করে।
আবু বক্কও সিদ্দিক আরও বলেন, সকালে জমিতে গিয়ে আমরা অবশিষ্ট ইক্ষু কাটা অবস্থায় জমিতে পড়ে থাকতে দেখি। এই জমির উপর বিএসএফআইসি থেকে চাষ উপকরণ ঋণ নিয়ে এবার ইক্ষু চাষ করে ছিলাম। এঘটনায় আমার প্রায় ৬২হাজার ৫০০ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। এর আগেও একবার কলার চারা লাগিয়ে ছিলাম তখনও নষ্ট করেছে। এখন আমি কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবো।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।