ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারীর ডিমলা থানার ভবনটি অতি পুরনো হওয়ার কারনে বয়সের ভারে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। দ্বিতীয় তলা ভবনটির ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার অনেক আগে থেকেই খসে পড়তে শুরু করেছে। দৃশ্যমান মরচে ধরা লোহার রডগুলো। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা জরাজীর্ণ এই ভবনে জনগণের সেবায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই জরাজীর্ণ ভবনটির প্রতিটি কক্ষই যেন এক একটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণঘাতি দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে থানায় কর্মরত পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সদস্যগন।
দেখা গেছে, দ্বিতল ভবনটির ভেতরে পুলিশ সদস্যদের রাত্রি যাপনের ব্যারাক ভবনটির চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ ও মারাত্মক চিত্র। প্রতিটি কক্ষের ছাদে একাধিক জায়গায় ছোট বড় ফাটল দেখা দিয়েছে এবং দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেক জায়গায় ছাদের ভেতরের লোহার রডগুলো বেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে বিপজ্জনক অবস্থার আকার ধারণ করছে। দীর্ঘদিন ভবনটির কোন সংস্কার না করায় অবকাঠামো দুর্বল হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সচেতন মহল ও পুলিশ সদস্যরা আশঙ্কা করছেন, জরুরি ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মাণ করা না হলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। এমনকি প্রাণঘাতী মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ সদস্যের রান্নাঘরটিও অত্যন্ত জরাজীর্ণ। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে রান্নাঘরে তাতে রান্না করা অসম্ভব হয় পড়ে।
ডিমলা থানা সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯৮৩ ইং সালে থানা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর হতে নামে মাত্র কিছু সংস্কার কাজ হলেও তা ভবনের সামগ্রিক অবস্থার কোনো উন্নতি ঘটাতে পারেনি। বর্তমানে ভবনেটির অবস্থা এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, কর্মরত পুলিশ অফিসার ও সদস্যদের মধ্যে সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করছে ।
ঝুঁকিপূর্ণ এ থানায় বর্তমানে ১ জন পরিদর্শক, এস,আই ১০ জন, এ,এস,আই ৯ জন ও কনস্টেবল ৫৩ জনসহ সর্বমোট ৭৩ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন।
থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য এস,আই আবুল কালাম জানান, থানার এই ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মাথার উপর কখন ছাদের ইট-সুরকির খোয়া খসে পড়ে, সেই ভয়ে সর্বদা আতঙ্কে থাকতে হয়। বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে এখানেই অবস্থান করে প্রশাসনিক কাজকর্ম জনগণের সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্লাস্টার খসে বালু ও ইটের কণা প্রতিনিয়ত নীচে পড়ে প্রয়োজনীয় খাতা কাগজ ও আসবাবপত্র নোংরা হয়ে যায়। বর্ষাকালে ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি সরাসরি কক্ষে এসে পড়ে, যা আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করছে।
এখানে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেন, আমরা যে ভবনে বসবাস ও কাজকর্ম করছি তা সত্যিই খুব ঝুঁকিপূর্ণ। রাতে ঘুমানোর সময়ও ছাদের প্লাস্টার ভেঙে বালু ও অন্যান্য আবর্জনা গায়ে এসে পড়ে। অনেক সময় তা চোখ-মুখেও লাগে। বর্ষার সময় ঘরের ভেতরে মেঝে পানি জমে থাকে। একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে আমরা অন্তত নিশ্চিন্তে, নির্দ্বিধায় কাজ কর্ম করতে পারতাম।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, ভবনটি নির্মাণের জন্য ইতিপূর্বে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহী, গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা পুলিশ সদস্যরা জনগণের জানমাল ও নিরাপত্তা রক্ষায় দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করি। অথচ আমাদের সেই সহকর্মীদের দিনের শেষে একটু শান্তিতে ঘুমানোর মতো একটি নিরাপদ জায়গাও নেই। এই জরাজীর্ণ ভবনে কাজ করতে গিয়ে সবসময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকতে হয়, যা আমাদের মনোবল দুর্বল করে দেয়।
তিনি আরো জানান, ভবনটির ছাদ ও দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে বিপজ্জনকভাবে প্লাস্টার খসে পড়ছে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দ্রুত একটি নতুন ভবন নির্মাণ এবং কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি নিরাপদ ও আধুনিক আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পূর্বের ওসিগন একাধিকবার আবেদন করেছেন। আমিও এখানে জয়েন্ট করার পর ভবনের সার্বিক বিষয় বিস্তারিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্যারদের অবগত করেছি। অদ্যবধি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, ডিমলা থানা ভবনের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি অবিলম্বে আমলে নেয়া উচিত। কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। অন্যথায়, কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী থাকতে হবে। তারা দ্রুত একটি নতুন থানা ভবন নির্মাণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সূ-দৃষ্টি কামনা করছেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা থানার ভবনটি অতি পুরনো হওয়ার কারনে বয়সের ভারে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। দ্বিতীয় তলা ভবনটির ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার অনেক আগে থেকেই খসে পড়তে শুরু করেছে। দৃশ্যমান মরচে ধরা লোহার রডগুলো। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা জরাজীর্ণ এই ভবনে জনগণের সেবায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই জরাজীর্ণ ভবনটির প্রতিটি কক্ষই যেন এক একটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণঘাতি দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে থানায় কর্মরত পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সদস্যগন।
দেখা গেছে, দ্বিতল ভবনটির ভেতরে পুলিশ সদস্যদের রাত্রি যাপনের ব্যারাক ভবনটির চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ ও মারাত্মক চিত্র। প্রতিটি কক্ষের ছাদে একাধিক জায়গায় ছোট বড় ফাটল দেখা দিয়েছে এবং দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেক জায়গায় ছাদের ভেতরের লোহার রডগুলো বেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে বিপজ্জনক অবস্থার আকার ধারণ করছে। দীর্ঘদিন ভবনটির কোন সংস্কার না করায় অবকাঠামো দুর্বল হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সচেতন মহল ও পুলিশ সদস্যরা আশঙ্কা করছেন, জরুরি ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মাণ করা না হলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। এমনকি প্রাণঘাতী মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ সদস্যের রান্নাঘরটিও অত্যন্ত জরাজীর্ণ। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে রান্নাঘরে তাতে রান্না করা অসম্ভব হয় পড়ে।
ডিমলা থানা সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯৮৩ ইং সালে থানা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর হতে নামে মাত্র কিছু সংস্কার কাজ হলেও তা ভবনের সামগ্রিক অবস্থার কোনো উন্নতি ঘটাতে পারেনি। বর্তমানে ভবনেটির অবস্থা এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, কর্মরত পুলিশ অফিসার ও সদস্যদের মধ্যে সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করছে ।
ঝুঁকিপূর্ণ এ থানায় বর্তমানে ১ জন পরিদর্শক, এস,আই ১০ জন, এ,এস,আই ৯ জন ও কনস্টেবল ৫৩ জনসহ সর্বমোট ৭৩ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন।
থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য এস,আই আবুল কালাম জানান, থানার এই ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মাথার উপর কখন ছাদের ইট-সুরকির খোয়া খসে পড়ে, সেই ভয়ে সর্বদা আতঙ্কে থাকতে হয়। বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে এখানেই অবস্থান করে প্রশাসনিক কাজকর্ম জনগণের সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্লাস্টার খসে বালু ও ইটের কণা প্রতিনিয়ত নীচে পড়ে প্রয়োজনীয় খাতা কাগজ ও আসবাবপত্র নোংরা হয়ে যায়। বর্ষাকালে ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি সরাসরি কক্ষে এসে পড়ে, যা আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করছে।
এখানে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেন, আমরা যে ভবনে বসবাস ও কাজকর্ম করছি তা সত্যিই খুব ঝুঁকিপূর্ণ। রাতে ঘুমানোর সময়ও ছাদের প্লাস্টার ভেঙে বালু ও অন্যান্য আবর্জনা গায়ে এসে পড়ে। অনেক সময় তা চোখ-মুখেও লাগে। বর্ষার সময় ঘরের ভেতরে মেঝে পানি জমে থাকে। একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে আমরা অন্তত নিশ্চিন্তে, নির্দ্বিধায় কাজ কর্ম করতে পারতাম।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, ভবনটি নির্মাণের জন্য ইতিপূর্বে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহী, গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা পুলিশ সদস্যরা জনগণের জানমাল ও নিরাপত্তা রক্ষায় দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করি। অথচ আমাদের সেই সহকর্মীদের দিনের শেষে একটু শান্তিতে ঘুমানোর মতো একটি নিরাপদ জায়গাও নেই। এই জরাজীর্ণ ভবনে কাজ করতে গিয়ে সবসময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকতে হয়, যা আমাদের মনোবল দুর্বল করে দেয়।
তিনি আরো জানান, ভবনটির ছাদ ও দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে বিপজ্জনকভাবে প্লাস্টার খসে পড়ছে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দ্রুত একটি নতুন ভবন নির্মাণ এবং কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি নিরাপদ ও আধুনিক আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পূর্বের ওসিগন একাধিকবার আবেদন করেছেন। আমিও এখানে জয়েন্ট করার পর ভবনের সার্বিক বিষয় বিস্তারিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্যারদের অবগত করেছি। অদ্যবধি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, ডিমলা থানা ভবনের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি অবিলম্বে আমলে নেয়া উচিত। কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। অন্যথায়, কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী থাকতে হবে। তারা দ্রুত একটি নতুন থানা ভবন নির্মাণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সূ-দৃষ্টি কামনা করছেন।