সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ নামের এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট তিনি চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ে চোখ–মুখ–মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গত ১৭ জুন চট্টগ্রামের খুলশী থানায় মামলায় এ তথ্য উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে হাশেম রাজু নামের এক ব্যক্তি গত ২০ মার্চ ঢাকার আদালতে একটি মামলা করেন। এতে হাশেম উল্লেখ করেন, সাইফুদ্দীন গত বছরের ৪ আগস্ট সকালে রাজধানীর পরীবাগ মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামে নিয়ে যান হাশেম। কিন্তু এ মামলার বিষয়ে সাইফুদ্দীন কিছুই জানেন না। তাঁর দাবি, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফুদ্দীন এসব কথা বলেন। তাঁর দাবি, ঢাকায় করা মামলার বিবরণ পুরোপুরি ‘আষাঢ়ে গল্প’। মামলাটি করে হাশেম বাণিজ্য করছেন।
সাইফুদ্দীন বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এম এ হাশেম রাজু নামের এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি নিজেকে মানবাধিকারকর্মীর পরিচয় দেন। চোখের চিকিৎসায় সহায়তার পাশাপাশি বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। সে জন্য বেশ কিছু সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্পে তাঁর স্বাক্ষর নেন হাশেম। পরে এসব স্বাক্ষর ব্যবহার করে হাশেম নিজেই বাদী সেজে ঢাকার আদালতে মামলা করেন। মামলায় তাঁর যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিও সঠিক নয়।
সাইফুদ্দীন দাবি করেন, তাঁর নাম ভাঙিয়ে হাশেম মামলা–বাণিজ্যে করছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে হাশেমকে একটি ‘লিগ্যাল নোটিশ’ পাঠানো হয়েছে। হাশেমের করা মামলাটি প্রত্যাহার ও স্বাক্ষরিত কাগজপত্র ফেরত দিতে বলেছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাশেম নিজেকে মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা দাবি করেন। তিনি বলেন, সাইফুদ্দীন চট্টগ্রামে আহত হননি। তিনি ঢাকায় আহত হয়েছেন। তা ছাড়া আদালতে মামলা করার জন্য তাঁকে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দিয়েছেন সাইফুদ্দীন। চিকিৎসায় সহায়তার কোনো আশ্বাস বা বিদেশে নেওয়ার বিষয়েও কোনো প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি। আর কোনো ধরনের মামলা–বাণিজ্যের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ক্ষোভ
সাইফুদ্দীন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি খুলশী থানায় যে মামলা করেছেন, সেখানে জুলাই আন্দোলনে অর্থ জোগানদাতার আসামি হিসেবে একটি শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধারদের নাম আছে। সেই প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি গণমাধ্যম তাঁকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছে। এসব গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, জুলাই যোদ্ধা সাইফুদ্দীন একই দিন দুই শহরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, দুটি মামলা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এসব প্রতিবেদন উদ্দেশ্যমূলকভাবে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা।
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ নামের এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট তিনি চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ে চোখ–মুখ–মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গত ১৭ জুন চট্টগ্রামের খুলশী থানায় মামলায় এ তথ্য উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে হাশেম রাজু নামের এক ব্যক্তি গত ২০ মার্চ ঢাকার আদালতে একটি মামলা করেন। এতে হাশেম উল্লেখ করেন, সাইফুদ্দীন গত বছরের ৪ আগস্ট সকালে রাজধানীর পরীবাগ মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামে নিয়ে যান হাশেম। কিন্তু এ মামলার বিষয়ে সাইফুদ্দীন কিছুই জানেন না। তাঁর দাবি, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফুদ্দীন এসব কথা বলেন। তাঁর দাবি, ঢাকায় করা মামলার বিবরণ পুরোপুরি ‘আষাঢ়ে গল্প’। মামলাটি করে হাশেম বাণিজ্য করছেন।
সাইফুদ্দীন বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এম এ হাশেম রাজু নামের এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি নিজেকে মানবাধিকারকর্মীর পরিচয় দেন। চোখের চিকিৎসায় সহায়তার পাশাপাশি বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। সে জন্য বেশ কিছু সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্পে তাঁর স্বাক্ষর নেন হাশেম। পরে এসব স্বাক্ষর ব্যবহার করে হাশেম নিজেই বাদী সেজে ঢাকার আদালতে মামলা করেন। মামলায় তাঁর যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিও সঠিক নয়।
সাইফুদ্দীন দাবি করেন, তাঁর নাম ভাঙিয়ে হাশেম মামলা–বাণিজ্যে করছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে হাশেমকে একটি ‘লিগ্যাল নোটিশ’ পাঠানো হয়েছে। হাশেমের করা মামলাটি প্রত্যাহার ও স্বাক্ষরিত কাগজপত্র ফেরত দিতে বলেছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাশেম নিজেকে মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা দাবি করেন। তিনি বলেন, সাইফুদ্দীন চট্টগ্রামে আহত হননি। তিনি ঢাকায় আহত হয়েছেন। তা ছাড়া আদালতে মামলা করার জন্য তাঁকে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দিয়েছেন সাইফুদ্দীন। চিকিৎসায় সহায়তার কোনো আশ্বাস বা বিদেশে নেওয়ার বিষয়েও কোনো প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি। আর কোনো ধরনের মামলা–বাণিজ্যের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ক্ষোভ
সাইফুদ্দীন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি খুলশী থানায় যে মামলা করেছেন, সেখানে জুলাই আন্দোলনে অর্থ জোগানদাতার আসামি হিসেবে একটি শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধারদের নাম আছে। সেই প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি গণমাধ্যম তাঁকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছে। এসব গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, জুলাই যোদ্ধা সাইফুদ্দীন একই দিন দুই শহরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, দুটি মামলা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এসব প্রতিবেদন উদ্দেশ্যমূলকভাবে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা।