ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নওগাঁর রাণীনগরে পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ- স্থানীয় পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি বিদ্যালয়ের নির্মিত একটি নতুন দোকানঘর ভাঙচুর করেছে।
বৃহস্পতিবার পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ ১৫-২০ জন সহযোগী সাথে নিয়ে পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় চেয়ারম্যান জাহিদের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা বিদ্যালয় চত্বরে থাকা বিদ্যালয়ের একটি নতুন দোকানঘর ভাঙচুর করে। এরপর অন্যান্য স্থাপনাতেও হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এগিয়ে গেলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।
বিদ্যালয়ের আয়া রাবেয়া বসরী বলেন, চেয়ারম্যান জাহিদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের নব-নির্মিত দোকানঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি ঘটনাটি ভিডিও করতে গেলে হামলাকারীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, চেয়ারম্যান জাহিদ বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে না পেরে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান নিজে বিদ্যালয়ে এসে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি থানায় জিডি করেছি। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের নির্মিত দোকানঘর ভাঙচুর ও অন্যান্য স্থাপনাতে হামলা করে। আমি এই ঘটনার তদন্ত ও বিচার চেয়ে ঊর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলার পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, আমি কোনো ভাঙচুর করিনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা। তবে বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় আমি এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তারা যদি অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নওগাঁর রাণীনগরে পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ- স্থানীয় পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি বিদ্যালয়ের নির্মিত একটি নতুন দোকানঘর ভাঙচুর করেছে।
বৃহস্পতিবার পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ ১৫-২০ জন সহযোগী সাথে নিয়ে পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় চেয়ারম্যান জাহিদের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা বিদ্যালয় চত্বরে থাকা বিদ্যালয়ের একটি নতুন দোকানঘর ভাঙচুর করে। এরপর অন্যান্য স্থাপনাতেও হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এগিয়ে গেলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।
বিদ্যালয়ের আয়া রাবেয়া বসরী বলেন, চেয়ারম্যান জাহিদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের নব-নির্মিত দোকানঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি ঘটনাটি ভিডিও করতে গেলে হামলাকারীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, চেয়ারম্যান জাহিদ বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে না পেরে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান নিজে বিদ্যালয়ে এসে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি থানায় জিডি করেছি। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের নির্মিত দোকানঘর ভাঙচুর ও অন্যান্য স্থাপনাতে হামলা করে। আমি এই ঘটনার তদন্ত ও বিচার চেয়ে ঊর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলার পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, আমি কোনো ভাঙচুর করিনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা। তবে বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় আমি এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তারা যদি অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।