ফরিদপুরে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদ সহিংস রূপ নিয়েছে। সোমবার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার বিক্ষুব্ধরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আগুন দেয় এবং ভাঙ্গা থানায় ঢুকে গাড়ি ভাঙচুর করে।
সরেজমিনে জানা যায়, সকালে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলসহকারে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত কয়েকজন পুলিশ সদস্য আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
পরে উত্তেজিত জনতা থানার ভেতরে ভাঙচুর চালায়। থানার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা আটকা পড়েন। এরপর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে থাকা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি হাইওয়ে অফিস ও পৌরসভা কার্যালয়েও ভাঙচুর করা হয়। সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও ধারণেও বাধা দেওয়া হয় এবং কয়েকজন আহত হন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমরা পাশে আছি। কিন্তু জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে।”
৪ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত কয়েকদিন ধরে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আসছেন স্থানীয়রা। এতে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
এই ঘটনায় রোববার রাতে পুলিশ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করে। মামলায় ‘সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ’-এর প্রধান সমন্বয়ক ও আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, “বিক্ষুব্ধদের শান্ত করার চেষ্টা চলছে। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন দিলে দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছি।”
---
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদ সহিংস রূপ নিয়েছে। সোমবার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার বিক্ষুব্ধরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আগুন দেয় এবং ভাঙ্গা থানায় ঢুকে গাড়ি ভাঙচুর করে।
সরেজমিনে জানা যায়, সকালে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলসহকারে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত কয়েকজন পুলিশ সদস্য আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
পরে উত্তেজিত জনতা থানার ভেতরে ভাঙচুর চালায়। থানার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা আটকা পড়েন। এরপর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে থাকা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি হাইওয়ে অফিস ও পৌরসভা কার্যালয়েও ভাঙচুর করা হয়। সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও ধারণেও বাধা দেওয়া হয় এবং কয়েকজন আহত হন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমরা পাশে আছি। কিন্তু জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে।”
৪ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত কয়েকদিন ধরে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আসছেন স্থানীয়রা। এতে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
এই ঘটনায় রোববার রাতে পুলিশ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করে। মামলায় ‘সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ’-এর প্রধান সমন্বয়ক ও আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, “বিক্ষুব্ধদের শান্ত করার চেষ্টা চলছে। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন দিলে দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছি।”
---