৪শ’-৫শ’ পাখি দিয়ে শুরু, ঠাকুরগাঁওয়ের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এখন প্রায় ৫-৬ হাজার চড়ুইয়ের বাস
সন্ধ্যায় আপন নিবাসে চড়ুইয়ের কিচিরমিচির, নগরে অনন্য স্বস্তি। ছবিটি ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে তোলা -সংবাদ
গ্রাম বাংলার কুঁড়ে ঘরই একসময় চড়ুই পাখির রাজ্য ছিল। ঘরের কড়িকাঠে থাকত তাদের ছোট্ট বাসা। ঝুপ করে একটা পাখি উড়ে যেত নীড় থেকে উঠোনে, আবার ফিরে আসত ঠোঁটে করে খড়-কুটো নিয়ে। এখন সে কুঁড়ে ঘর নেই, শহর ছুঁয়েছে পিচ ঢালা পথ আর কংক্রিটের দেয়াল। তবুও হার মানেনি চড়ুই। আধুনিকতার প্রবাহে নতুন করে গড়ে নিয়েছে আপন ঠিকানা। এবার শহরের ভেতরেই।
দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা এ যেন এখন চড়ুইদের গহিন গ্রাম। কৃষ্ণচূড়া, বকুল, আম আর দেবদারু গাছে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার চড়ুই পাখির বাসা। বিকেল হলেই ডালে ডালে ভিড় করে তারা। চঞ্চলতা আর কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
গোধূলি লগনে পাখিদের ফিরে আসা শুরু হয়। পথচারীরা থেমে দাঁড়ান, কেউ মোবাইলে ভিডিও করেন, কেউ কেবল নীরবে তাকিয়ে থাকেন। ছোট্ট গাছগুলো যেন আশ্রয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে তাদের কাছে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের মোড়ের পাশে ছোট্ট একটি আমগাছে হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে দেওয়া যায় পাখির দলকে। কিন্তু নিয়ম আছে- ধরা নিষেধ। ভুল করে কেউ ধরলেও শুনতে হয় গালমন্দ। কারণ, দুই দশক ধরে এখানেই গড়ে উঠেছে তাদের বসতি। ফল ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া রোজের মতো বসে থাকেন সুরুচি রেস্টুরেন্টের সামনে। বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে যখন পাখিগুলো ফিরে আসে, তখন মনটাই ভালো হয়ে যায়। গাছে গাছে যেন একটা উৎসব শুরু হয়।’
শুধু সবুজ মিয়া নন, আশপাশের দোকানি থেকে শুরু করে পথচারী, সবাই যেন নিজ নিজ জায়গা থেকে পাহারাদারের ভূমিকায়। কেউ যেন পাখিদের বিরক্ত না করে, এ নিয়ে সব সময় সতর্ক থাকে। শুরুটা ছিল ৪০০-৫০০ পাখি দিয়ে, এখন সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫-৬ হাজারে।
নারগুন উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক মো: আব্দুল জলিল বলেন, ‘আগে গ্রামে কুঁড়ে ঘরে দেখা যেত চড়ুই পাখি, এখন তো সে কুঁড়ে ঘরই নেই। এখানে এসে পাখিগুলো দেখে খুব ভালো লাগছে।’
ঠাকুরগাঁও সদও উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম বলেন, চড়ুইপাখি দলবদ্ধভাবে থাকতে পছন্দ করে। শহরের এই গাছগুলোতে তাদের বসতি হওয়া সত্যিই প্রশংসনীয়। এদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।
৪শ’-৫শ’ পাখি দিয়ে শুরু, ঠাকুরগাঁওয়ের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এখন প্রায় ৫-৬ হাজার চড়ুইয়ের বাস
সন্ধ্যায় আপন নিবাসে চড়ুইয়ের কিচিরমিচির, নগরে অনন্য স্বস্তি। ছবিটি ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে তোলা -সংবাদ
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গ্রাম বাংলার কুঁড়ে ঘরই একসময় চড়ুই পাখির রাজ্য ছিল। ঘরের কড়িকাঠে থাকত তাদের ছোট্ট বাসা। ঝুপ করে একটা পাখি উড়ে যেত নীড় থেকে উঠোনে, আবার ফিরে আসত ঠোঁটে করে খড়-কুটো নিয়ে। এখন সে কুঁড়ে ঘর নেই, শহর ছুঁয়েছে পিচ ঢালা পথ আর কংক্রিটের দেয়াল। তবুও হার মানেনি চড়ুই। আধুনিকতার প্রবাহে নতুন করে গড়ে নিয়েছে আপন ঠিকানা। এবার শহরের ভেতরেই।
দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা এ যেন এখন চড়ুইদের গহিন গ্রাম। কৃষ্ণচূড়া, বকুল, আম আর দেবদারু গাছে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার চড়ুই পাখির বাসা। বিকেল হলেই ডালে ডালে ভিড় করে তারা। চঞ্চলতা আর কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
গোধূলি লগনে পাখিদের ফিরে আসা শুরু হয়। পথচারীরা থেমে দাঁড়ান, কেউ মোবাইলে ভিডিও করেন, কেউ কেবল নীরবে তাকিয়ে থাকেন। ছোট্ট গাছগুলো যেন আশ্রয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে তাদের কাছে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের মোড়ের পাশে ছোট্ট একটি আমগাছে হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে দেওয়া যায় পাখির দলকে। কিন্তু নিয়ম আছে- ধরা নিষেধ। ভুল করে কেউ ধরলেও শুনতে হয় গালমন্দ। কারণ, দুই দশক ধরে এখানেই গড়ে উঠেছে তাদের বসতি। ফল ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া রোজের মতো বসে থাকেন সুরুচি রেস্টুরেন্টের সামনে। বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে যখন পাখিগুলো ফিরে আসে, তখন মনটাই ভালো হয়ে যায়। গাছে গাছে যেন একটা উৎসব শুরু হয়।’
শুধু সবুজ মিয়া নন, আশপাশের দোকানি থেকে শুরু করে পথচারী, সবাই যেন নিজ নিজ জায়গা থেকে পাহারাদারের ভূমিকায়। কেউ যেন পাখিদের বিরক্ত না করে, এ নিয়ে সব সময় সতর্ক থাকে। শুরুটা ছিল ৪০০-৫০০ পাখি দিয়ে, এখন সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫-৬ হাজারে।
নারগুন উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক মো: আব্দুল জলিল বলেন, ‘আগে গ্রামে কুঁড়ে ঘরে দেখা যেত চড়ুই পাখি, এখন তো সে কুঁড়ে ঘরই নেই। এখানে এসে পাখিগুলো দেখে খুব ভালো লাগছে।’
ঠাকুরগাঁও সদও উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম বলেন, চড়ুইপাখি দলবদ্ধভাবে থাকতে পছন্দ করে। শহরের এই গাছগুলোতে তাদের বসতি হওয়া সত্যিই প্রশংসনীয়। এদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।