চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে মৃত শিশুকে কবরস্থ করার সময় কার্টনে জীবিত উদ্ধার।
মৃত দুই-তিন মাসের এক শিশুকে দাফন করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ সময় শিশুটি নড়ে উঠে। গোর খোদক কাছে গিয়ে দেখেন শিশুটি জীবিত।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান এবং এনআইসিইউতে ভর্তি করান। এ ঘটনায় এলাকায় গভীর ক্ষোভ ও আবেগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড পৌর কবরস্থানে কবর খোঁড়ার দায়িত্বে থাকা শ্রমিক শাহজাহানের কাছে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি একটি কার্টনে করে শিশুটিকে মৃত বলে কবর দেয়ার জন্যে হস্তান্তর করে। ওই ব্যক্তি শিশুটির বয়স দুই-তিন মাস বলে জানিয়ে দাবি করেন, শিশুটি মৃত। তাই দ্রুত কবরস্থ করার অনুরোধ জানান।
কবর খোদক শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, নামাজের সময় হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি শিশুটিকে আমার সহকর্মীর কাছে রেখে নামাজে যাই। নামাজ শেষে ফিরে এসে সহকর্মীর কাছ থেকে জানতে পারি, কবরস্থ করার প্রস্তুতি নেয়ার সময় বাচ্চাটি নড়ছে। আমি নিজ চোখে দেখে নিশ্চিত হই শিশুটি জীবিত।
এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কবরস্থানে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ছুটে যান। পরে তারা শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত চাঁদপুর ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যান এবং এনআইসিইউতে ভর্তি করান।
হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির ওজন মাত্র ৮০০ গ্রাম। শিশুটি দুর্বল হলেও জীবিত আছে এবং তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কবরস্থানে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও আশপাশের হোটেলগুলোর ভিডিও পরীক্ষা করলে শিশুটিকে ফেলে যাওয়া অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। তারা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান, যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এ অমানবিক কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এ ঘটনা মানুষের মনে এক কঠিন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে, কীভাবে
একটি জীবিত শিশুকে মৃত বলে কবরস্থ করতে আনা হলো? এর পেছনে কোনে রহস্য লুকিয়ে আছে- তাও জানতে চান মানুষ।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, প্রত্যেকটি প্রাণের অধিকার রয়েছে বেঁচে থাকার, লালন-পালনের। এই শিশুকে অমানবিকভাবে কবর দেয়ার চেষ্টা আমাদের মানবিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক।
ঘটনার পর চাঁদপুরে মানবিকতা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) পৌর কবরস্থানে পাওয়া বাচ্চাটি চাঁদপুর ফেমাস স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইতোমধ্যেই বাচ্চাটির লালন-পালনের দায়িত্ব নেয়ার জন্য অনেকেই হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছেন।
চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে মৃত শিশুকে কবরস্থ করার সময় কার্টনে জীবিত উদ্ধার।
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মৃত দুই-তিন মাসের এক শিশুকে দাফন করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ সময় শিশুটি নড়ে উঠে। গোর খোদক কাছে গিয়ে দেখেন শিশুটি জীবিত।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান এবং এনআইসিইউতে ভর্তি করান। এ ঘটনায় এলাকায় গভীর ক্ষোভ ও আবেগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড পৌর কবরস্থানে কবর খোঁড়ার দায়িত্বে থাকা শ্রমিক শাহজাহানের কাছে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি একটি কার্টনে করে শিশুটিকে মৃত বলে কবর দেয়ার জন্যে হস্তান্তর করে। ওই ব্যক্তি শিশুটির বয়স দুই-তিন মাস বলে জানিয়ে দাবি করেন, শিশুটি মৃত। তাই দ্রুত কবরস্থ করার অনুরোধ জানান।
কবর খোদক শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, নামাজের সময় হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি শিশুটিকে আমার সহকর্মীর কাছে রেখে নামাজে যাই। নামাজ শেষে ফিরে এসে সহকর্মীর কাছ থেকে জানতে পারি, কবরস্থ করার প্রস্তুতি নেয়ার সময় বাচ্চাটি নড়ছে। আমি নিজ চোখে দেখে নিশ্চিত হই শিশুটি জীবিত।
এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কবরস্থানে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ছুটে যান। পরে তারা শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত চাঁদপুর ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যান এবং এনআইসিইউতে ভর্তি করান।
হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির ওজন মাত্র ৮০০ গ্রাম। শিশুটি দুর্বল হলেও জীবিত আছে এবং তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কবরস্থানে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও আশপাশের হোটেলগুলোর ভিডিও পরীক্ষা করলে শিশুটিকে ফেলে যাওয়া অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। তারা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান, যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এ অমানবিক কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এ ঘটনা মানুষের মনে এক কঠিন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে, কীভাবে
একটি জীবিত শিশুকে মৃত বলে কবরস্থ করতে আনা হলো? এর পেছনে কোনে রহস্য লুকিয়ে আছে- তাও জানতে চান মানুষ।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, প্রত্যেকটি প্রাণের অধিকার রয়েছে বেঁচে থাকার, লালন-পালনের। এই শিশুকে অমানবিকভাবে কবর দেয়ার চেষ্টা আমাদের মানবিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক।
ঘটনার পর চাঁদপুরে মানবিকতা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) পৌর কবরস্থানে পাওয়া বাচ্চাটি চাঁদপুর ফেমাস স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইতোমধ্যেই বাচ্চাটির লালন-পালনের দায়িত্ব নেয়ার জন্য অনেকেই হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছেন।