হত্যাকাণ্ডে জড়িত সজিব গ্রেপ্তার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুমিল্লায় চাকরির প্রলোভনে নেয়া ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতেই আমিনুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যার পর মহাসড়কের পাশে মরদেহ বালু চাপা দেয়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর র্যাব ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে নামে। গোয়েন্দা নজরদারী, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে র্যাব-১১ এর একটি দল কুমিল্লার চান্দিনা থানার এতবারপুর এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত সজিব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়। কিলিং মিশনে অংশ নেয় ৩ ঘাতক।
অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত আসামী সজিবের দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি হাসুয়া, ১টি রক্তমাখা লুঙ্গি ও ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সজিব (২০) জেলার চান্দিনা উপজেলার বদরপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে। গত শনিবার দুপুরে নগরীর শাকতলা এলাকায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কোম্পানী কমাণ্ডর সাদমান ইবনে আলম।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামী সিরাজ (২৫) চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিম আমিনুল ইসলাম (২২) এর নিকট থেকে প্রতারণামূলকভাবে নগদ ১০ লাখ টাকা নেয়। আসামী সিরাজ ভিকটিমকে চাকুরি না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। এ নিয়ে ভিকটিম তার পাওনা টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য আসামী সিরাজকে চাপ প্রয়োগ করে। এরই প্রেক্ষিতে আসামী সিরাজ টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ভিকটিম সিলেটে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সিরাজসহ গ্রেপ্তারকৃত আসামী সজিব ও অন্যান্য আসামীদের সাথে দেখা করার পর আসামী সিরাজ ভিকটিমকে নিয়ে পদুয়ার বাজারস্থ বিসমিল্লাহ আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করে। পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর রাতে সজিবসহ অন্য আসামীরা ভিকটিমকে নিয়ে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন মোস্তফাপুর এলাকায় বালু ভরাট করা উচু জমিতে নিয়ে ভিকটিমের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে আসামীরা ভিকটিমকে পিছনদিক থেকে গলায় কুপিয়ে ও জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বালু চাপা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। সজিবকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে সে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। তিনি আরও জানান, কিলিং মিশনে ৩ জন অংশগ্রহণ করে। অপর দুইজনকে গ্রেপ্তারেও আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম জানান, র্যাবের অভিযানে আসামী সজিব ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত উদ্ধার হওয়া আলামতগুলো শনিবার বিকালে আমাদের নিকট হস্তান্তর করেছে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সজিব গ্রেপ্তার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুমিল্লায় চাকরির প্রলোভনে নেয়া ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতেই আমিনুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যার পর মহাসড়কের পাশে মরদেহ বালু চাপা দেয়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর র্যাব ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে নামে। গোয়েন্দা নজরদারী, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে র্যাব-১১ এর একটি দল কুমিল্লার চান্দিনা থানার এতবারপুর এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত সজিব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়। কিলিং মিশনে অংশ নেয় ৩ ঘাতক।
অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত আসামী সজিবের দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি হাসুয়া, ১টি রক্তমাখা লুঙ্গি ও ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সজিব (২০) জেলার চান্দিনা উপজেলার বদরপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে। গত শনিবার দুপুরে নগরীর শাকতলা এলাকায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কোম্পানী কমাণ্ডর সাদমান ইবনে আলম।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামী সিরাজ (২৫) চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিম আমিনুল ইসলাম (২২) এর নিকট থেকে প্রতারণামূলকভাবে নগদ ১০ লাখ টাকা নেয়। আসামী সিরাজ ভিকটিমকে চাকুরি না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। এ নিয়ে ভিকটিম তার পাওনা টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য আসামী সিরাজকে চাপ প্রয়োগ করে। এরই প্রেক্ষিতে আসামী সিরাজ টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ভিকটিম সিলেটে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সিরাজসহ গ্রেপ্তারকৃত আসামী সজিব ও অন্যান্য আসামীদের সাথে দেখা করার পর আসামী সিরাজ ভিকটিমকে নিয়ে পদুয়ার বাজারস্থ বিসমিল্লাহ আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করে। পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর রাতে সজিবসহ অন্য আসামীরা ভিকটিমকে নিয়ে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন মোস্তফাপুর এলাকায় বালু ভরাট করা উচু জমিতে নিয়ে ভিকটিমের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে আসামীরা ভিকটিমকে পিছনদিক থেকে গলায় কুপিয়ে ও জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বালু চাপা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। সজিবকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে সে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। তিনি আরও জানান, কিলিং মিশনে ৩ জন অংশগ্রহণ করে। অপর দুইজনকে গ্রেপ্তারেও আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম জানান, র্যাবের অভিযানে আসামী সজিব ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত উদ্ধার হওয়া আলামতগুলো শনিবার বিকালে আমাদের নিকট হস্তান্তর করেছে।