উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে লালমনিরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে গিয়ে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সোমবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ মিটার, যা বিপদসীমার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) থেকে ৩ সেন্টিমিটার বেশি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান গেজ রিডার নুরুল ইসলাম।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ উত্তরাঞ্চলের আরও কয়েকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইতিমধ্যে চরাঞ্চলের অনেক রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে বলে জানান আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল হোসেন। তিনি বলেন, “নদীর পানি দ্রুত বাড়তে শুরু করায় আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি।”
হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের দিনমজুর এনামুল কবির জানান, “অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। পশুপাখি, শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে সবাই চরম দুর্ভোগে আছে। এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা পাইনি।”
হাতীবান্ধা সিন্দুর্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুর ইসলাম বলেন, তার ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে জরুরি ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আপাতত বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।”
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে লালমনিরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে গিয়ে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সোমবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ মিটার, যা বিপদসীমার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) থেকে ৩ সেন্টিমিটার বেশি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান গেজ রিডার নুরুল ইসলাম।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ উত্তরাঞ্চলের আরও কয়েকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইতিমধ্যে চরাঞ্চলের অনেক রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে বলে জানান আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল হোসেন। তিনি বলেন, “নদীর পানি দ্রুত বাড়তে শুরু করায় আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি।”
হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের দিনমজুর এনামুল কবির জানান, “অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। পশুপাখি, শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে সবাই চরম দুর্ভোগে আছে। এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা পাইনি।”
হাতীবান্ধা সিন্দুর্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুর ইসলাম বলেন, তার ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে জরুরি ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আপাতত বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।”