নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে প্রায় বিলুপ্ত ৪২৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে উপকূলীয় বন বিভাগ। উদ্ধারকৃত কচ্ছপের মধ্যে ৩২৫টি জীবিত ও ১০০টি মৃত। গতকাল শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর বনবিভাগের জলাশয়ে কিছু কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ড্রাম ভর্তি এ কচ্ছপগুলো উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কচ্ছপ সংগ্রহ করে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাচারের চেষ্টা করছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নেন। অভিযানে ৪২৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর বনবিভাগের জলাশয়ে কিছু কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়। বাকি কচ্ছপগুলো দেশের বিভিন্ন জেলার জলাশয়ে অবমুক্ত করা হবে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত শুক্রবার রাতে উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলো ধুম, সন্ধি, করি কাইট্টা ও হলুদ কাইট্টা প্রজাতির। এই চার প্রজাতিই বাংলাদেশে প্রায় বিলুপ্ত। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপের মধ্যে ২৫টি শনিবার দুপুরে বন বিভাগের স্থানীয় পুকুরে অবমুক্ত করা হয়েছে। বাকি কচ্ছপগুলো দেশের বিভিন্ন পুকুর ও জলাশয়ে এবং টাঙ্গাইলের মধুপুরের জাতীয় উদ্যানে কচ্ছপের প্রজনন কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া গবেষণার কাজে মৃত কচ্ছপগুলো ব্যবহার করা হবে।
উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু ইউসুফ জানান, কচ্ছপ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী সুরক্ষিত প্রাণী। এ প্রাণী শিকার, হত্যা, সংগ্রহ বা পাচার নিষিদ্ধ। জীববৈচিত্র রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে প্রায় বিলুপ্ত ৪২৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে উপকূলীয় বন বিভাগ। উদ্ধারকৃত কচ্ছপের মধ্যে ৩২৫টি জীবিত ও ১০০টি মৃত। গতকাল শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর বনবিভাগের জলাশয়ে কিছু কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ড্রাম ভর্তি এ কচ্ছপগুলো উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কচ্ছপ সংগ্রহ করে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাচারের চেষ্টা করছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নেন। অভিযানে ৪২৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর বনবিভাগের জলাশয়ে কিছু কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়। বাকি কচ্ছপগুলো দেশের বিভিন্ন জেলার জলাশয়ে অবমুক্ত করা হবে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত শুক্রবার রাতে উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলো ধুম, সন্ধি, করি কাইট্টা ও হলুদ কাইট্টা প্রজাতির। এই চার প্রজাতিই বাংলাদেশে প্রায় বিলুপ্ত। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপের মধ্যে ২৫টি শনিবার দুপুরে বন বিভাগের স্থানীয় পুকুরে অবমুক্ত করা হয়েছে। বাকি কচ্ছপগুলো দেশের বিভিন্ন পুকুর ও জলাশয়ে এবং টাঙ্গাইলের মধুপুরের জাতীয় উদ্যানে কচ্ছপের প্রজনন কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া গবেষণার কাজে মৃত কচ্ছপগুলো ব্যবহার করা হবে।
উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু ইউসুফ জানান, কচ্ছপ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী সুরক্ষিত প্রাণী। এ প্রাণী শিকার, হত্যা, সংগ্রহ বা পাচার নিষিদ্ধ। জীববৈচিত্র রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।