ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বগুড়ার শেরপুরে চাঁদা না দেয়ায় শোংয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম নুর মোহাম্মদ (৫৫) কে তুলে নিয়ে হত্যা চেষ্টা ও বেদম মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। চাঁদার দাবীতে ইমামকে মারপিটের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ওই এলাকার তিনটি মসজিদের মুসুল্লী ও এলাকাবাসি মিলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
এই ঘটনায় ইমামের ছেলে জাকারিয়া বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, শাহ আলম (৩৬), শাহাদৎ হোসেন (২৫), জাহিদুল ইসলাম (৪২), রাসেল (৪০), উজ্জল হোসেন (২৫), জনি (২২)। মানববন্ধন কর্মসূচীতে রফিকুল ইসলাম ও কাউসার আলী বলেন, এলাকায় মাদক কারবারি সহ চাঁদাবাজি বেড়ে যাওয়ায় সবাই আতংকে আছে। তারা চাঁদার জন্য ইমামকে মারপিট করেছে আমরা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ কোন কার্যকরি ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা এখন আবারো হুমকি দিচ্ছে, আমরা এলাকাবাসি বিচার দাবী করছি। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচী গ্রহন করবো। নারী পুরুষ সহ শত শত মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ইমাম নুর মোহাম্মদ প্রায় ১৫ বছর ধরে শেরুয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি এলাকার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের আরবী শিক্ষা দিয়ে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার শাহ আলম মসজিদে গিয়ে ইমাম নুর মোহাম্মদকে ডেকে বাহিরে নিয়ে আসার পর জোর করে অশ্লীল কথা বলিয়ে মোবাইলে ধারণ করার চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্তরা মসজিদের সামনে থেকে ইমাম নুর মোহাম্মদকে দাওয়াত ও মিলাদের কথা বলে একটি অজ্ঞাত রিকশাযোগে শেরুয়া বটতলায় একটি নির্মাণাধীন হোটেলের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করা হয়। এ সময় লোহার রডের আঘাতে তাঁর পিঠ ও ডান পা ভেঙে গুরুতর জখম হয়। এরপর আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বগুড়ার শেরপুরে চাঁদা না দেয়ায় শোংয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম নুর মোহাম্মদ (৫৫) কে তুলে নিয়ে হত্যা চেষ্টা ও বেদম মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। চাঁদার দাবীতে ইমামকে মারপিটের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ওই এলাকার তিনটি মসজিদের মুসুল্লী ও এলাকাবাসি মিলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
এই ঘটনায় ইমামের ছেলে জাকারিয়া বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, শাহ আলম (৩৬), শাহাদৎ হোসেন (২৫), জাহিদুল ইসলাম (৪২), রাসেল (৪০), উজ্জল হোসেন (২৫), জনি (২২)। মানববন্ধন কর্মসূচীতে রফিকুল ইসলাম ও কাউসার আলী বলেন, এলাকায় মাদক কারবারি সহ চাঁদাবাজি বেড়ে যাওয়ায় সবাই আতংকে আছে। তারা চাঁদার জন্য ইমামকে মারপিট করেছে আমরা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ কোন কার্যকরি ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা এখন আবারো হুমকি দিচ্ছে, আমরা এলাকাবাসি বিচার দাবী করছি। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচী গ্রহন করবো। নারী পুরুষ সহ শত শত মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ইমাম নুর মোহাম্মদ প্রায় ১৫ বছর ধরে শেরুয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি এলাকার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের আরবী শিক্ষা দিয়ে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার শাহ আলম মসজিদে গিয়ে ইমাম নুর মোহাম্মদকে ডেকে বাহিরে নিয়ে আসার পর জোর করে অশ্লীল কথা বলিয়ে মোবাইলে ধারণ করার চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্তরা মসজিদের সামনে থেকে ইমাম নুর মোহাম্মদকে দাওয়াত ও মিলাদের কথা বলে একটি অজ্ঞাত রিকশাযোগে শেরুয়া বটতলায় একটি নির্মাণাধীন হোটেলের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করা হয়। এ সময় লোহার রডের আঘাতে তাঁর পিঠ ও ডান পা ভেঙে গুরুতর জখম হয়। এরপর আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।