ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
লালমোহন পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির পাম্প নষ্ট হওয়ায় পৌরসভার বাসা বাড়িতে পানি পাচ্ছে না নাগরিকগণ। পৌরসভায় মোট ৭টি ভূগর্ভস্থ পানির পাম্প থাকলেও এর মধ্যে ৫টিই অচল। বাকী ২টি চলে কোনমতে। পানি না পেয়ে বাসা বাড়িতে গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পানি না পেলেও মাসিক বিল দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে গ্রাহকদের মাঝে।
লালমোহন পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। অথচ একদিকে ড্রেনেজ সমস্যা, সড়ক বাতির সমস্যা, মশার উৎপাত, পরিচ্ছন্নতার অভাব- এসবের মাঝে নাগরিকদের বাস করতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তার অবস্থা আরো শোচনীয়। অতি বৃষ্টি, বা বন্যা হলে বাজারের রাস্তায়ও পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। পৌরসভার বয়স ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আধুনিক সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকগণ।
পৌরসভার পানি শাখার বিল আদায়কারী মো. নজরুল ইসলাম জানান, পৌরসভায় ৭টি ভূগর্ভস্থ পানির পাম্প আছে। এগুলোর ৫টি বিকল। ২টি কোনো রকমে চলছে। প্রায় ২০-২৫ বছর হয়ে গেছে পাম্পগুলোর বয়স। এগুলোর একটাও পৌরসভার অর্থায়নে বসানো হয়নি বলে তিনি জানান। ৫টি জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বসানো হয়েছে পৌরসভার নাগরিকদের পানির সুবিধার জন্য। আর দুইটি দাতাসংস্থা বিএমডিএফের অর্থায়নে ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে বসানো হয়েছে। ভুগর্ভস্থ পানি এই পাম্পগুলো দিয়ে সরবরাহ করা হলেও এখন আর সেই সুবিধা দিতে পারছে না। একদিকে পুরোনো হয়ে যাওয়ায়, অন্যদিকে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় পানি তো উঠছেই না, বরং বালি উঠছে। এতে পাম্পগুলো জ্যাম হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ভোলা জেলায় পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় স্বাভাবিক টিউবওয়েলেও এখন পানি উঠাতে কষ্ট হচ্ছে। ভোলায় বহু টিউবওয়েল এখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অনেক টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। গ্যাস উত্তোলন এবং জলবায়ু পরিবর্তন গঠিত ব্যাপার বলে মনে করছেন কেউ কেউ। নজরুল ইসলাম আরো জানান, পৌরসভায় পাম্প বসিয়ে ভুগর্ভস্থ্য পানি উত্তোলনের ভবিষ্যত অন্ধকার। এখন বিশুদ্ধ পানি পেতে হলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লানে যেতে হবে। এটি সরাসরি নদী থেকে পাইপ দিয়ে পানি উঠিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় শোধন করে বাসা বাড়িতে সরবরাহ করা যায়। পানি না পেয়ে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লালমোহন ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক রাইসুল আলম রিয়াদ জানান, পৌরসভার পানির লাইন থেকে বাসায় পানি যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে পানি না পাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌরসভা থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বার বার বলেও কোন লাভ হচ্ছে না। তারা পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণ বলছেন, কিন্তু সমাধানের কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
এভাবে পৌরবাসী পানি বঞ্চিত থাকতে পারে না। পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহ আজিজ জানান, পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ার কারণে পাম্পগুলো নষ্ট হয়েছে। মোটামুটি কয়েকটি সংষ্কার করে চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে ৪টি সংস্কার করা সম্ভব হবে। নদী থেকে পানি শোধন করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান এটা বড় প্রকল্প। সেটা এখানে সম্ভব নাও হতে পারে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকৌশলী টিম এসে ভিজিট করবেন। তারা পানি সরবরাহের জন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সিদ্ধান্ত দেবেন। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সামনের ডিসেম্বরের মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশাবাদী।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
লালমোহন পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির পাম্প নষ্ট হওয়ায় পৌরসভার বাসা বাড়িতে পানি পাচ্ছে না নাগরিকগণ। পৌরসভায় মোট ৭টি ভূগর্ভস্থ পানির পাম্প থাকলেও এর মধ্যে ৫টিই অচল। বাকী ২টি চলে কোনমতে। পানি না পেয়ে বাসা বাড়িতে গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পানি না পেলেও মাসিক বিল দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে গ্রাহকদের মাঝে।
লালমোহন পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। অথচ একদিকে ড্রেনেজ সমস্যা, সড়ক বাতির সমস্যা, মশার উৎপাত, পরিচ্ছন্নতার অভাব- এসবের মাঝে নাগরিকদের বাস করতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তার অবস্থা আরো শোচনীয়। অতি বৃষ্টি, বা বন্যা হলে বাজারের রাস্তায়ও পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। পৌরসভার বয়স ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আধুনিক সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকগণ।
পৌরসভার পানি শাখার বিল আদায়কারী মো. নজরুল ইসলাম জানান, পৌরসভায় ৭টি ভূগর্ভস্থ পানির পাম্প আছে। এগুলোর ৫টি বিকল। ২টি কোনো রকমে চলছে। প্রায় ২০-২৫ বছর হয়ে গেছে পাম্পগুলোর বয়স। এগুলোর একটাও পৌরসভার অর্থায়নে বসানো হয়নি বলে তিনি জানান। ৫টি জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বসানো হয়েছে পৌরসভার নাগরিকদের পানির সুবিধার জন্য। আর দুইটি দাতাসংস্থা বিএমডিএফের অর্থায়নে ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে বসানো হয়েছে। ভুগর্ভস্থ পানি এই পাম্পগুলো দিয়ে সরবরাহ করা হলেও এখন আর সেই সুবিধা দিতে পারছে না। একদিকে পুরোনো হয়ে যাওয়ায়, অন্যদিকে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় পানি তো উঠছেই না, বরং বালি উঠছে। এতে পাম্পগুলো জ্যাম হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ভোলা জেলায় পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় স্বাভাবিক টিউবওয়েলেও এখন পানি উঠাতে কষ্ট হচ্ছে। ভোলায় বহু টিউবওয়েল এখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অনেক টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। গ্যাস উত্তোলন এবং জলবায়ু পরিবর্তন গঠিত ব্যাপার বলে মনে করছেন কেউ কেউ। নজরুল ইসলাম আরো জানান, পৌরসভায় পাম্প বসিয়ে ভুগর্ভস্থ্য পানি উত্তোলনের ভবিষ্যত অন্ধকার। এখন বিশুদ্ধ পানি পেতে হলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লানে যেতে হবে। এটি সরাসরি নদী থেকে পাইপ দিয়ে পানি উঠিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় শোধন করে বাসা বাড়িতে সরবরাহ করা যায়। পানি না পেয়ে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লালমোহন ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক রাইসুল আলম রিয়াদ জানান, পৌরসভার পানির লাইন থেকে বাসায় পানি যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে পানি না পাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌরসভা থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বার বার বলেও কোন লাভ হচ্ছে না। তারা পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণ বলছেন, কিন্তু সমাধানের কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
এভাবে পৌরবাসী পানি বঞ্চিত থাকতে পারে না। পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহ আজিজ জানান, পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ার কারণে পাম্পগুলো নষ্ট হয়েছে। মোটামুটি কয়েকটি সংষ্কার করে চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে ৪টি সংস্কার করা সম্ভব হবে। নদী থেকে পানি শোধন করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান এটা বড় প্রকল্প। সেটা এখানে সম্ভব নাও হতে পারে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকৌশলী টিম এসে ভিজিট করবেন। তারা পানি সরবরাহের জন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সিদ্ধান্ত দেবেন। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সামনের ডিসেম্বরের মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশাবাদী।