মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের পূর্ব পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া বংশী নদীর ফোর্ডনগর এলাকায় খনন কাজ চলছে। বিআইডব্লিউটিএর নদী খননের মাটি মজুদ রাখা নিয়ে এলাকাবাসী আপত্তি জানিয়েছে।
অভিযোগ ওঠেছে, বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্টরা খননকৃত মাটি খাস জমি দখল করা আকতার ফার্ণিচার ফ্যাক্টরির কাছে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এ সুযোগে আকতার ফার্ণিচার নামের প্রতিষ্ঠানটি পাচ্ছে বাড়তি সুবিধা। একদিকে, খাস জমি দখল অন্যদিকে সেই জমিতেই বিআইডব্লিউটিএর মাটি মজুদ রাখা। ইতিপূর্বে সরকারি ওই সম্পত্তি দখল করতে গিয়ে আকতার ফার্ণিচার প্রশাসনের বাঁধার মুখে পিছু হটে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রশাসনের উদাসীনতায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নদী তীরবর্তী ওই জমিতে মাটি ভরাটের চেষ্টা করছে আকতার ফার্ণিচার।
এদিকে, নদী সিকস্তি খাস জমিতে মাটি ভরাটে বাধা দিয়ে কোন ফল না পেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মো. মুরছালিন গত ৩ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন জানিয়েছেন, সাত কিলোমিটার নদী খননের কাজ এগিয়ে চলছে। সরকারি বিধি মোতাবেক ড্রেজিংয়ের সরঞ্জামাদি ও উত্তোলিত মাটি রাখার জন্য একাধিক স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কারো জায়গা ভরাটের উদ্দেশ্যে নয়। এলাকাবাসীর দায়ের করা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নদী খননের মাটি দিয়ে তার জায়গা ভরাটের অসৎ উদ্দেশ্যে নামে-বেনামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরেজমিনে গত রোববার এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত সময়ে আকতার ফার্ণিচারের দখলে নেয়া জায়গাটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। আকতার ফার্ণিচারকে ওই জমিতে সকল কাজকর্ম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে লাল নিশান লাগিয়ে দেয়া হয়। নদী খনন কাজ শুরু হলে বিআইডব্লিউটিএ আকতার ফার্ণিচারের দখলে নেয়া বিরোধপূর্ণ ওই খাস জমিতে মাটি ভরাটের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ইতিমধ্যেই পাইপ ফেলে মেশিনারীজ এনে জনবলও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুদৃষ্টি না দিলে ওই জায়গা ভরাট করে তাদের দখলে নিবে আকতার ফার্ণিচার। তবে এ নিয়ে প্রতিবাদমুখর বাসিন্দা ও আকতার ফার্ণিচারের মধ্যে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করছেন নদী তীরবর্তী লোকজন।
আকতার গ্রুপের চেয়ারম্যান অভিযুক্ত মো. আক্তারুজ্জামান অবৈধভাবে মাটি ভরাটের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি জীবনে কোনো দিন দুই নম্বরী কাজ করি নাই। ২৫ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ছিল সেটা গভর্নমেন্ট আমার কাছে বাজার মূল্যের চেয়ে দেড়গুণ বেশি দামে বিক্রি করেছে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী খাস জমিতে মাটি ফেলার পরে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের পূর্ব পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া বংশী নদীর ফোর্ডনগর এলাকায় খনন কাজ চলছে। বিআইডব্লিউটিএর নদী খননের মাটি মজুদ রাখা নিয়ে এলাকাবাসী আপত্তি জানিয়েছে।
অভিযোগ ওঠেছে, বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্টরা খননকৃত মাটি খাস জমি দখল করা আকতার ফার্ণিচার ফ্যাক্টরির কাছে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এ সুযোগে আকতার ফার্ণিচার নামের প্রতিষ্ঠানটি পাচ্ছে বাড়তি সুবিধা। একদিকে, খাস জমি দখল অন্যদিকে সেই জমিতেই বিআইডব্লিউটিএর মাটি মজুদ রাখা। ইতিপূর্বে সরকারি ওই সম্পত্তি দখল করতে গিয়ে আকতার ফার্ণিচার প্রশাসনের বাঁধার মুখে পিছু হটে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রশাসনের উদাসীনতায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নদী তীরবর্তী ওই জমিতে মাটি ভরাটের চেষ্টা করছে আকতার ফার্ণিচার।
এদিকে, নদী সিকস্তি খাস জমিতে মাটি ভরাটে বাধা দিয়ে কোন ফল না পেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মো. মুরছালিন গত ৩ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন জানিয়েছেন, সাত কিলোমিটার নদী খননের কাজ এগিয়ে চলছে। সরকারি বিধি মোতাবেক ড্রেজিংয়ের সরঞ্জামাদি ও উত্তোলিত মাটি রাখার জন্য একাধিক স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কারো জায়গা ভরাটের উদ্দেশ্যে নয়। এলাকাবাসীর দায়ের করা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নদী খননের মাটি দিয়ে তার জায়গা ভরাটের অসৎ উদ্দেশ্যে নামে-বেনামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরেজমিনে গত রোববার এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত সময়ে আকতার ফার্ণিচারের দখলে নেয়া জায়গাটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। আকতার ফার্ণিচারকে ওই জমিতে সকল কাজকর্ম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে লাল নিশান লাগিয়ে দেয়া হয়। নদী খনন কাজ শুরু হলে বিআইডব্লিউটিএ আকতার ফার্ণিচারের দখলে নেয়া বিরোধপূর্ণ ওই খাস জমিতে মাটি ভরাটের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ইতিমধ্যেই পাইপ ফেলে মেশিনারীজ এনে জনবলও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুদৃষ্টি না দিলে ওই জায়গা ভরাট করে তাদের দখলে নিবে আকতার ফার্ণিচার। তবে এ নিয়ে প্রতিবাদমুখর বাসিন্দা ও আকতার ফার্ণিচারের মধ্যে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করছেন নদী তীরবর্তী লোকজন।
আকতার গ্রুপের চেয়ারম্যান অভিযুক্ত মো. আক্তারুজ্জামান অবৈধভাবে মাটি ভরাটের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি জীবনে কোনো দিন দুই নম্বরী কাজ করি নাই। ২৫ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ছিল সেটা গভর্নমেন্ট আমার কাছে বাজার মূল্যের চেয়ে দেড়গুণ বেশি দামে বিক্রি করেছে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী খাস জমিতে মাটি ফেলার পরে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।