ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রংপুরের পীরগজ্ঞ সরকারী আব্দুর রউফ কলেজে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকের পদ দুটি থাকলেও তৃতীয় শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুধু তাই নয় ওই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের রেজুলেশন বইয়ে ফ্লুয়েড কালি দিয়ে প্লাষ্টার করা, নিয়োগ বোর্ডের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধির স্বাক্ষর স্ক্যান করা এ ছাড়াও নানান অনিয়ম, দুর্নীতি আর ক্ষমতার অপব্যাবহার করারও অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরেও পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেবার অভিযোগও উঠেছে।
কলেজ সুত্রে জানা গেছে রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলা সদরে অবস্থিত শাহ আব্দুর রউফ কলেজটি সরকারী করনের আগে ২০১১ সালে কলেজে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে দুজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় তিনজন শিক্ষককে। এর মধ্যে সাগর মন্ডল নামে একজনকে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া দেখানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা শিক্ষা বিভাগের ১২.০২.২০ইং তারিখের পদসৃজন সংক্রান্ত কার্যবিবরনী সভার ১৯ নম্বর তালিকাতে সাগর মন্ডল সম্পর্কে নিয়োগ দেবার ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয় দুই জনের স্থলে তৃতীয় শিক্ষক সাগর মন্ডল তৃতীয়। সেখানে আরো উল্লেখ করা হয় তার পদ সৃজনের কোন সুযোগ নেই। এমনকি কলেজে রক্ষিত রেজুলেশনেও দেখা যায় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে দুই জন শিক্ষককই নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। সাগর মন্ডলকে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেবার কথা উল্লেখ নেই।
অথচ ২০২৫ সালের ১০ জুলাই তারিখের স্মারক নম্বর ৩৭.০০.০০০০.০৮৫.১৫, ১০৮(এ) ২১-৭৯৯ প্রজ্ঞাপনের ৮ নম্বর সিরিয়ালে সাগর মন্ডলকে সরকারী ভাবে নিয়োগ দেবার কথা উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে তিনি তৃতীয় শিক্ষক হওয়া সত্বেও কলেজে যোগদান করেছেন। এখন তার বেতন ফিকসেশনের কাজ চলছে বলে জানা গেছে যা পুরোপুরি অবৈধ বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ২০১১ সালের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশনের বেশ কয়েকটি পৃষ্টা ফ্লুয়েড কালি দ্বারা প্লাষ্টার করা সংক্রান্ত কাগজ এখন সাম াজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অপরদিকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে মোসতারী পারভীনকে নিয়োগ দেবার ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি এমএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেনী অর্জন করলেও ২০১১ সালের নিয়োগ বোর্ডে উপস্থাপনকৃত নম্বর পত্রে প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে এবং এর ম্যামে নিয়োগ বোর্ডকে প্রভাবিত করে নিজেকে প্রথম শ্রেনীতে উর্ত্তীর্ন দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ করার সময় অন্যান্য প্রাথীদের নম্বর পত্র তথা সিএসএ মোস্তারী বেগম ও সাগর মন্ডলের নম্বর পত্রে কোন সুপারিশ নেই। মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে ২০১১ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত নম্বর পত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি পদ্মাবতী কুন্ডুর কোন স্বাক্ষর নেই। তার স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে অন্যান্যদের বেলায় স্বাক্ষর থাকলেও ওই দুই শিক্ষকের বেলায় স্ক্যান করা স্বাক্ষর করা কেন তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
এ ভাবেই নানান অনিয়ম চলছে সরকারী শাহ আব্দুর রউফ কলেজে শিক্ষক নিয়োগে মন্ত্রনালয়ের কিছু অসাদু কর্মকর্তা কর্মচারী মোটা অংকের অর্থ নিয়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার দাবি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরকারী শাহ আব্দুর রউফ কলেজের অধ্যাক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তিনি অল্প কিছু দিন হলো যোগদান করেছেন তবে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরের পীরগজ্ঞ সরকারী আব্দুর রউফ কলেজে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকের পদ দুটি থাকলেও তৃতীয় শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুধু তাই নয় ওই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের রেজুলেশন বইয়ে ফ্লুয়েড কালি দিয়ে প্লাষ্টার করা, নিয়োগ বোর্ডের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধির স্বাক্ষর স্ক্যান করা এ ছাড়াও নানান অনিয়ম, দুর্নীতি আর ক্ষমতার অপব্যাবহার করারও অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরেও পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেবার অভিযোগও উঠেছে।
কলেজ সুত্রে জানা গেছে রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলা সদরে অবস্থিত শাহ আব্দুর রউফ কলেজটি সরকারী করনের আগে ২০১১ সালে কলেজে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে দুজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় তিনজন শিক্ষককে। এর মধ্যে সাগর মন্ডল নামে একজনকে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া দেখানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা শিক্ষা বিভাগের ১২.০২.২০ইং তারিখের পদসৃজন সংক্রান্ত কার্যবিবরনী সভার ১৯ নম্বর তালিকাতে সাগর মন্ডল সম্পর্কে নিয়োগ দেবার ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয় দুই জনের স্থলে তৃতীয় শিক্ষক সাগর মন্ডল তৃতীয়। সেখানে আরো উল্লেখ করা হয় তার পদ সৃজনের কোন সুযোগ নেই। এমনকি কলেজে রক্ষিত রেজুলেশনেও দেখা যায় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে দুই জন শিক্ষককই নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। সাগর মন্ডলকে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেবার কথা উল্লেখ নেই।
অথচ ২০২৫ সালের ১০ জুলাই তারিখের স্মারক নম্বর ৩৭.০০.০০০০.০৮৫.১৫, ১০৮(এ) ২১-৭৯৯ প্রজ্ঞাপনের ৮ নম্বর সিরিয়ালে সাগর মন্ডলকে সরকারী ভাবে নিয়োগ দেবার কথা উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে তিনি তৃতীয় শিক্ষক হওয়া সত্বেও কলেজে যোগদান করেছেন। এখন তার বেতন ফিকসেশনের কাজ চলছে বলে জানা গেছে যা পুরোপুরি অবৈধ বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ২০১১ সালের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশনের বেশ কয়েকটি পৃষ্টা ফ্লুয়েড কালি দ্বারা প্লাষ্টার করা সংক্রান্ত কাগজ এখন সাম াজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অপরদিকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে মোসতারী পারভীনকে নিয়োগ দেবার ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি এমএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেনী অর্জন করলেও ২০১১ সালের নিয়োগ বোর্ডে উপস্থাপনকৃত নম্বর পত্রে প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে এবং এর ম্যামে নিয়োগ বোর্ডকে প্রভাবিত করে নিজেকে প্রথম শ্রেনীতে উর্ত্তীর্ন দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ করার সময় অন্যান্য প্রাথীদের নম্বর পত্র তথা সিএসএ মোস্তারী বেগম ও সাগর মন্ডলের নম্বর পত্রে কোন সুপারিশ নেই। মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে ২০১১ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত নম্বর পত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি পদ্মাবতী কুন্ডুর কোন স্বাক্ষর নেই। তার স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে অন্যান্যদের বেলায় স্বাক্ষর থাকলেও ওই দুই শিক্ষকের বেলায় স্ক্যান করা স্বাক্ষর করা কেন তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
এ ভাবেই নানান অনিয়ম চলছে সরকারী শাহ আব্দুর রউফ কলেজে শিক্ষক নিয়োগে মন্ত্রনালয়ের কিছু অসাদু কর্মকর্তা কর্মচারী মোটা অংকের অর্থ নিয়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার দাবি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরকারী শাহ আব্দুর রউফ কলেজের অধ্যাক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তিনি অল্প কিছু দিন হলো যোগদান করেছেন তবে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।