রাজধানীর একটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী -সংবাদ
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৮৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারমধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৭ হাজার ৮৯১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মোট আক্রান্ত ৩৭,৮৯১ জন, মৃত্যু ১৫০ জন
মশাবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা ও নিয়ন্ত্রণের জাতীয় প্রতিষ্ঠান দরকার: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৯ জন, ঢাকা বিভাগে ১২২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২৮ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, ময়মনসিংহে ২১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৯ জন, রংপুর বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।
বয়সভেদে: ৫ বছরের ৩৪ শিশু, ৬-১০ বছরের শিশু ২২জন,২১-২৫ বছর বয়সের ১০১ জন, ৮০ বছর বয়সের ১ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ২ জন।
মৃত্যু: চলতি মাসের গত ১৪ দিন থেকে রোববার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে মৃত্যু ২৮ জন। এর আগে আগস্ট মাসে মৃত্যু ৩৯ জন, জুলাই মাসে মৃত্যু ৪১জন, জুন মাসে ১৯জন,মে মাসে ৩ জন, এপ্রিল মাসে ৭ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ জন, জানুয়ারি মাসে ১০ জন মারা গেছে। মার্চ মাসে মৃত্যুর খবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে নেই। সবমিলিয়ে চলতি বছরের রোববার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জন।
হাসপাতালের তথ্য: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৯ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১১৮ জন, সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৪ জন। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ৫৩৫ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ভর্তি আছে ১ হাজার ৭শ’ ১৫ জন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩৬ হাজার ২৬ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে এডিস মশার উপদ্রব বাড়ছে। প্রতিদিন এ মশার কামড়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আবার মারাও যাচ্ছেন। উনিশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কেউই বুঝতে পারেনি মশা রোগের ভেক্টর ছিল। এর প্রথম সাফল্য আসে ১৮৭৭ সালে যখন ব্রিটিশ ডাক্তার প্যাট্রিক ম্যানসন আবিষ্কার করেছিলেন যে, একটি কিউলেক্স প্রজাতির মশা মানুষের ফাইলেরিয়াল রাউন্ডওয়ার্ম বহন করতে পারে। পরবর্তী দুই দশকে তিনি এবং ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া ও মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য গবেষক ম্যালেরিয়া গবেষণায় মনোনিবেশ করেন।
যা গ্রীষ্মম-লীর এবং নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোয় একটি প্রধান ঘাতক। তারা আস্তে আস্তে মানুষ ও মশার মধ্যে মালেরিয়া সংক্রমণ এবং জীববিজ্ঞানের জটিল সমীকরণ বুঝতে শুরু করেন।
১৮৯৪ সালে ম্যানসন ও ভারতীয় মেডিকেল সার্ভিসের মেডিকেল অফিসার রোনাল্ড রস ম্যালেরিয়া প্যারাসাইটের সম্ভাব্য ভেক্টর হিসেবে মশার বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। বছরের পর বছর নিরলস গবেষণার পর ১৮৯৭ সালে তারা প্রমাণ করেন যে, অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া পরজীবী বহন করতে পারে। তারা তাদের আবিষ্কারের দিনটিকে মশা দিবস হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন পরে তাদের আবিষ্কারের তাৎপর্য ধরে রাখতে ২০ আগস্টকে মশা দিবসের নামকরণ করে।
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মশা প্রজননের জন্য অত্যান্ত উপযোগী। মশার ঘনত্ব ও প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিও অনেক বেশি বাংলাদেশে।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার। যাদের কাজ হবে বছরজুড়ে মশা নিয়ে গবেষণা ও মশা দমন করা।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী -সংবাদ
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৮৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারমধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৭ হাজার ৮৯১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মোট আক্রান্ত ৩৭,৮৯১ জন, মৃত্যু ১৫০ জন
মশাবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা ও নিয়ন্ত্রণের জাতীয় প্রতিষ্ঠান দরকার: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৯ জন, ঢাকা বিভাগে ১২২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২৮ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, ময়মনসিংহে ২১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৯ জন, রংপুর বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।
বয়সভেদে: ৫ বছরের ৩৪ শিশু, ৬-১০ বছরের শিশু ২২জন,২১-২৫ বছর বয়সের ১০১ জন, ৮০ বছর বয়সের ১ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ২ জন।
মৃত্যু: চলতি মাসের গত ১৪ দিন থেকে রোববার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে মৃত্যু ২৮ জন। এর আগে আগস্ট মাসে মৃত্যু ৩৯ জন, জুলাই মাসে মৃত্যু ৪১জন, জুন মাসে ১৯জন,মে মাসে ৩ জন, এপ্রিল মাসে ৭ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ জন, জানুয়ারি মাসে ১০ জন মারা গেছে। মার্চ মাসে মৃত্যুর খবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে নেই। সবমিলিয়ে চলতি বছরের রোববার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জন।
হাসপাতালের তথ্য: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৯ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১১৮ জন, সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৪ জন। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ৫৩৫ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ভর্তি আছে ১ হাজার ৭শ’ ১৫ জন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩৬ হাজার ২৬ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে এডিস মশার উপদ্রব বাড়ছে। প্রতিদিন এ মশার কামড়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আবার মারাও যাচ্ছেন। উনিশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কেউই বুঝতে পারেনি মশা রোগের ভেক্টর ছিল। এর প্রথম সাফল্য আসে ১৮৭৭ সালে যখন ব্রিটিশ ডাক্তার প্যাট্রিক ম্যানসন আবিষ্কার করেছিলেন যে, একটি কিউলেক্স প্রজাতির মশা মানুষের ফাইলেরিয়াল রাউন্ডওয়ার্ম বহন করতে পারে। পরবর্তী দুই দশকে তিনি এবং ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া ও মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য গবেষক ম্যালেরিয়া গবেষণায় মনোনিবেশ করেন।
যা গ্রীষ্মম-লীর এবং নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোয় একটি প্রধান ঘাতক। তারা আস্তে আস্তে মানুষ ও মশার মধ্যে মালেরিয়া সংক্রমণ এবং জীববিজ্ঞানের জটিল সমীকরণ বুঝতে শুরু করেন।
১৮৯৪ সালে ম্যানসন ও ভারতীয় মেডিকেল সার্ভিসের মেডিকেল অফিসার রোনাল্ড রস ম্যালেরিয়া প্যারাসাইটের সম্ভাব্য ভেক্টর হিসেবে মশার বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। বছরের পর বছর নিরলস গবেষণার পর ১৮৯৭ সালে তারা প্রমাণ করেন যে, অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া পরজীবী বহন করতে পারে। তারা তাদের আবিষ্কারের দিনটিকে মশা দিবস হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন পরে তাদের আবিষ্কারের তাৎপর্য ধরে রাখতে ২০ আগস্টকে মশা দিবসের নামকরণ করে।
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মশা প্রজননের জন্য অত্যান্ত উপযোগী। মশার ঘনত্ব ও প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিও অনেক বেশি বাংলাদেশে।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার। যাদের কাজ হবে বছরজুড়ে মশা নিয়ে গবেষণা ও মশা দমন করা।